এবারের প্রস্তাবিত বাজেট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রণীত কাঠামো অনুসরণে করা হয়েছে এবং এতে দেশের শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এই উদ্বেগ প্রকাশ করে বিসিআই।
সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণই মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করপোরেট কর ও ব্যক্তিখাতের করের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা দেখা যাচ্ছে। অথচ করজাল বাড়ানোর জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। তিনি বলেন, “পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে সরকারের রাজস্ব আয় কম হচ্ছে, কিন্তু বাজেটে তা কাটিয়ে ওঠার সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই।”
তিনি আরো বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা বলা হলেও তা অর্জন কঠিন হবে। বিশেষ করে শিল্পে কাঁচামালের ওপর ভ্যাট বাড়ানোয় উৎপাদন খরচ বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে।
আনোয়ার-উল আলমের অভিযোগ, “সবকিছুই যেন আইএমএফের ফর্মুলা অনুসারে করা হয়েছে। এতে করে দেশের উৎপাদন খাত ও শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” বর্তমানে উচ্চ উৎপাদন ব্যয়, জ্বালানি সংকট এবং ঋণের উচ্চ সুদহার এমনিতেই শিল্পকে চাপে রেখেছে। এর ওপর বাড়তি কর ও শুল্ক শিল্প উদ্যোক্তাদের আরও সংকটে ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রপ্তানিমুখী শিল্পখাতে নগদ প্রণোদনা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হচ্ছে বলেও বিসিআই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কটন সুতা ও ম্যান-মেইড ফাইবারে মূসক ৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করায় দেশীয় টেক্সটাইল শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং আমদানি নির্ভরতা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
স্টিল শিল্পের কাঁচামালে কর ১৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ এবং সিমেন্ট শিল্পে মূসক ৫ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করায় নির্মাণ খাতেও ব্যয় বেড়ে যাবে বলে মনে করছে বিসিআই। এ ছাড়া টার্নওভার কর বাড়িয়ে ০.৬ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করায় সিএমএসএমই খাত বড় ধাক্কা খাবে বলেও তাদের মত।
বিশেষ করে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করাকে “উদীয়মান খাতের ওপর গুরুতর চাপ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিসিআই। তারা এই হার ৫ শতাংশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২৫ কোটি এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছে বিসিআই। এ ছাড়া, এসএমই খাতকে ফরমালাইজ ও ডিজিটাল ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর পদক্ষেপকে বিসিআই তাদের সুপারিশ বাস্তবায়ন হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
সংগঠনটি বাজেট বাস্তবায়নে যথাযথ পরিকল্পনা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে বলেছে, “বাজেটের অর্থ প্রয়োজনে সময়মতো না এলে কিংবা ব্যয় যথাযথভাবে না হলে এর সুফল অর্থনীতি ও জনগণ পাবে না।”
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
এবারের প্রস্তাবিত বাজেট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রণীত কাঠামো অনুসরণে করা হয়েছে এবং এতে দেশের শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এই উদ্বেগ প্রকাশ করে বিসিআই।
সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণই মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করপোরেট কর ও ব্যক্তিখাতের করের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা দেখা যাচ্ছে। অথচ করজাল বাড়ানোর জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। তিনি বলেন, “পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে সরকারের রাজস্ব আয় কম হচ্ছে, কিন্তু বাজেটে তা কাটিয়ে ওঠার সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই।”
তিনি আরো বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা বলা হলেও তা অর্জন কঠিন হবে। বিশেষ করে শিল্পে কাঁচামালের ওপর ভ্যাট বাড়ানোয় উৎপাদন খরচ বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে।
আনোয়ার-উল আলমের অভিযোগ, “সবকিছুই যেন আইএমএফের ফর্মুলা অনুসারে করা হয়েছে। এতে করে দেশের উৎপাদন খাত ও শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” বর্তমানে উচ্চ উৎপাদন ব্যয়, জ্বালানি সংকট এবং ঋণের উচ্চ সুদহার এমনিতেই শিল্পকে চাপে রেখেছে। এর ওপর বাড়তি কর ও শুল্ক শিল্প উদ্যোক্তাদের আরও সংকটে ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রপ্তানিমুখী শিল্পখাতে নগদ প্রণোদনা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হচ্ছে বলেও বিসিআই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কটন সুতা ও ম্যান-মেইড ফাইবারে মূসক ৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করায় দেশীয় টেক্সটাইল শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং আমদানি নির্ভরতা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
স্টিল শিল্পের কাঁচামালে কর ১৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ এবং সিমেন্ট শিল্পে মূসক ৫ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করায় নির্মাণ খাতেও ব্যয় বেড়ে যাবে বলে মনে করছে বিসিআই। এ ছাড়া টার্নওভার কর বাড়িয়ে ০.৬ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করায় সিএমএসএমই খাত বড় ধাক্কা খাবে বলেও তাদের মত।
বিশেষ করে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করাকে “উদীয়মান খাতের ওপর গুরুতর চাপ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিসিআই। তারা এই হার ৫ শতাংশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২৫ কোটি এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছে বিসিআই। এ ছাড়া, এসএমই খাতকে ফরমালাইজ ও ডিজিটাল ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর পদক্ষেপকে বিসিআই তাদের সুপারিশ বাস্তবায়ন হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
সংগঠনটি বাজেট বাস্তবায়নে যথাযথ পরিকল্পনা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে বলেছে, “বাজেটের অর্থ প্রয়োজনে সময়মতো না এলে কিংবা ব্যয় যথাযথভাবে না হলে এর সুফল অর্থনীতি ও জনগণ পাবে না।”