সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার। আজ ১ জুলাই থেকে নতুন হার কার্যকর হয়েছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। পূর্বে সর্বোচ্চ মুনাফা ছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
নতুন হার অনুযায়ী, কম বিনিয়োগে কিছুটা বেশি মুনাফা মিললেও বেশি বিনিয়োগে হার কমে যাবে। সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এর নিচে হলে তুলনামূলক বেশি, আর বেশি হলে কম হারে মুনাফা দেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানো এবং এখন সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে দেওয়ায় মধ্যবিত্তের ওপর চাপ আরও বাড়বে। বিশেষ করে যাঁদের পরিবারিক ব্যয়ের বড় একটি অংশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর নির্ভরশীল, তাঁদের কষ্ট বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্রে আগে পাঁচ বছরের মেয়াদে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফা ছিল ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা এখন কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফা ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রেও একই রকম হ্রাস এসেছে। কম বিনিয়োগে পাঁচ বছর পর মুনাফা যেখানে আগে ছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, এখন তা হয়েছে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বেশি বিনিয়োগে মুনাফা এখন ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে কম বিনিয়োগে মুনাফা এখন ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ (আগে ছিল ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ)। তিন মাস অন্তর মুনাফা দেওয়া সঞ্চয়পত্রেও হার কমানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি হিসাবের মুনাফাও কমিয়ে ১১ দশমিক ৮২ থেকে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবের মুনাফার হার অপরিবর্তিত থাকবে।
১ জুলাই ২০২৫ সালের আগে ইস্যু হওয়া সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ইস্যুকালীন সময়ের হারই প্রযোজ্য হবে। তবে পুনঃবিনিয়োগের সময় বর্তমান হার প্রযোজ্য হবে। ছয় মাস পর আবারো নতুন করে মুনাফার হার নির্ধারণ করবে সরকার।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার। আজ ১ জুলাই থেকে নতুন হার কার্যকর হয়েছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। পূর্বে সর্বোচ্চ মুনাফা ছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
নতুন হার অনুযায়ী, কম বিনিয়োগে কিছুটা বেশি মুনাফা মিললেও বেশি বিনিয়োগে হার কমে যাবে। সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এর নিচে হলে তুলনামূলক বেশি, আর বেশি হলে কম হারে মুনাফা দেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানো এবং এখন সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে দেওয়ায় মধ্যবিত্তের ওপর চাপ আরও বাড়বে। বিশেষ করে যাঁদের পরিবারিক ব্যয়ের বড় একটি অংশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর নির্ভরশীল, তাঁদের কষ্ট বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্রে আগে পাঁচ বছরের মেয়াদে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফা ছিল ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা এখন কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফা ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রেও একই রকম হ্রাস এসেছে। কম বিনিয়োগে পাঁচ বছর পর মুনাফা যেখানে আগে ছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, এখন তা হয়েছে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বেশি বিনিয়োগে মুনাফা এখন ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে কম বিনিয়োগে মুনাফা এখন ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ (আগে ছিল ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ)। তিন মাস অন্তর মুনাফা দেওয়া সঞ্চয়পত্রেও হার কমানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি হিসাবের মুনাফাও কমিয়ে ১১ দশমিক ৮২ থেকে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবের মুনাফার হার অপরিবর্তিত থাকবে।
১ জুলাই ২০২৫ সালের আগে ইস্যু হওয়া সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ইস্যুকালীন সময়ের হারই প্রযোজ্য হবে। তবে পুনঃবিনিয়োগের সময় বর্তমান হার প্রযোজ্য হবে। ছয় মাস পর আবারো নতুন করে মুনাফার হার নির্ধারণ করবে সরকার।