ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এলডিসি উত্তরণ নিয়ে বর্তমান সরকার প্রস্তুতি চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান। তবে এখন উত্তরণ হবে নাকি পিছিয়ে দেওয়া হবে, সেটা হয়তো পরবর্তী সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
জিইডির সদস্য মনজুর হোসেন বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এটা শুধু সরকারের প্রস্তুতির বিষয় নয়, বেসরকারি খাতের প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছর পরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে না’
রোববার, (২৪ আগস্ট ২০২৫) মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মনজুর হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ। সেমিনারে বক্তব্য দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। ঢাকা চেম্বার ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জিইডির সদস্য মনজুর হোসেন বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এটা শুধু সরকারের প্রস্তুতির বিষয় নয়, বেসরকারি খাতের প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছর পরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ শতাংশ শুল্ক মেনে নিতে পারলে এই চ্যালেঞ্জও আমরা উতরে যেতে পারব। নেপাল উত্তরণ করছে, সেখানে আমরা পাঁচ বছর সময় চাইব, সেটা হয়তো হবে না। পেছানো গেলে ভালো, তবে না হলেও প্রস্তুতি রাখতে হবে।’
সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় পেছানোর আবেদন করতে পারে। কিন্তু সেটা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত হতে হবে। তিনটি সূচকে আমাদের অবস্থান কম দেখাতে হবে। ১ হাজার ৩০০ ডলার মাথাপিছু আয় হলে উত্তরণ হওয়ার সক্ষমতা অর্জন হয়।
কিন্তু আমাদের বর্তমানে আছে ২ হাজার ৮০০ ডলারের বেশি। তাই সময় বাড়ানোর আবেদন করলেও প্রস্তুতি রাখতে হবে।’ সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়কালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বেসরকারি বিনিয়োগ, বৈদেশিক বিনিয়োগ, কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত, সিএমএসএমই, তথ্য-প্রযুক্তি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, লজিস্টিক অবকাঠামো, দক্ষতা উন্নয়ন এবং আর্থিক খাতের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, ‘শুল্ক ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা উল্লেখজনক হারে বৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছে এবং ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ২.৩ শতাংশ-এ নেমে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এর কারণে গত বছরের তুলনায় বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতি আরও বেশি মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে, ডিসিসিআই কমপক্ষে ৩বছর এলডিসি উত্তরণ স্থগিত করার প্রয়োজন বলে মনে করে, যাতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি, একটি শক্তিশালী ট্রানজিশন কৌশল বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালাগুলো হালনাগাদ সম্ভব হয়। কর্পোরেট করহার বিশেষকরে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক হওয়া উচিত বলে মনে করে ডিসিসিআই সভাপতি, যার কারণে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘২০২৫ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২২.৪৮ শতাংশ এ নেমে এসেছে, যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বন্মি এবং বিদ্যমান অবস্থার আলোকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত জ্ঞাপন করেন, যাতে ব্যবসা-বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণ সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দূর্নীতি মুক্ত একটা সমাজ চাই, অভ্যুথানের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, তবে সেটি পাইনি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে রিজার্ভ সহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার জন্য উদ্যোগ থাকলেও কর আহরণের পরিমাণ বাড়াতে এনবিআরকে আরো উদ্যোগী হতে হবে, যদিও এ ধরনের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না, বরং হয়রানি অনেকগুনে বেড়েছে।’
তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণে আমরা ভীত নই, তবে বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং আভ্যন্তরীণ আন্দোলন বিক্ষোভ এবং সর্বশেষ ট্রাম্প কর্তৃক পারষ্পরিক শুল্ক আরোপের উদ্যোগ এ পরিস্থিতি আরো অসহনীয় করে তোলোছে। তাই আরো কিছুটা সময় পেলে আমরা নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব এবং এ উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারিখাতের যৌথ উদ্যোগ একান্ত অপরিহার্য।’
ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে রপ্তানি ৩.০৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে ৪৬.৮ শতাংশ, এমতাবস্থায় রপ্তানি ত্বরান্বিত করতে তিনি পণ্যের মূল্য সংযোজন, বৈচিত্র্যকরণ, নতুন বাজার অনুসন্ধান, সাপ্লাই চেইন সংযোগ বৃদ্ধি এবং বহুপাক্ষিক বাণিজ্য কূটনীতি ত্বরান্বিতকরণের উপর জোরারোপ করেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে, তবুও এ কারণে আত্মতুষ্ট না হয়ে বরং উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন, দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, শক্তিশালী ক্রেতা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং ইএসজি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণের দিকে বেশি মনোনিবেশের আহ্বান জানান।
এছাড়াও তিনি জানান, ২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে, চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ১.৬৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬৭.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, ওষুধ শিল্পে রপ্তানি ১৫.৮৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৭৪ মিলিয়ন ডলারে, অন্যদিকে হালকা প্রকৌশল খাতের রপ্তানি একই সময়ে ১২.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৫.৪৯ মিলিয়ন ডলারে।
২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) সিএমএসএমই খাতের অভিজ্ঞতা ততটা ভালো ছিলনা, কেননা উল্লেখিত সময়ে এ খাতে ঋণ বিতরণ আগের প্রান্তিকের তুলনায় ২৩.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তাই সিএমএসএমই খাতের জন্য প্রয়োজন লক্ষ্যভিত্তিক নীতি সহায়তা- রাজস্ব প্রণোদনা, নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ, সাশ্রয়ী অর্থায়ন, বিনিময় হার স্থিতিশীলতা এবং সহজীকৃত কমপ্লায়েন্স যাতে খরচ কমানো যায় এবং প্রতিযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে তিনি সুদের হার হ্রাসের প্রস্তাব করেন তাসকীন আহমেদ, যা ২০২৪ সালের জুনে ১১.৫২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের মে মাসে ১২.১১ শতাংশ এসে পৌঁছেছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
এলডিসি উত্তরণ নিয়ে বর্তমান সরকার প্রস্তুতি চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান। তবে এখন উত্তরণ হবে নাকি পিছিয়ে দেওয়া হবে, সেটা হয়তো পরবর্তী সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
জিইডির সদস্য মনজুর হোসেন বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এটা শুধু সরকারের প্রস্তুতির বিষয় নয়, বেসরকারি খাতের প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছর পরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে না’
রোববার, (২৪ আগস্ট ২০২৫) মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মনজুর হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ। সেমিনারে বক্তব্য দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। ঢাকা চেম্বার ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জিইডির সদস্য মনজুর হোসেন বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এটা শুধু সরকারের প্রস্তুতির বিষয় নয়, বেসরকারি খাতের প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছর পরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ শতাংশ শুল্ক মেনে নিতে পারলে এই চ্যালেঞ্জও আমরা উতরে যেতে পারব। নেপাল উত্তরণ করছে, সেখানে আমরা পাঁচ বছর সময় চাইব, সেটা হয়তো হবে না। পেছানো গেলে ভালো, তবে না হলেও প্রস্তুতি রাখতে হবে।’
সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় পেছানোর আবেদন করতে পারে। কিন্তু সেটা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত হতে হবে। তিনটি সূচকে আমাদের অবস্থান কম দেখাতে হবে। ১ হাজার ৩০০ ডলার মাথাপিছু আয় হলে উত্তরণ হওয়ার সক্ষমতা অর্জন হয়।
