alt

উপায় খুঁজতে বললেন মন্ত্রী, নতুন মজুরি বোর্ডের দাবি পোশাক শ্রমিক নেতাদের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ৩১ আগস্ট ২০২২

নিত্যপণ্যের বেড়ে যাওয়া দামের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা এখন বেশি ওভারটাইম করছেন। এই অতিরিক্ত কায়িক শ্রমের ধকল সইতে না পেরে মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ‘বেঁচে থাকার মতো ব্যয় নির্বাহে’ নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

এই দাবির জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘তারা শ্রমিকদের ভালো চান। তাদের যেমন অর্ধাহারে দেখতে চান না, আবার মালিকরাও ব্যয় সামলাতে না পেরে ছিটকে পড়ুক, তাও দেখতে চান না। এ ক্ষেত্রে একটি মধ্যপন্থা খুঁজে বের করতে হবে।’

বুধবার (৩১ আগস্ট) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়। এর বিষয় ছিল ‘পোশাক খাতে সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি : শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত হচ্ছে কি?’ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে বিভিন্ন স্তরের শ্রমিক নেতা এবং মালিক সংগঠন ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকরা চরম সংকটে রয়েছে দাবি করে গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্তু ঘোষ বলেন, ‘যে আয় আছে তা দিয়ে সে (শ্রমিক) চলতে পারছে না। বাবা-মা-ভাইবোনকে সে খাওয়াতে পারছে না। পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতেই বাড়তি পরিশ্রম করে তার জীবন ধ্বংস করছে। একজন শ্রমিক আট ঘণ্টার জায়গায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করছে। হাড়ভাঙা অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে ইতোমধ্যে কেউ কেউ মারাও গেছে। অথচ মালিকরা মনে করেন শ্রমিকরা ভালো আছে।’

সরকার অভিভাবক হলেও সংকট সমাধানের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি যদি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা না করে, মালিকরা যদি আমলে না নেয়, তাহলে পোশাক খাতে শ্রমিকরা আকস্মিক বিক্ষুব্ধ হয়ে যেতে পারে।’ এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে পোশাকশ্রমিকদের রেশনিংয়ের আওতায় আনার পরামর্শও দেন এই শ্রমিক নেতা।

শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তার দাবি করেন, ‘দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, শ্রমিকদের বেঁচে থাকার কষ্ট আরও বেড়েছে। অথচ বর্তমান মজুরি স্ট্যান্ডার্ডে থাকা তো দূরের কথা, মিনিমাম ওয়েজ স্ট্যান্ডার্ডেও বেঁচে থাকার ধারেকাছে নেই। কিন্তু সুসংগঠিত ট্রেড ইউনিয়ন না থাকায় সেই দাবিটিও শ্রমিকরা জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারছে না। তাদের চাকরি হারানোর ভয় আছে।’

কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘করোনা কেটে যাওয়ার পর পোশাক খাতের শ্রমিকের কাজ করার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আশঙ্কাজনক হলো, দেশে যে নারী শ্রমিক একটা সময় ৮৫ শতাংশ ছিল, সেটি ধীরে ধীরে কমে ৬৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কেন এই নারী শ্রমিকের আধিক্য পোশাক খাতে কমে এলো, তা নিয়ে গবেষণার দাবি রাখে।’

তিনি জানান, শ্রমিকের আয়ের তুলনায় ব্যয় সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে। ব্যয় সামলাতে তারা এখন আগের থেকে বেশি কাজ করছে। এতে ৮৪ শতাংশ কারখানায় অতিরিক্ত কাজের চাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পোশাক কারখানাগুলোতে গড়ে ৪০ জন করে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। নারী শ্রমিকের প্রতি যৌন হয়রানি কমলেও সাম্প্রতিক সময় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা সাবকন্ট্রাক্টের কারখানায় বেড়েছে। অনেক কারখানায় শ্রমিকরা যথাযথ আইনি অধিকার পায় না। ব্র্যান্ড বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর লেবার রাইট ইস্যুতে মনিটরিং আগের তুলনায় কমেছে। এর বিপরীতে সাম্প্রতিক সময় পোশাক কারখানাগুলোতে ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোর অর্ডার বেড়েছে।

এসব বক্তেব্যের জবাবে নিট পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ‘আমরা আসলে সমস্যাগুলো আগে দেখি যাতে সমাধানটা বের করা যায়। সে কারণে সমস্যাগুলোই সবার সামনে আগে আসে। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হচ্ছে না এই দাবিও সঠিক নয়।’

বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘দেশে এখন ১১৩৬ ইউনিয়ন আছে। ফলে ইউনিয়ন করতে দেয়া হচ্ছে না- এই দাবি সঠিক নয়। নারী শ্রমিকের ঘাটতির পেছনে নারীর কাজে দক্ষতার ঘাটতিই দায়ী।

আগের তুলনায় পোশাক খাতের শ্রমিকরা ভালো আছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের আয়, পোশাক-আশাক, চলনেবলনে ও দক্ষতায় আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। এসব কারণে পোশাক খাতেও সমৃদ্ধি বেড়েছে। আমাদের একটি ব্যালেন্স ওয়ে আউট বের করতে হবে। সমস্যা থাকবে। এর জন্য আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।’

ছবি

হালাল শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত ইকোসিস্টেম জরুরী: ডিসিসিআই

ছবি

কাগজের টাকা ছাপাতেই বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিএসইতে বাজার মূলধন কমলো প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা

ছবি

৬০০ গ্রেড রডে নির্মাণকাজ ব্যয়সাশ্রয়ী ও টেকসই হয়, গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

ছবি

চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণায় কমছে বিটকয়েনের দাম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এ০৭ উন্মোচন

ছবি

চার মাস ধরে সবজি বাজার ঊর্ধ্বমুখী, কিছুটা ঝাঁজ কমেছে মরিচে

ছবি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ

ছবি

সাম্প্রতিক ধাক্কা সামলানো গেলেও আগামী দিনগুলো আশাব্যঞ্জক নয়: আইএমএফ

ছবি

স্কুল ফিডিংয়ে ডিম যুক্ত করতে হবে: ফরিদা আখতার

ছবি

মেঘনা ব্যাংকের নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদান করেছেন

ছবি

মিউচুয়াল ফান্ডের প্রস্তাবিত বিধিমালায় জনমত আহ্বান

ছবি

এসএমই খাতে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার

সংকটাপন্ন পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, অধ্যাদেশ হচ্ছে

ছবি

এনবিআরের সব কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক চালু

ছবি

নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে প্রশাসক নিয়োগ

ছবি

সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালা পেছানোর দাবি

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবি

ছবি

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা শোনে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

ছবি

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন

ছবি

ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

১০ জন শ্রমিকে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের বিধান চায় স্কপ

ছবি

এআই ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমবাজারে ৭ শতাংশ চাকরি ঝুঁকির মুখে

ছবি

বিজনেস সামিট: তথ্যপ্রযুক্তি-জ্বালানিসহ ৫ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৌদি ব্যবসায়ীদের

ছবি

বাজারে এআই প্রযুক্তি সমৃদ্ধ লেনেভো ব্র্যান্ডের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

বাজারে আসছে এআই পার্টি ফোন রিয়েলমি ১৫ সিরিজ

ছবি

চীন থেকে ২০টি যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে মন্তব্যে অনাগ্রহ অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশি, এটি কমানো সম্ভব: গভর্নর

ছবি

ব্যাংক একীভূত হলে সবার আগে ২ লাখ টাকার কম আমানত ফেরত

ছবি

তিন দেশ থেকে ১৮৪৭ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

ছবি

রেমিট্যান্সে করারোপের পরামর্শ আইএমএফের, পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ

ছবি

ট্রাম্প শুল্কে রপ্তানি আয়ে চাপ, টানা ২ মাসে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি

tab

উপায় খুঁজতে বললেন মন্ত্রী, নতুন মজুরি বোর্ডের দাবি পোশাক শ্রমিক নেতাদের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ৩১ আগস্ট ২০২২

নিত্যপণ্যের বেড়ে যাওয়া দামের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা এখন বেশি ওভারটাইম করছেন। এই অতিরিক্ত কায়িক শ্রমের ধকল সইতে না পেরে মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ‘বেঁচে থাকার মতো ব্যয় নির্বাহে’ নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

এই দাবির জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘তারা শ্রমিকদের ভালো চান। তাদের যেমন অর্ধাহারে দেখতে চান না, আবার মালিকরাও ব্যয় সামলাতে না পেরে ছিটকে পড়ুক, তাও দেখতে চান না। এ ক্ষেত্রে একটি মধ্যপন্থা খুঁজে বের করতে হবে।’

বুধবার (৩১ আগস্ট) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়। এর বিষয় ছিল ‘পোশাক খাতে সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি : শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত হচ্ছে কি?’ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে বিভিন্ন স্তরের শ্রমিক নেতা এবং মালিক সংগঠন ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকরা চরম সংকটে রয়েছে দাবি করে গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্তু ঘোষ বলেন, ‘যে আয় আছে তা দিয়ে সে (শ্রমিক) চলতে পারছে না। বাবা-মা-ভাইবোনকে সে খাওয়াতে পারছে না। পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতেই বাড়তি পরিশ্রম করে তার জীবন ধ্বংস করছে। একজন শ্রমিক আট ঘণ্টার জায়গায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করছে। হাড়ভাঙা অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে ইতোমধ্যে কেউ কেউ মারাও গেছে। অথচ মালিকরা মনে করেন শ্রমিকরা ভালো আছে।’

সরকার অভিভাবক হলেও সংকট সমাধানের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি যদি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা না করে, মালিকরা যদি আমলে না নেয়, তাহলে পোশাক খাতে শ্রমিকরা আকস্মিক বিক্ষুব্ধ হয়ে যেতে পারে।’ এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে পোশাকশ্রমিকদের রেশনিংয়ের আওতায় আনার পরামর্শও দেন এই শ্রমিক নেতা।

শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তার দাবি করেন, ‘দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, শ্রমিকদের বেঁচে থাকার কষ্ট আরও বেড়েছে। অথচ বর্তমান মজুরি স্ট্যান্ডার্ডে থাকা তো দূরের কথা, মিনিমাম ওয়েজ স্ট্যান্ডার্ডেও বেঁচে থাকার ধারেকাছে নেই। কিন্তু সুসংগঠিত ট্রেড ইউনিয়ন না থাকায় সেই দাবিটিও শ্রমিকরা জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারছে না। তাদের চাকরি হারানোর ভয় আছে।’

কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘করোনা কেটে যাওয়ার পর পোশাক খাতের শ্রমিকের কাজ করার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আশঙ্কাজনক হলো, দেশে যে নারী শ্রমিক একটা সময় ৮৫ শতাংশ ছিল, সেটি ধীরে ধীরে কমে ৬৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কেন এই নারী শ্রমিকের আধিক্য পোশাক খাতে কমে এলো, তা নিয়ে গবেষণার দাবি রাখে।’

তিনি জানান, শ্রমিকের আয়ের তুলনায় ব্যয় সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে। ব্যয় সামলাতে তারা এখন আগের থেকে বেশি কাজ করছে। এতে ৮৪ শতাংশ কারখানায় অতিরিক্ত কাজের চাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পোশাক কারখানাগুলোতে গড়ে ৪০ জন করে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। নারী শ্রমিকের প্রতি যৌন হয়রানি কমলেও সাম্প্রতিক সময় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা সাবকন্ট্রাক্টের কারখানায় বেড়েছে। অনেক কারখানায় শ্রমিকরা যথাযথ আইনি অধিকার পায় না। ব্র্যান্ড বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর লেবার রাইট ইস্যুতে মনিটরিং আগের তুলনায় কমেছে। এর বিপরীতে সাম্প্রতিক সময় পোশাক কারখানাগুলোতে ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোর অর্ডার বেড়েছে।

এসব বক্তেব্যের জবাবে নিট পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ‘আমরা আসলে সমস্যাগুলো আগে দেখি যাতে সমাধানটা বের করা যায়। সে কারণে সমস্যাগুলোই সবার সামনে আগে আসে। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হচ্ছে না এই দাবিও সঠিক নয়।’

বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘দেশে এখন ১১৩৬ ইউনিয়ন আছে। ফলে ইউনিয়ন করতে দেয়া হচ্ছে না- এই দাবি সঠিক নয়। নারী শ্রমিকের ঘাটতির পেছনে নারীর কাজে দক্ষতার ঘাটতিই দায়ী।

আগের তুলনায় পোশাক খাতের শ্রমিকরা ভালো আছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের আয়, পোশাক-আশাক, চলনেবলনে ও দক্ষতায় আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। এসব কারণে পোশাক খাতেও সমৃদ্ধি বেড়েছে। আমাদের একটি ব্যালেন্স ওয়ে আউট বের করতে হবে। সমস্যা থাকবে। এর জন্য আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।’

back to top