প্রতীকী ছবি, AI দিয়ে তৈরী
এবারের ঈদুল আজহায় দেশে কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা গতবারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানিতে দেশজুড়ে মোট ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু জবাই হয়েছে—যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১২ লাখ ৭২ হাজার কম।
মঙ্গলবার ঈদের চতুর্থ দিনে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ও মহিষ ছিল ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি এবং ছাগল ও ভেড়া ছিল ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি। এছাড়া অন্যান্য পশু ছিল ৯৬০টি।
২০২৪ সালে দেশে কোরবানি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি। তার আগের বছর, ২০২৩ সালে জবাই হয়েছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু। তবে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার।
এবার কোরবানির পশু অবিক্রিত থেকে গেছে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে, ‘উৎপাদন বেশি হওয়ায়’ কিছু পশু বিক্রি না হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
বিভাগওয়ারি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার সবচেয়ে বেশি কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে—২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি পশু।
এরপর রয়েছে ঢাকা বিভাগ, যেখানে কোরবানি হয়েছে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি পশু।
চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয় ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি, খুলনায় ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি, বরিশালে ৪ লাখ ৭৮৩টি এবং রংপুরে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি পশু।
সবচেয়ে কম কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে—৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি। ময়মনসিংহে কোরবানি হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি পশু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোরবানি কম হওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যবৃদ্ধি ও অতিরিক্ত পশু সরবরাহ একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে সরকারের ভাষ্যে বিষয়টি এখনও ‘চাহিদা-জোগান’ ও ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্যের’ মধ্যেই রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
প্রতীকী ছবি, AI দিয়ে তৈরী
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
এবারের ঈদুল আজহায় দেশে কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা গতবারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানিতে দেশজুড়ে মোট ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু জবাই হয়েছে—যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১২ লাখ ৭২ হাজার কম।
মঙ্গলবার ঈদের চতুর্থ দিনে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ও মহিষ ছিল ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি এবং ছাগল ও ভেড়া ছিল ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি। এছাড়া অন্যান্য পশু ছিল ৯৬০টি।
২০২৪ সালে দেশে কোরবানি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি। তার আগের বছর, ২০২৩ সালে জবাই হয়েছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু। তবে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার।
এবার কোরবানির পশু অবিক্রিত থেকে গেছে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে, ‘উৎপাদন বেশি হওয়ায়’ কিছু পশু বিক্রি না হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
বিভাগওয়ারি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার সবচেয়ে বেশি কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে—২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি পশু।
এরপর রয়েছে ঢাকা বিভাগ, যেখানে কোরবানি হয়েছে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি পশু।
চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয় ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি, খুলনায় ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি, বরিশালে ৪ লাখ ৭৮৩টি এবং রংপুরে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি পশু।
সবচেয়ে কম কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে—৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি। ময়মনসিংহে কোরবানি হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি পশু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোরবানি কম হওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যবৃদ্ধি ও অতিরিক্ত পশু সরবরাহ একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে সরকারের ভাষ্যে বিষয়টি এখনও ‘চাহিদা-জোগান’ ও ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্যের’ মধ্যেই রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।