মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাইজার আহমেদ চৌধুরীকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সাত সদস্যের একটি নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক বিভাগ থেকেও একটি বোর্ড প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তবে চূড়ান্ত বোর্ড ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন—মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নিয়াজ আসাদুল্লাহ, পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। এছাড়া, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং অর্থ বিভাগের ঋণ ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব পদাধিকার বলে সদস্য হিসেবে থাকবেন।
গত মাসেই এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হন কাইজার আহমেদ চৌধুরী। ফলে এখন তিনি দুই প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডাক বিভাগ অধ্যাপক নিয়াজ আসাদুল্লাহকে চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিল, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কাইজার আহমেদকেই মনোনীত করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার পতনের এক মাস পর সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল। পরে ওই পর্ষদ ভেঙে ২০২৪ সালের ২১ অগাস্ট বদিউজ্জামানকে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রশাসন চলাকালেই ১২ ফেব্রুয়ারি নগদে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেদিন প্রশাসক বদিউজ্জামানের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এরপর মো. মোতাছিম বিল্লাহকে নতুন প্রশাসক করা হয়।
প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে আইনগত লড়াইয়ে নামে নগদ। গত ১৩ মে নগদ জানায়, আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তাদের ওপর নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক অবৈধ ঘোষণা করেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটির সিইও হিসেবে যোগ দেন সাফায়েত আলম।
পরে ২ জুন আপিল বিভাগ প্রশাসকের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সবকিছু মিলিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে আবারও একটি পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পর্ষদ পেল মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ।
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাইজার আহমেদ চৌধুরীকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সাত সদস্যের একটি নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক বিভাগ থেকেও একটি বোর্ড প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তবে চূড়ান্ত বোর্ড ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন—মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নিয়াজ আসাদুল্লাহ, পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। এছাড়া, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং অর্থ বিভাগের ঋণ ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব পদাধিকার বলে সদস্য হিসেবে থাকবেন।
গত মাসেই এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হন কাইজার আহমেদ চৌধুরী। ফলে এখন তিনি দুই প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডাক বিভাগ অধ্যাপক নিয়াজ আসাদুল্লাহকে চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিল, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কাইজার আহমেদকেই মনোনীত করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার পতনের এক মাস পর সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল। পরে ওই পর্ষদ ভেঙে ২০২৪ সালের ২১ অগাস্ট বদিউজ্জামানকে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রশাসন চলাকালেই ১২ ফেব্রুয়ারি নগদে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেদিন প্রশাসক বদিউজ্জামানের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এরপর মো. মোতাছিম বিল্লাহকে নতুন প্রশাসক করা হয়।
প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে আইনগত লড়াইয়ে নামে নগদ। গত ১৩ মে নগদ জানায়, আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তাদের ওপর নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক অবৈধ ঘোষণা করেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটির সিইও হিসেবে যোগ দেন সাফায়েত আলম।
পরে ২ জুন আপিল বিভাগ প্রশাসকের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সবকিছু মিলিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে আবারও একটি পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পর্ষদ পেল মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ।