মেহমুদ হোসেনকেই মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত এমডি পদে রাখতে হবে ন্যাশনাল ব্যাংককে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থেকে সে নির্দেশা দেয়া হয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদকে।
গত ২৩ জানুয়ারি ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদারকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। সে বৈঠকে তিন ডেপুটি গভর্নর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মেহমুদ হোসেনের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঐ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র বলেছে, বৈঠকে গভর্নর জানান মেহমুদ হোসেনকে মেয়াদের ১ ঘণ্টা আগেও বাদ দেয়া যাবে না। তাকে তার মেয়াদ পূর্ণ করতে দিতে হবে। আর ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে কঠোরভাবে নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন গভর্নর।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সংবাদকে বলেন, ‘এমডির পদত্যাগপত্র এ পর্যন্ত গ্রহণ করেনি ব্যাংকটি। তাই মেহমুদ হোসেনই ব্যাংকের এমডি হিসেবে আছেন।’
এ বিষয়ে মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে যোগাযোগ করেও মেহমুদ হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর এমডির দায়িত্ব থাকা ব্যাংকটির ডিএমডি সৈয়দ রইস উদ্দিনকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
গত ১৮ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন (এমডি)। অভিযোগ পরিচালনা পর্ষদের কোন কোন সদস্যদের সঙ্গে ঋণ অনুমোদনে মতবিরোধের কারণে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। এর আগেও ছয় বছরে ৪ জন এমডিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ব্যাংকটি থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
সম্প্রতি মেহমুদ হোসনে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১১ মাস আগেই পদত্যাগ করায় আবারও আলোচনা আসে বিভিন্ন অনিয়মে ধুঁকতে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক রোববার ন্যাশনাল ব্যাংকের ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ ও শতভাগ টাকা জমা ছাড়া ঋণপত্র খোলায় নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ব্যাংকের এমডিদের সুরক্ষায় ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোন এমডি পদত্যাগ করতে চাইলে এক মাস আগে নিজ ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কারো চুক্তি বাতিল করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না। তবে এতদিন এই নিয়মের প্রয়োগ দেখা যায়নি।
ন্যাশনাল ব্যাংকেরই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অনেকে এমডিরেই বিদায় নিতে হয়েছে। এর বাইরে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের দুই এমডিকেও মেয়াদের আগে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক ও স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকেও একই ঘটনা ঘটেছে। এসব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ব্যাংক এমডিদের সঙ্গে এক সভায় গভর্নর আবদুুর রউফ তালুকদার বলেছেন, কোন অনিয়মের চাপ এলে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে। বাংলাদেশ ব্যাংক এমডিদের সুরক্ষা দেবে। অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয় না। ব্যাংকের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা তার থাকবে। তাই আরই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল ব্যাংকে পরিচালনা পর্ষদকে ডেকে এমডি মেহমুদ হোসেনকে স্বপদে রাখার নির্দেশ দেয়া হয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যে কারণে ২০১৪ সালে ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংকটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন সমন্বয়ক দায়িত্ব পালন করলেও ব্যাংকটির অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। ব্যাংকটির মালিকানায় রয়েছে সিকদার গ্রুপ। তারাই ব্যাংকটির নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুয়ায়ী বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ১১ হাজার ৩৩৬ কোটি। বিতরণ করা ঋণের যা ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৭ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। ব্যাংকটির ঋণ আমানত অনুপাতের হার ৯২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ বেশি।
রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
মেহমুদ হোসেনকেই মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত এমডি পদে রাখতে হবে ন্যাশনাল ব্যাংককে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থেকে সে নির্দেশা দেয়া হয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদকে।
গত ২৩ জানুয়ারি ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদারকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। সে বৈঠকে তিন ডেপুটি গভর্নর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মেহমুদ হোসেনের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঐ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র বলেছে, বৈঠকে গভর্নর জানান মেহমুদ হোসেনকে মেয়াদের ১ ঘণ্টা আগেও বাদ দেয়া যাবে না। তাকে তার মেয়াদ পূর্ণ করতে দিতে হবে। আর ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে কঠোরভাবে নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন গভর্নর।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সংবাদকে বলেন, ‘এমডির পদত্যাগপত্র এ পর্যন্ত গ্রহণ করেনি ব্যাংকটি। তাই মেহমুদ হোসেনই ব্যাংকের এমডি হিসেবে আছেন।’
এ বিষয়ে মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে যোগাযোগ করেও মেহমুদ হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর এমডির দায়িত্ব থাকা ব্যাংকটির ডিএমডি সৈয়দ রইস উদ্দিনকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
গত ১৮ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন (এমডি)। অভিযোগ পরিচালনা পর্ষদের কোন কোন সদস্যদের সঙ্গে ঋণ অনুমোদনে মতবিরোধের কারণে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। এর আগেও ছয় বছরে ৪ জন এমডিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ব্যাংকটি থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
সম্প্রতি মেহমুদ হোসনে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১১ মাস আগেই পদত্যাগ করায় আবারও আলোচনা আসে বিভিন্ন অনিয়মে ধুঁকতে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক রোববার ন্যাশনাল ব্যাংকের ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ ও শতভাগ টাকা জমা ছাড়া ঋণপত্র খোলায় নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ব্যাংকের এমডিদের সুরক্ষায় ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোন এমডি পদত্যাগ করতে চাইলে এক মাস আগে নিজ ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কারো চুক্তি বাতিল করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না। তবে এতদিন এই নিয়মের প্রয়োগ দেখা যায়নি।
ন্যাশনাল ব্যাংকেরই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অনেকে এমডিরেই বিদায় নিতে হয়েছে। এর বাইরে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের দুই এমডিকেও মেয়াদের আগে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক ও স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকেও একই ঘটনা ঘটেছে। এসব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ব্যাংক এমডিদের সঙ্গে এক সভায় গভর্নর আবদুুর রউফ তালুকদার বলেছেন, কোন অনিয়মের চাপ এলে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে। বাংলাদেশ ব্যাংক এমডিদের সুরক্ষা দেবে। অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয় না। ব্যাংকের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা তার থাকবে। তাই আরই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল ব্যাংকে পরিচালনা পর্ষদকে ডেকে এমডি মেহমুদ হোসেনকে স্বপদে রাখার নির্দেশ দেয়া হয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যে কারণে ২০১৪ সালে ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংকটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন সমন্বয়ক দায়িত্ব পালন করলেও ব্যাংকটির অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। ব্যাংকটির মালিকানায় রয়েছে সিকদার গ্রুপ। তারাই ব্যাংকটির নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুয়ায়ী বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ১১ হাজার ৩৩৬ কোটি। বিতরণ করা ঋণের যা ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৭ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। ব্যাংকটির ঋণ আমানত অনুপাতের হার ৯২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ বেশি।