দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড-ইডিসিএল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। টেন্ডার সিন্ডিকেট করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বেশি দামে কাঁচামাল কেনা, যন্ত্রপাতি অকেজো থাকা, অতিরিক্ত লোকবল- সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এতদিন সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসানের কারণ হয়ে ছিল। গত কয়েক মাসে দৃশ্যপট নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক সূত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এখন আগের চেয়ে বেশি কার্যকরভাবে সেবা দিতে পারছে। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের অডিট রিপোর্টে শুধু অকার্যকর যন্ত্রপাতি ও ব্যর্থ প্রকল্পের কারণে ইডিসিএলে প্রায় ৩২ কোটি টাকার ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছিল। এছাড়া টেন্ডার জটিলতায় গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। একটি যন্ত্র আড়াই বছর ধরে ব্যবহার না করায় আর্থিক ক্ষতি ছাড়িয়েছিল ১৮ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সামাদ মৃধা দায়িত্ব নিয়ে¡ সংস্কার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ইডিসিএল টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ফেরানোর পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় লোকবল ছাঁটাই করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনেছে। এছাড়া ইডিসিএলের বড় অর্জন হলো ওষুধের দাম কমানো। কোম্পানির ইতিহাসে এবারই প্রথম ঔষধের দাম কমেছে। আর্থিক স্বচ্ছতা এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ফলে সম্প্রতি ইডিসিএল ৩৩টি ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
দাম কমানোর তালিকায় রয়েছে- গ্যাস্ট্রিকের ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল, ব্যথার কেটোরোলাক ইনজেকশন, নিউমোনিয়া ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন সেফট্রিয়াক্সোন ও সেফটাজিডিম), হাঁপানির মন্টিলুকাস্ট ট্যাবলেটের মত অতিপ্রয়োজনীয় ঔষধ। নতুন ব্যবস্থাপনায় এক ঝটকায় ৭ শতাধিক কর্মীকে বাদ দেয়া হয়েছে। সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রায় ৭২২ জন অপ্রয়োজনীয় ও অদক্ষ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। আরও ১ হাজারেরও বেশি জনবল ছাঁটাই করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ইডিসিএল ইতিমধ্যে তৃতীয় প্রজন্মের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এবং স্যালাইন উৎপাদন ইউনিট চালু করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্যালাইনের ট্রায়াল রান শেষ হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন স্যালাইন বাজারে আসবে। এছাড়া সরকারি ওষুধ সরবরাহে নির্ভরশীলতা কমাতে প্রতিষ্ঠানটি টোল ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধ করে নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি অত্যাধুনিক ভ্যাকসিন এবং অ্যান্টি-ভেনম উৎপাদন কারখানা স্থাপন করতে ৪০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড-ইডিসিএল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। টেন্ডার সিন্ডিকেট করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বেশি দামে কাঁচামাল কেনা, যন্ত্রপাতি অকেজো থাকা, অতিরিক্ত লোকবল- সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এতদিন সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসানের কারণ হয়ে ছিল। গত কয়েক মাসে দৃশ্যপট নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক সূত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এখন আগের চেয়ে বেশি কার্যকরভাবে সেবা দিতে পারছে। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের অডিট রিপোর্টে শুধু অকার্যকর যন্ত্রপাতি ও ব্যর্থ প্রকল্পের কারণে ইডিসিএলে প্রায় ৩২ কোটি টাকার ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছিল। এছাড়া টেন্ডার জটিলতায় গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। একটি যন্ত্র আড়াই বছর ধরে ব্যবহার না করায় আর্থিক ক্ষতি ছাড়িয়েছিল ১৮ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সামাদ মৃধা দায়িত্ব নিয়ে¡ সংস্কার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ইডিসিএল টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ফেরানোর পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় লোকবল ছাঁটাই করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনেছে। এছাড়া ইডিসিএলের বড় অর্জন হলো ওষুধের দাম কমানো। কোম্পানির ইতিহাসে এবারই প্রথম ঔষধের দাম কমেছে। আর্থিক স্বচ্ছতা এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ফলে সম্প্রতি ইডিসিএল ৩৩টি ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
দাম কমানোর তালিকায় রয়েছে- গ্যাস্ট্রিকের ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল, ব্যথার কেটোরোলাক ইনজেকশন, নিউমোনিয়া ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন সেফট্রিয়াক্সোন ও সেফটাজিডিম), হাঁপানির মন্টিলুকাস্ট ট্যাবলেটের মত অতিপ্রয়োজনীয় ঔষধ। নতুন ব্যবস্থাপনায় এক ঝটকায় ৭ শতাধিক কর্মীকে বাদ দেয়া হয়েছে। সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রায় ৭২২ জন অপ্রয়োজনীয় ও অদক্ষ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। আরও ১ হাজারেরও বেশি জনবল ছাঁটাই করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ইডিসিএল ইতিমধ্যে তৃতীয় প্রজন্মের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এবং স্যালাইন উৎপাদন ইউনিট চালু করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্যালাইনের ট্রায়াল রান শেষ হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন স্যালাইন বাজারে আসবে। এছাড়া সরকারি ওষুধ সরবরাহে নির্ভরশীলতা কমাতে প্রতিষ্ঠানটি টোল ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধ করে নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি অত্যাধুনিক ভ্যাকসিন এবং অ্যান্টি-ভেনম উৎপাদন কারখানা স্থাপন করতে ৪০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।