পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন ‘শহীদ জননী’ জাহানারা ইমাম। মৃত্যুর ২৮ বছর পর সেই শেয়ার ও লভ্যাংশের অর্থ ফেরত পেতে যাচ্ছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অর্থের চেক তুলে দেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল (সিএমএসএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন।
জাহানারা ইমাম ১৯৯৩ সালে দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডে নামে একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। এই কোম্পানি বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল বাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ওটিসি (ওভার দ্যা কাউন্টার) বাজারে রয়েছে। বিনিয়োগের সেই মূল অর্থ এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত লভ্যাংশ মিলিয়ে জাহানারা ইমামের প্রাপ্য অর্থ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪১০ টাকা।
জানা যায়, জাহানারা ইমামের পক্ষে এসব নেবেন তার ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামীর। অনুষ্ঠানে চেক হস্তান্তর করবেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম ও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
জাহানারা ইমাম বিনিয়োগ করা কোম্পানি ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) এখনও মার্কেটে রয়েছে। বর্তমানে প্রতি শেয়ারের দাম ১১০ টাকা। জাহানারা ইমাম ৬৫ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালে মারা যান। ২৮ বছর পর জাহানারা ইমামের বিনিয়োগ করা শেয়ার এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে শেয়ারের লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৪১০ টাকা, যা গত ২৮ বছর কোম্পানিটির কাছে ছিল। এখন অর্থ পরিশোধ করছে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে (সিএমএসএফ)। তহবিলটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের কাছে শেয়ারগুলো দাবিহীন ছিল। সিএমএসএফ গঠন হওয়ার পর নির্ধারিত সময় দিয়ে কোম্পানিটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বিনিয়োগকারীদের অর্থ জমা দেওয়ার জন্য। কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ টাকা আমাদের ফান্ডে জমা দিয়েছে। আমরা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলের কাছে এ অর্থ হস্তান্তর করবো।
তিনি বলেন, সিএমএসএফের মাধ্যমে তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও তাদের উত্তরাধিকারীদের অর্থ দ্রুত পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। মঙ্গলবার ৪০ জনের বেশি ব্যক্তিকে ৭০ লাখ টাকার চেক দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জাহানারা ইমাম ছিলেন একজন বাংলাদেশি লেখিকা, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক। বাংলাদেশে ‘শহীদ জননী’ হিসেবে তিনি পরিচিত। ১৯২৯ সালের ৩ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন তার ছেলে শফি ইমাম রুমী, স্বামী শরীফ ইমামও ওই সময়ে মারা যান। ‘একাত্তরের দিনগুলি’র লেখক জাহানারা ইমাম ১৯৮৮ সালে ‘বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ সাহিত্য পুরস্কার’ ও ‘কমর মুষতারী সাহিত্য পুরস্কার’ পান। ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি।
দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভোগার পর ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মারা যান জাহানারা ইমাম।
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন ‘শহীদ জননী’ জাহানারা ইমাম। মৃত্যুর ২৮ বছর পর সেই শেয়ার ও লভ্যাংশের অর্থ ফেরত পেতে যাচ্ছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অর্থের চেক তুলে দেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল (সিএমএসএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন।
জাহানারা ইমাম ১৯৯৩ সালে দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডে নামে একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। এই কোম্পানি বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল বাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ওটিসি (ওভার দ্যা কাউন্টার) বাজারে রয়েছে। বিনিয়োগের সেই মূল অর্থ এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত লভ্যাংশ মিলিয়ে জাহানারা ইমামের প্রাপ্য অর্থ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪১০ টাকা।
জানা যায়, জাহানারা ইমামের পক্ষে এসব নেবেন তার ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামীর। অনুষ্ঠানে চেক হস্তান্তর করবেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম ও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
জাহানারা ইমাম বিনিয়োগ করা কোম্পানি ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) এখনও মার্কেটে রয়েছে। বর্তমানে প্রতি শেয়ারের দাম ১১০ টাকা। জাহানারা ইমাম ৬৫ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালে মারা যান। ২৮ বছর পর জাহানারা ইমামের বিনিয়োগ করা শেয়ার এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে শেয়ারের লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৪১০ টাকা, যা গত ২৮ বছর কোম্পানিটির কাছে ছিল। এখন অর্থ পরিশোধ করছে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে (সিএমএসএফ)। তহবিলটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের কাছে শেয়ারগুলো দাবিহীন ছিল। সিএমএসএফ গঠন হওয়ার পর নির্ধারিত সময় দিয়ে কোম্পানিটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বিনিয়োগকারীদের অর্থ জমা দেওয়ার জন্য। কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ টাকা আমাদের ফান্ডে জমা দিয়েছে। আমরা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলের কাছে এ অর্থ হস্তান্তর করবো।
তিনি বলেন, সিএমএসএফের মাধ্যমে তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও তাদের উত্তরাধিকারীদের অর্থ দ্রুত পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। মঙ্গলবার ৪০ জনের বেশি ব্যক্তিকে ৭০ লাখ টাকার চেক দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জাহানারা ইমাম ছিলেন একজন বাংলাদেশি লেখিকা, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক। বাংলাদেশে ‘শহীদ জননী’ হিসেবে তিনি পরিচিত। ১৯২৯ সালের ৩ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন তার ছেলে শফি ইমাম রুমী, স্বামী শরীফ ইমামও ওই সময়ে মারা যান। ‘একাত্তরের দিনগুলি’র লেখক জাহানারা ইমাম ১৯৮৮ সালে ‘বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ সাহিত্য পুরস্কার’ ও ‘কমর মুষতারী সাহিত্য পুরস্কার’ পান। ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি।
দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভোগার পর ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মারা যান জাহানারা ইমাম।