কিন্তু আমাদের বর্তমানে আছে ২ হাজার ৮০০ ডলারের বেশি। তাই সময় বাড়ানোর আবেদন করলেও প্রস্তুতি রাখতে হবে।’ সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়কালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বেসরকারি বিনিয়োগ, বৈদেশিক বিনিয়োগ, কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত, সিএমএসএমই, তথ্য-প্রযুক্তি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, লজিস্টিক অবকাঠামো, দক্ষতা উন্নয়ন এবং আর্থিক খাতের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, ‘শুল্ক ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা উল্লেখজনক হারে বৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছে এবং ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ২.৩ শতাংশ-এ নেমে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এর কারণে গত বছরের তুলনায় বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতি আরও বেশি মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে, ডিসিসিআই কমপক্ষে ৩বছর এলডিসি উত্তরণ স্থগিত করার প্রয়োজন বলে মনে করে, যাতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি, একটি শক্তিশালী ট্রানজিশন কৌশল বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালাগুলো হালনাগাদ সম্ভব হয়। কর্পোরেট করহার বিশেষকরে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক হওয়া উচিত বলে মনে করে ডিসিসিআই সভাপতি, যার কারণে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘২০২৫ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২২.৪৮ শতাংশ এ নেমে এসেছে, যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বন্মি এবং বিদ্যমান অবস্থার আলোকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত জ্ঞাপন করেন, যাতে ব্যবসা-বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণ সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দূর্নীতি মুক্ত একটা সমাজ চাই, অভ্যুথানের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, তবে সেটি পাইনি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে রিজার্ভ সহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার জন্য উদ্যোগ থাকলেও কর আহরণের পরিমাণ বাড়াতে এনবিআরকে আরো উদ্যোগী হতে হবে, যদিও এ ধরনের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না, বরং হয়রানি অনেকগুনে বেড়েছে।’
তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণে আমরা ভীত নই, তবে বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং আভ্যন্তরীণ আন্দোলন বিক্ষোভ এবং সর্বশেষ ট্রাম্প কর্তৃক পারষ্পরিক শুল্ক আরোপের উদ্যোগ এ পরিস্থিতি আরো অসহনীয় করে তোলোছে। তাই আরো কিছুটা সময় পেলে আমরা নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব এবং এ উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারিখাতের যৌথ উদ্যোগ একান্ত অপরিহার্য।’
ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে রপ্তানি ৩.০৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে ৪৬.৮ শতাংশ, এমতাবস্থায় রপ্তানি ত্বরান্বিত করতে তিনি পণ্যের মূল্য সংযোজন, বৈচিত্র্যকরণ, নতুন বাজার অনুসন্ধান, সাপ্লাই চেইন সংযোগ বৃদ্ধি এবং বহুপাক্ষিক বাণিজ্য কূটনীতি ত্বরান্বিতকরণের উপর জোরারোপ করেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে, তবুও এ কারণে আত্মতুষ্ট না হয়ে বরং উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন, দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, শক্তিশালী ক্রেতা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং ইএসজি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণের দিকে বেশি মনোনিবেশের আহ্বান জানান।
এছাড়াও তিনি জানান, ২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে, চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ১.৬৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬৭.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, ওষুধ শিল্পে রপ্তানি ১৫.৮৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৭৪ মিলিয়ন ডলারে, অন্যদিকে হালকা প্রকৌশল খাতের রপ্তানি একই সময়ে ১২.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৫.৪৯ মিলিয়ন ডলারে।
২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) সিএমএসএমই খাতের অভিজ্ঞতা ততটা ভালো ছিলনা, কেননা উল্লেখিত সময়ে এ খাতে ঋণ বিতরণ আগের প্রান্তিকের তুলনায় ২৩.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তাই সিএমএসএমই খাতের জন্য প্রয়োজন লক্ষ্যভিত্তিক নীতি সহায়তা- রাজস্ব প্রণোদনা, নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ, সাশ্রয়ী অর্থায়ন, বিনিময় হার স্থিতিশীলতা এবং সহজীকৃত কমপ্লায়েন্স যাতে খরচ কমানো যায় এবং প্রতিযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে তিনি সুদের হার হ্রাসের প্রস্তাব করেন তাসকীন আহমেদ, যা ২০২৪ সালের জুনে ১১.৫২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের মে মাসে ১২.১১ শতাংশ এসে পৌঁছেছে।