দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের গতি বাড়ছে। এতে লেনদেনে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার, (২৬ আগস্ট ২০২৫) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে।
এর মাধ্যমে গত ২৪ আগস্ট সৃষ্টি হওয়া রেকর্ড ভেঙে ডিএসইতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়ার ঘটনা ঘটলো। সেইসঙ্গে ২০২৪ সালের ১১ আগস্টের পর থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে নতুন রেকর্ড হলেও ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রধান মূল্যসূচকের পতন হয়েছে।
এর মাধ্যমে গত ২৪ আগস্ট সৃষ্টি হওয়া রেকর্ড ভেঙে ডিএসইতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়ার ঘটনা ঘটলো। সেইসঙ্গে ২০২৪ সালের ১১ আগস্টের পর থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে ব্যাংক ও বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম গড়পড়তা পড়তে থাকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতেও। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৫টির। আর ৪৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১২৪টির দাম কমেছে এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৩৩টির দাম কমেছে এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৩টির দাম কমেছে এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ১১ আগস্টের পর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। ২০২৪ সালের ১১ আগস্টের পর ডিএসইতে ২ হাজার ১০ কোটি ৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর আর দুই হাজার কোটি টাকার লেনদেনের দেখা মেলেনি।
এ লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার। ২৭ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোনালি পেপার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বিচ হ্যাচারি, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের গতি বাড়ছে। এতে লেনদেনে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার, (২৬ আগস্ট ২০২৫) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে।
এর মাধ্যমে গত ২৪ আগস্ট সৃষ্টি হওয়া রেকর্ড ভেঙে ডিএসইতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়ার ঘটনা ঘটলো। সেইসঙ্গে ২০২৪ সালের ১১ আগস্টের পর থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে নতুন রেকর্ড হলেও ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রধান মূল্যসূচকের পতন হয়েছে।
এর মাধ্যমে গত ২৪ আগস্ট সৃষ্টি হওয়া রেকর্ড ভেঙে ডিএসইতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়ার ঘটনা ঘটলো। সেইসঙ্গে ২০২৪ সালের ১১ আগস্টের পর থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে ব্যাংক ও বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম গড়পড়তা পড়তে থাকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতেও। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৫টির। আর ৪৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১২৪টির দাম কমেছে এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৩৩টির দাম কমেছে এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৩টির দাম কমেছে এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ১১ আগস্টের পর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। ২০২৪ সালের ১১ আগস্টের পর ডিএসইতে ২ হাজার ১০ কোটি ৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর আর দুই হাজার কোটি টাকার লেনদেনের দেখা মেলেনি।
এ লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার। ২৭ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোনালি পেপার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বিচ হ্যাচারি, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।