বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে আসা পাটকলগুলো অবশেষে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে সরকার। দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ২৬টি পাটকলের মধ্যে ৫টি পাটকল ভিন্ন আবহে যাত্রা শুরু করছে। সরকারের হাত থেকে বেরিয়ে বেসরকারি খাতের হাত ধরে নতুন বছরের শুরুতেই সচল হবে এসব কারখানা। ফলে আবার ঘুরবে যন্ত্রপাতি। উৎপাদন শুরু হবে কারখানায়। নতুন করে যোগ দেবেন শ্রমিক। তৈরি হবে কর্মসংস্থান।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করে পাঁচটি পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে সরকার। শুধু দেশি নয়, বিদেশি কোম্পানিও পাটকল পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে। ২০ বছরের জন্য এসব পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে শর্ত দেয়া হয়েছে, যারা কারখানা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, পাট সম্পর্কিত পণ্য ছাড়া কারখানায় অন্য পণ্য উৎপাদন করতে পারবে না তারা। ২৪ মাসের অগ্রিম ভাড়া সরকারের হাতে জমা দিতে হবে। তারপর বুঝিয়ে দেয়া হবে কারখানা।
পাট হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এ শিল্প আমরা পুনর্জাগ্রত করতে চাই। সে জন্য এখানে নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করতে হবে। অভিজ্ঞ মানুষদের নিয়োগ দিতে হবে।
মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে মিমো জুট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। নরসিংদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে বে ফুটওয়্যার লিমিটেড। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত হাফিজ জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে সাদ মুসা গ্রুপ। সিরাজগঞ্জে অবস্থিত জাতীয় জুট মিলস পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে যুক্তরাজ্যের জুট রিপাবলিক। চট্টগ্রামে অবস্থিত কেএফডি জুট মিলস পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে ইউনিটেক্স কম্পোজিট।
এই পাঁচটি পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংও মিলেছে। এখন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির আলাদা চুক্তি হবে। তবে চুক্তি সইয়ের আগে কোম্পানিগুলোকে অগ্রিম ২৪ মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। সে জন্য তাদের দেড় মাস সময় দেয়া হয়েছে। এই হিসাবে ডিসেম্বর মাস সময় পাচ্ছে কোম্পানিগুলো। ভাড়া জমা দেয়ার পর তবেই চুক্তি হবে।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, নরসিংদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিলসের ইজারা পাওয়া বে ফুটওয়্যার লিমিটেড যৌথভাবে এ কারখানা পরিচালনা করবে। ঘোড়াশালে অবস্থিত এ পাটকলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে। ৭৭ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই পাটকল জাতীয়করণ হয় ১৯৭২ সালে। পাটকলটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে যৌথভাবে পাঁচটি কোম্পানি। সেগুলো হলো বে ফুটওয়্যার লিমিটেড, সামুদা কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেড, হংকংভিত্তিক বেসলা লিমিটেড, তাইওয়ানের গিয়া জুই এন্টারপ্রাইজ ও বিএন ট্রেডিং।
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে আসা পাটকলগুলো অবশেষে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে সরকার। দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ২৬টি পাটকলের মধ্যে ৫টি পাটকল ভিন্ন আবহে যাত্রা শুরু করছে। সরকারের হাত থেকে বেরিয়ে বেসরকারি খাতের হাত ধরে নতুন বছরের শুরুতেই সচল হবে এসব কারখানা। ফলে আবার ঘুরবে যন্ত্রপাতি। উৎপাদন শুরু হবে কারখানায়। নতুন করে যোগ দেবেন শ্রমিক। তৈরি হবে কর্মসংস্থান।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করে পাঁচটি পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে সরকার। শুধু দেশি নয়, বিদেশি কোম্পানিও পাটকল পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে। ২০ বছরের জন্য এসব পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে শর্ত দেয়া হয়েছে, যারা কারখানা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, পাট সম্পর্কিত পণ্য ছাড়া কারখানায় অন্য পণ্য উৎপাদন করতে পারবে না তারা। ২৪ মাসের অগ্রিম ভাড়া সরকারের হাতে জমা দিতে হবে। তারপর বুঝিয়ে দেয়া হবে কারখানা।
পাট হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এ শিল্প আমরা পুনর্জাগ্রত করতে চাই। সে জন্য এখানে নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করতে হবে। অভিজ্ঞ মানুষদের নিয়োগ দিতে হবে।
মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে মিমো জুট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। নরসিংদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে বে ফুটওয়্যার লিমিটেড। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত হাফিজ জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে সাদ মুসা গ্রুপ। সিরাজগঞ্জে অবস্থিত জাতীয় জুট মিলস পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে যুক্তরাজ্যের জুট রিপাবলিক। চট্টগ্রামে অবস্থিত কেএফডি জুট মিলস পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে ইউনিটেক্স কম্পোজিট।
এই পাঁচটি পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংও মিলেছে। এখন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির আলাদা চুক্তি হবে। তবে চুক্তি সইয়ের আগে কোম্পানিগুলোকে অগ্রিম ২৪ মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। সে জন্য তাদের দেড় মাস সময় দেয়া হয়েছে। এই হিসাবে ডিসেম্বর মাস সময় পাচ্ছে কোম্পানিগুলো। ভাড়া জমা দেয়ার পর তবেই চুক্তি হবে।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, নরসিংদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিলসের ইজারা পাওয়া বে ফুটওয়্যার লিমিটেড যৌথভাবে এ কারখানা পরিচালনা করবে। ঘোড়াশালে অবস্থিত এ পাটকলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে। ৭৭ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই পাটকল জাতীয়করণ হয় ১৯৭২ সালে। পাটকলটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে যৌথভাবে পাঁচটি কোম্পানি। সেগুলো হলো বে ফুটওয়্যার লিমিটেড, সামুদা কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেড, হংকংভিত্তিক বেসলা লিমিটেড, তাইওয়ানের গিয়া জুই এন্টারপ্রাইজ ও বিএন ট্রেডিং।