alt

অর্থ-বাণিজ্য

বিদেশ থেকে বছরে একবারই সোনা আনার সুযোগ, শুল্কও বাড়ল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সোনা আমদানি নিরুৎসাহিত করতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে একজন যাত্রী বছরে সর্বোচ্চ একবার ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনতে পারবেন। এর আগে একজন যাত্রী নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধের মাধ্যমে বছরে একাধিকবার ওই পরিমাণ সোনা আনতে পারতেন।

এই নতুন সিদ্ধান্ত ‘ব্যাগেজ বিধিমালা’তে সংশোধন এনে বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। সংশোধিত বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের ৩০ দিন পর কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।

শুধু আমদানির সীমাবদ্ধতা নয়, একই সঙ্গে স্বর্ণবার আমদানির ওপর শুল্ক-করও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে একজন যাত্রীকে ১০ ভরি সোনার জন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়, যা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৫০ হাজার ১৫৫ টাকা। কেউ যদি এর বেশি সোনা লুকিয়ে আনার চেষ্টা করেন, তা আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হবে।

যদিও দেশে বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানির সুযোগ রয়েছে, বাস্তবে সিংহভাগ সোনাই ব্যাগেজ বিধির অধীন কিংবা চোরাপথে আসে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সোনার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। গত ফেব্রুয়ারিতে আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছিলেন, “দেশে সোনা চোরাচালানের ৯৯ শতাংশই ধরা পড়ে না। এর পেছনে ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।”

তিনি বলেন, “বাজারে সোনার সরবরাহ অনেক, অথচ বৈধ আমদানি কম—এই অস্বাভাবিকতার কারণ খুঁজতে হবে। ব্যবসায়ী নেতারা যদি বলেন, তারা এতে জড়িত নন, তাহলে সোনা আসে কোথা থেকে?”

বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহার রোধে সংশোধনী আনার প্রস্তুতি চলছে—নতুন সিদ্ধান্ত সেই ঘোষণারই বাস্তবায়ন।

বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ টনের নতুন সোনার চাহিদা রয়েছে। তবে ২০১৮ সালের স্বর্ণনীতিমালায় এই চাহিদার পরিমাণ বলা হয়েছে ১৮ থেকে ৩৬ টন। ২০২২ সালে দেশে বৈধভাবে অন্তত ৫৪ টন স্বর্ণ আমদানি হয়েছিল।

কিন্তু বৈশ্বিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হারের ওঠানামা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ায় সোনার আমদানি হঠাৎ কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ৪১ লাখ ৬৪ হাজার ডলারের স্বর্ণ আমদানি হলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা নেমে আসে মাত্র ৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারে। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে আমদানি কমেছে প্রায় ৮৪ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ১৯টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র সাতটি কোম্পানি স্বর্ণ আমদানি করেছে। তারা মোট ১৩৯ কেজি ৬৪০ গ্রাম স্বর্ণের বার আনলেও বাকি ১২টি কোম্পানি লাইসেন্স পেলেও আমদানি করেনি।

ছবি

আইএমএফের ছকের বাজেট শিল্পের জন্য ‘হুমকি’: বিসিআই

ছবি

জুলাই থেকে নতুন হারে আয়কর: এনবিআর চেয়ারম্যান

শিক্ষা বাজেট: ‘গতানুগতিক’ ও ‘হতাশার’, বলছেন শিক্ষাবিদরা

ছবি

হঠাৎ করে অনেক সাহসী বাজেট দেয়া সম্ভব ছিল না: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

“ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব নিয়েছি”—বাজেট নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিনিময় হারে স্বস্তিতে মূল্যস্ফীতি কমার আশা দেখছেন গভর্নর আহসান মনসুর

ছবি

বাজেটে আইসিটি খাতে ‘সুখবর’ দেখতে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা

ছবি

বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা বিদেশী উদ্যোক্তাদের

ছবি

ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে বাজেট ততটা আশাব্যঞ্জক নয়: ডিসিসিআই

ছবি

ওসমানী মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা ও সচিবরা

ক্রেডিট কার্ডসহ ১২ সেবায় রিটার্ন নয়, লাগবে শুধু টিআইএন সনদ

ছবি

আবাসনে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল, বাড়ছে করহার

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নয়, বাড়ছে ‘বিশেষ সুবিধা’

মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজেটে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই: ঢাকা চেম্বার

ছবি

নোবেলসহ ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থ করমুক্ত রাখার প্রস্তাব

ছবি

বাজেট: বৈষম্যহীনতার প্রতিশ্রুতি, পুরনো কৌশলেই ভরসা

কালো টাকাকে বৈধতা দেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের স্ববিরোধিতা: টিআইবি

