নতুন (২০২৫-২৬) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেটে যেসব শুল্ক-কর প্রস্তাব করা হয়, তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। ফলে শুল্ককর কমলে দাম কমতে পারে। সাধারণত শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রভাব বাজারে দ্রুত পড়ে। কমানোর প্রভাব পড়তে দেরি হয়।
নতুন অর্থবছরে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু কৃষি যন্ত্রপাতি, ই-বাইক, অ্যাম্বুলেন্স, বাস ও ক্যান্সারের ওষুধসহ বেশ কিছু তৈজসপত্রে। কৃষি যন্ত্রপাতি: স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তরল দুধ: এবার স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে যেসব পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাকেটজাত তরল দুধ ও বলপয়েন্ট কলমের স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
চিনি: পরিশোধিত চিনি আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত পণ্যটি কিছুটা কম দামে পেতে পারেন ভোক্তারা।
ক্যান্সারের ওষুধ: ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধসহ সব ধরনের ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ও ‘অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্টস’ তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর অব্যাহতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাস-মাইক্রোবাস, ই-বাইক: প্রস্তাবিত বাজেটে যানবাহন খাতে বেশ কিছু শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব এসেছে। এর ফলে টায়ার, বাস-মাইক্রোবাস, ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি এবং ই-বাইকের দাম কমতে পারে। ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাসের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একই ধরনের প্রস্তাব রয়েছে ১০-১৫ আসনের মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রেও।
এছাড়া সাধারণ ও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাইব্রিড ও ইলেক্ট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
টায়ার: টায়ার উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণের শুল্ক কমানোর প্রস্তাবও রয়েছে নতুন অর্থবছরে।
ব্যাংকে টাকা জমা: এক লাখ টাকার পরিবর্তে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব রয়েছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে খরচ কমতে পারে।
এলএনজি: তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস- এলএনজির আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব রয়েছে নতুন অর্থবছরে। এর প্রভাব জ্বালানি পণ্যটির দাম কমতে পারে।
তৈজসপত্র: পাতা, ফুল বা বাকলের তৈরি প্লেট ও বাটিসহ সব ধরনের তৈজসপত্র, হাতে তৈরি মাটির তৈজসপত্র, টেক্সটাইল গ্রেড ডেট চিপসের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে নতুন অর্থবছরে এসব পণ্য আরও কম দামে মিলতে পারে।
মনিটর: ২২ ইঞ্চির পরিবর্তে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য: পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত, উভয় ধরনের পেট্রোলিয়াম আমদানিতে শুল্ক-কর হার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন অর্থবছরে। এসব পণ্যের ওপর থেকে ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাবও করা হয়েছে।
কোল্ড স্টোরেজ: কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন অর্থবছরে। এ প্রস্তাব পাস হলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কোল্ড স্টোরেজ ভাড়ার ক্ষেত্রেও।
এই বাজেট প্রস্তাব পাস হবে ৩০ জুন; ১ জুলাই শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
নতুন (২০২৫-২৬) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেটে যেসব শুল্ক-কর প্রস্তাব করা হয়, তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। ফলে শুল্ককর কমলে দাম কমতে পারে। সাধারণত শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রভাব বাজারে দ্রুত পড়ে। কমানোর প্রভাব পড়তে দেরি হয়।
নতুন অর্থবছরে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু কৃষি যন্ত্রপাতি, ই-বাইক, অ্যাম্বুলেন্স, বাস ও ক্যান্সারের ওষুধসহ বেশ কিছু তৈজসপত্রে। কৃষি যন্ত্রপাতি: স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তরল দুধ: এবার স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে যেসব পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাকেটজাত তরল দুধ ও বলপয়েন্ট কলমের স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
চিনি: পরিশোধিত চিনি আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত পণ্যটি কিছুটা কম দামে পেতে পারেন ভোক্তারা।
ক্যান্সারের ওষুধ: ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধসহ সব ধরনের ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ও ‘অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্টস’ তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর অব্যাহতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাস-মাইক্রোবাস, ই-বাইক: প্রস্তাবিত বাজেটে যানবাহন খাতে বেশ কিছু শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব এসেছে। এর ফলে টায়ার, বাস-মাইক্রোবাস, ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি এবং ই-বাইকের দাম কমতে পারে। ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাসের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একই ধরনের প্রস্তাব রয়েছে ১০-১৫ আসনের মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রেও।
এছাড়া সাধারণ ও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাইব্রিড ও ইলেক্ট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
টায়ার: টায়ার উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণের শুল্ক কমানোর প্রস্তাবও রয়েছে নতুন অর্থবছরে।
ব্যাংকে টাকা জমা: এক লাখ টাকার পরিবর্তে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব রয়েছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে খরচ কমতে পারে।
এলএনজি: তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস- এলএনজির আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব রয়েছে নতুন অর্থবছরে। এর প্রভাব জ্বালানি পণ্যটির দাম কমতে পারে।
তৈজসপত্র: পাতা, ফুল বা বাকলের তৈরি প্লেট ও বাটিসহ সব ধরনের তৈজসপত্র, হাতে তৈরি মাটির তৈজসপত্র, টেক্সটাইল গ্রেড ডেট চিপসের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে নতুন অর্থবছরে এসব পণ্য আরও কম দামে মিলতে পারে।
মনিটর: ২২ ইঞ্চির পরিবর্তে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য: পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত, উভয় ধরনের পেট্রোলিয়াম আমদানিতে শুল্ক-কর হার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন অর্থবছরে। এসব পণ্যের ওপর থেকে ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাবও করা হয়েছে।
কোল্ড স্টোরেজ: কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন অর্থবছরে। এ প্রস্তাব পাস হলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কোল্ড স্টোরেজ ভাড়ার ক্ষেত্রেও।
এই বাজেট প্রস্তাব পাস হবে ৩০ জুন; ১ জুলাই শুরু হবে নতুন অর্থবছর।