জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার নিয়ে চলমান অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্দোলনরত কর্মীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বদলির আদেশ পুনর্বিবেচনা এবং রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চলমান আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক হয়। এতে অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এবং বোর্ডের ১৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে আন্দোলনরত কর্মীদের কোনো প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না।
বৈঠক শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে দ্রুত সমাধান সম্ভব। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী সপ্তাহে আরেকটি বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা তাঁদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি থেকে পিছু হটেননি। এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে তাঁরা অনড় এবং আগামী শনিবার থেকে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি সফল করার ডাক দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, “সরকার প্রত্যাশা করে, আগামী ১ জুলাইয়ের সভায় আলোচনা করে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, গত মে মাসে এনবিআরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে পৃথক বিভাগ গঠনের অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর বিরোধিতায় কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে আন্দোলনে নামে এনবিআরের একটি অংশ।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সরকার আলোচনা ও সংশোধনের আশ্বাস দেয়। কিন্তু এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকে। আন্দোলনকারীরা তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে, যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় তিনি কার্যালয়ে ফিরেন।
চেয়ারম্যান অপসারণ না হলে শনিবার থেকে রাজস্ব বিভাগের তিন শাখায় পূর্ণ শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার নিয়ে চলমান অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্দোলনরত কর্মীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বদলির আদেশ পুনর্বিবেচনা এবং রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চলমান আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক হয়। এতে অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এবং বোর্ডের ১৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে আন্দোলনরত কর্মীদের কোনো প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না।
বৈঠক শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে দ্রুত সমাধান সম্ভব। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী সপ্তাহে আরেকটি বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা তাঁদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি থেকে পিছু হটেননি। এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে তাঁরা অনড় এবং আগামী শনিবার থেকে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি সফল করার ডাক দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, “সরকার প্রত্যাশা করে, আগামী ১ জুলাইয়ের সভায় আলোচনা করে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, গত মে মাসে এনবিআরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে পৃথক বিভাগ গঠনের অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর বিরোধিতায় কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে আন্দোলনে নামে এনবিআরের একটি অংশ।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সরকার আলোচনা ও সংশোধনের আশ্বাস দেয়। কিন্তু এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকে। আন্দোলনকারীরা তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে, যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় তিনি কার্যালয়ে ফিরেন।
চেয়ারম্যান অপসারণ না হলে শনিবার থেকে রাজস্ব বিভাগের তিন শাখায় পূর্ণ শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।