দাম কমতে পারে

দাম বাড়তে পারে

ছবি

যাত্রী পরিবহনে খরচ কমাতে এয়ারলাইন্সে ভ্যাট ছাড়

ছবি

নতুন শুল্কে গলা টিপে ধরার শঙ্কায় ওটিটি ইন্ডাস্ট্রি

ছবি

ত্রৈমাসিক রিটার্ন, দলিল যাচাইয়ে নতুন কর বিধান

মূল্যস্ফীতির হার ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা

ছবি

২০২৫-২৬ বাজেটে কালোটাকা সাদা রাখার প্রস্তাব, কর হার বাড়ল এলাকাভেদে

ছবি

ব্লু ইকোনমি ও বিজ্ঞান গবেষণায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

ছবি

বাড়লো না করমুক্ত আয়ের সীমা, কর ধাপ সাত থেকে ছয়ে, বাড়বে করের বোঝা

ছবি

বাজেটে বিনিয়োগকারীর জন্য সরাসরি প্রণোদনা নেই, শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা

ছবি

ট্যারিফ ভ্যালুর বদলে ইনভয়েস ভ্যালুতে শুল্ক প্রস্তাব, বিপিসির শুল্ক হার কমানোর উদ্যোগ

ছবি

ছোট আমানতকারীদের স্বস্তি: আবগারি শুল্ক ছাড়ের সীমা বাড়ল

ছবি

মে মাসে রেমিটেন্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার

ছবি

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট টিভিতে উপস্থাপন করছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ

ছবি

২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নকশার নোট বিতরণ শুরু সোমবার

ছবি

পোশাক খাত: এখনও বোনাস পরিশোধ করেনি ৭৩ শতাংশ কারখানা

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক, দুই সমঝোতা সই

ছবি

বিজিএমইএ’র সভাপতি হচ্ছেন মাহমুদ হাসান, ৩৫ পদের ৩১টিতে জয়ী ফোরাম

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বিদেশ থেকে বছরে একবারই সোনা আনার সুযোগ, শুল্কও বাড়ল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সোনা আমদানি নিরুৎসাহিত করতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে একজন যাত্রী বছরে সর্বোচ্চ একবার ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনতে পারবেন। এর আগে একজন যাত্রী নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধের মাধ্যমে বছরে একাধিকবার ওই পরিমাণ সোনা আনতে পারতেন।

এই নতুন সিদ্ধান্ত ‘ব্যাগেজ বিধিমালা’তে সংশোধন এনে বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। সংশোধিত বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের ৩০ দিন পর কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।

শুধু আমদানির সীমাবদ্ধতা নয়, একই সঙ্গে স্বর্ণবার আমদানির ওপর শুল্ক-করও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে একজন যাত্রীকে ১০ ভরি সোনার জন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়, যা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৫০ হাজার ১৫৫ টাকা। কেউ যদি এর বেশি সোনা লুকিয়ে আনার চেষ্টা করেন, তা আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হবে।

যদিও দেশে বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানির সুযোগ রয়েছে, বাস্তবে সিংহভাগ সোনাই ব্যাগেজ বিধির অধীন কিংবা চোরাপথে আসে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সোনার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। গত ফেব্রুয়ারিতে আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছিলেন, “দেশে সোনা চোরাচালানের ৯৯ শতাংশই ধরা পড়ে না। এর পেছনে ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।”

তিনি বলেন, “বাজারে সোনার সরবরাহ অনেক, অথচ বৈধ আমদানি কম—এই অস্বাভাবিকতার কারণ খুঁজতে হবে। ব্যবসায়ী নেতারা যদি বলেন, তারা এতে জড়িত নন, তাহলে সোনা আসে কোথা থেকে?”

বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহার রোধে সংশোধনী আনার প্রস্তুতি চলছে—নতুন সিদ্ধান্ত সেই ঘোষণারই বাস্তবায়ন।

বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ টনের নতুন সোনার চাহিদা রয়েছে। তবে ২০১৮ সালের স্বর্ণনীতিমালায় এই চাহিদার পরিমাণ বলা হয়েছে ১৮ থেকে ৩৬ টন। ২০২২ সালে দেশে বৈধভাবে অন্তত ৫৪ টন স্বর্ণ আমদানি হয়েছিল।

কিন্তু বৈশ্বিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হারের ওঠানামা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ায় সোনার আমদানি হঠাৎ কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ৪১ লাখ ৬৪ হাজার ডলারের স্বর্ণ আমদানি হলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা নেমে আসে মাত্র ৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারে। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে আমদানি কমেছে প্রায় ৮৪ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ১৯টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র সাতটি কোম্পানি স্বর্ণ আমদানি করেছে। তারা মোট ১৩৯ কেজি ৬৪০ গ্রাম স্বর্ণের বার আনলেও বাকি ১২টি কোম্পানি লাইসেন্স পেলেও আমদানি করেনি।

back to top