আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি খাতের জন্য সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করা হলেও সরকারের জন্য তা প্রযোজ্য হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ী নেতা ও বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ‘বাজেট বিতর্ক: প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, “আমরা মূল্যস্ফীতিকে দমন করার জন্য সুদের হার বাড়িয়েছি। আমরা সংকুচিত রাজস্ব নীতি নিতে গিয়ে বাজেটের আকার ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়েছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এটা কেবল বেসরকারি খাতের জন্যই। সরকারের জন্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “গত দেড় বছরে বাংলাদেশে ব্যাংকে মোট ৩ লাখ কোটি টাকা আমানত এসেছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে সরকার। তাদের জন্য সংকোচন তো দেখি না।”
মিন্টু বলেন, সরকারকে নীতিনির্ধারণে ‘বিচার-বিশ্লেষণ’ করতে হবে। তিনি মনে করেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস ও মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার থাকা সত্ত্বেও প্রস্তাবিত বাজেটে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিফলন দেখা যায়নি।
গত ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটের আকার ছোট করা হলেও তা মূলত উন্নয়ন ব্যয়ে কাটা হয়েছে। অপরদিকে পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা করা হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা বেশি।
ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার কথা রয়েছে, যা জিডিপির ১.৬৭ শতাংশ।
‘দুর্নীতির বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য’
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “একটি বিষয়ে আমি জাতীয় ঐক্যমত্য দেখেছি—সেটা হচ্ছে দুর্নীতি। সবাই দুর্নীতি করতে চান, কেউ বাদ নেই। রাজনীতিবিদ, আমলা, শিক্ষক—সবার মধ্যেই এই প্রবণতা আছে।”
তিনি বলেন, “সেতু বিভাগের প্রকল্পে অতিরিক্ত জায়গা বেঁচে যাওয়ায় তা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে, অথচ আবাসনের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় রয়েছে। এমনকি ক্যাবিনেট সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও উপঢৌকন গ্রহণ করেছেন।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “রাজনীতিবিদরা এখন আমার সঙ্গে দেখা করেন, কিন্তু কেউই চান না দুর্নীতির অবসান হোক। সবাই চান দুর্নীতির সুযোগ পেতে।”
তিনি জানান, সরকার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা আনতে চায় এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। মূল্যস্ফীতিও জুলাই-আগস্ট নাগাদ কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ।
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি খাতের জন্য সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করা হলেও সরকারের জন্য তা প্রযোজ্য হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ী নেতা ও বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ‘বাজেট বিতর্ক: প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, “আমরা মূল্যস্ফীতিকে দমন করার জন্য সুদের হার বাড়িয়েছি। আমরা সংকুচিত রাজস্ব নীতি নিতে গিয়ে বাজেটের আকার ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়েছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এটা কেবল বেসরকারি খাতের জন্যই। সরকারের জন্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “গত দেড় বছরে বাংলাদেশে ব্যাংকে মোট ৩ লাখ কোটি টাকা আমানত এসেছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে সরকার। তাদের জন্য সংকোচন তো দেখি না।”
মিন্টু বলেন, সরকারকে নীতিনির্ধারণে ‘বিচার-বিশ্লেষণ’ করতে হবে। তিনি মনে করেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস ও মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার থাকা সত্ত্বেও প্রস্তাবিত বাজেটে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিফলন দেখা যায়নি।
গত ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটের আকার ছোট করা হলেও তা মূলত উন্নয়ন ব্যয়ে কাটা হয়েছে। অপরদিকে পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা করা হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা বেশি।
ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার কথা রয়েছে, যা জিডিপির ১.৬৭ শতাংশ।
‘দুর্নীতির বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য’
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “একটি বিষয়ে আমি জাতীয় ঐক্যমত্য দেখেছি—সেটা হচ্ছে দুর্নীতি। সবাই দুর্নীতি করতে চান, কেউ বাদ নেই। রাজনীতিবিদ, আমলা, শিক্ষক—সবার মধ্যেই এই প্রবণতা আছে।”
তিনি বলেন, “সেতু বিভাগের প্রকল্পে অতিরিক্ত জায়গা বেঁচে যাওয়ায় তা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে, অথচ আবাসনের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় রয়েছে। এমনকি ক্যাবিনেট সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও উপঢৌকন গ্রহণ করেছেন।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “রাজনীতিবিদরা এখন আমার সঙ্গে দেখা করেন, কিন্তু কেউই চান না দুর্নীতির অবসান হোক। সবাই চান দুর্নীতির সুযোগ পেতে।”
তিনি জানান, সরকার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা আনতে চায় এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। মূল্যস্ফীতিও জুলাই-আগস্ট নাগাদ কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ।