alt

অর্থ-বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৫১ শতাংশ বেড়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২

যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এটি আগের বছরের প্রথম নয় মাসের তুলনায় প্রায় ৫১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ‘অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল’ (অটেক্সা) প্রকাশিত সর্বশেষ পোশাক আমদানির পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে বর্হিবিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ৩৪ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পোশাক আমদানির ৩য় বৃহত্তম উৎস হিসাবে অবস্থান ধরে রেখেছে।

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘কোভিডকালীন সময়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের নানামুখী পদক্ষেপ এবং কমপ্লায়েন্স পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের পোশাক কেনার আগ্রহ বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশটির চীন থেকে পোশাক আমদানি কমানোর প্রভাব বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হয়েছে।’

অটেক্সা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সর্ব বৃহৎ পোশাক সরবরাহকারী। এরপরে ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ভিয়েতনামের অবস্থান। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি ১৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, বছরওয়ারি ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চেইন শপ ওয়ালমার্টসহ শীর্ষ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত কয়েক মাস অনেক অর্ডার স্থগিত রেখেছিল। পরে সেসব স্থগিত করা অর্ডার অনুযায়ী তারা পোশাক নিতে আগ্রহ দেখায়। আমরা তাদের চাহিদামতো পোশাক রপ্তানি করেছি। এর ফলে দেশটিতে আমাদের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। এ ছাড়া কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমাদের পোশাকের ইউনিট প্রাইস বেড়েছে। এ কারণেও রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে। তৃতীয়ত-মার্কিন বাজারে আমরা হাই ভ্যালু প্রডাক্ট রপ্তানি বাড়িয়েছি। আশা করছি আগামী আরও কয়েক মাস এ অবস্থা বিরাজ থাকবে।’

এর আগে তৈরি পোশাক রপ্তানি ফের দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। একবছর ধরে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে রেখেছিল ভিয়েতনাম। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বে পোশাক রপ্তানি ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিও বেড়ে বেড়েছে। অন্যদিকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সব শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের।

এই সময়ে ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমান ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের।

সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২২’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বরাবরের মতো বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউভুক্ত দেশগুলো ১৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তবে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক। আর তৃতীয় ভিয়েতনাম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীন, ইইউ, বাংলাদেশ, ভিয়েতনামসহ শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশ গত বছর ৪৬ হাজার কোটি বা ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক বিক্রি করেছে। অন্যদিকে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, কোরিয়া, রাশিয়াসহ শীর্ষ ১০ আমদানিকারক দেশ ৪১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক কিনেছে।

২০২০ সালে করোনাকালে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হয়ে যায় ভিয়েতনাম। তার কয়েক বছর আগে থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করেছে দেশটি। যদিও এক বছরের ব্যবধানে ২০২১ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে ইউরোপিয় পরিসংখ্যান সংস্থা, ইউরোস্ট্যাট জানুয়ারী-আগস্ট ২০২২ সময়ে পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সব শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের।

ছবি

‘শাটডাউন’ এর মধ্যে কাস্টমস চাকরিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করল সরকার

ছবি

স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে তদন্তে ভয় নেই’— এনবিআর ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিমানবন্দরের ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম গুটাতে বলল কর্তৃপক্ষ

ছবি

অর্থবছরের শেষ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম

ছবি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ থাকবে

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: ডিবিএ সভাপতি

ছবি

দাম কমেছে অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনের

ছবি

দুদক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার বেড়ে ৫

ছবি

রাজস্ব আদায়ে জোর, ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ: নিট রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন

স্টার্লিংয়ের এফডিআরের টাকা ফেরত দেয়নি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, তদন্তে বিএসইসি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে পোশাকের দাম বাড়ছে: এইচঅ্যান্ডএম সিইও

ছবি

আলোচনার আশা ভেঙে সচিবালয় থেকে ফিরে গেলেন এনবিআর আন্দোলনকারীরা

লজিস্টিক পলিসির বাস্তবায়নে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান অপরিহার্য: ঢাকা চেম্বার

পরপর পাঁচ কার্যদিবস উত্থানে শেয়ারবাজার

ছবি

জাপান ও ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে কাস্টমস কার্যক্রমে অচলাবস্থা

ছবি

‘শর্ত ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর অনুরোধ

ছবি

বিদেশিদের হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এনসিটি পরিচালনায় আলোচনায় নৌবাহিনী

ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: ডিসিসিআই

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করলো বিডা

ছবি

কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হয়রানি দূর করার দাবি

ছবি

বাজার মূলধনে যোগ হলো ১১ হাজার কোটি টাকা

ছবি

এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ কাম্য নয়, হয়রানিমুক্ত এনবিআর চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ফাউন্ডেশনের ‘কৃষি খাদ্যের অগ্রদূত’ তালিকায় আবদুল আউয়ালমিন্টু

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান অর্থ মন্ত্রণালয়ের

ছবি

নগদের বোর্ড পুনর্গঠন, চেয়ারম্যান কাইজার আহমেদ চৌধুরী

ছবি

ব্যাংকের সীমাতিরিক্ত টাকা পরিশোধ বাধ্যতামূলক করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

ট্রাম্পের শুল্কনীতি পোশাক শিল্পের জন্য মরণফাঁদ: শ্রমিক ফেডারেশন

স্বল্প আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশই মানুষ সকালের খাবার খায় না: জরিপ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৫১ শতাংশ বেড়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২

যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এটি আগের বছরের প্রথম নয় মাসের তুলনায় প্রায় ৫১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ‘অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল’ (অটেক্সা) প্রকাশিত সর্বশেষ পোশাক আমদানির পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে বর্হিবিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ৩৪ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পোশাক আমদানির ৩য় বৃহত্তম উৎস হিসাবে অবস্থান ধরে রেখেছে।

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘কোভিডকালীন সময়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের নানামুখী পদক্ষেপ এবং কমপ্লায়েন্স পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের পোশাক কেনার আগ্রহ বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশটির চীন থেকে পোশাক আমদানি কমানোর প্রভাব বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হয়েছে।’

অটেক্সা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সর্ব বৃহৎ পোশাক সরবরাহকারী। এরপরে ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ভিয়েতনামের অবস্থান। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি ১৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, বছরওয়ারি ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চেইন শপ ওয়ালমার্টসহ শীর্ষ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত কয়েক মাস অনেক অর্ডার স্থগিত রেখেছিল। পরে সেসব স্থগিত করা অর্ডার অনুযায়ী তারা পোশাক নিতে আগ্রহ দেখায়। আমরা তাদের চাহিদামতো পোশাক রপ্তানি করেছি। এর ফলে দেশটিতে আমাদের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। এ ছাড়া কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমাদের পোশাকের ইউনিট প্রাইস বেড়েছে। এ কারণেও রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে। তৃতীয়ত-মার্কিন বাজারে আমরা হাই ভ্যালু প্রডাক্ট রপ্তানি বাড়িয়েছি। আশা করছি আগামী আরও কয়েক মাস এ অবস্থা বিরাজ থাকবে।’

এর আগে তৈরি পোশাক রপ্তানি ফের দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। একবছর ধরে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে রেখেছিল ভিয়েতনাম। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বে পোশাক রপ্তানি ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিও বেড়ে বেড়েছে। অন্যদিকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সব শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের।

এই সময়ে ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমান ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের।

সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২২’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বরাবরের মতো বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউভুক্ত দেশগুলো ১৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তবে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক। আর তৃতীয় ভিয়েতনাম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীন, ইইউ, বাংলাদেশ, ভিয়েতনামসহ শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশ গত বছর ৪৬ হাজার কোটি বা ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক বিক্রি করেছে। অন্যদিকে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, কোরিয়া, রাশিয়াসহ শীর্ষ ১০ আমদানিকারক দেশ ৪১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক কিনেছে।

২০২০ সালে করোনাকালে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হয়ে যায় ভিয়েতনাম। তার কয়েক বছর আগে থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করেছে দেশটি। যদিও এক বছরের ব্যবধানে ২০২১ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে ইউরোপিয় পরিসংখ্যান সংস্থা, ইউরোস্ট্যাট জানুয়ারী-আগস্ট ২০২২ সময়ে পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সব শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের।

back to top