alt

অর্থ-বাণিজ্য

গ্যাস-বিদ্যুতের বাড়তি দামে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ‘ব্যয়বহুল’ হয়ে যাবে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জানুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আর এক দফা দাম বেড়েছে বিদ্যুতের। সঙ্গে গ্যাসের নতুন বাড়তি দামও কার্যকর হয়েছে গত বুধবার থেকে। বিদ্যুতের দাম গত মাসে ইউনিটপ্রতি ৫ শতাংশ বেড়েছে। এরপর শিল্পভেদে গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ৮৭ থেকে ১৭৮ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। বৃহস্পতিবার নতুন করে আবারও বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা এসেছে। গত বুধবার থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসটি শুরু হচ্ছে উদ্যোক্তাদের বড় ধরনের দুশ্চিন্তায়।

তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই দফা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম এক দফা বাড়ানোয় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, জ্বালানির দাম দফায় দফায় বাড়ানোর কারণে তারা চাপের মধ্যে পড়েছেন। পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। তাতে নতুন করে অনেক কোম্পানি লোকসানে চলে যাবে। আর যারা এরই মধ্যে লোকসানে চলে গেছে তাদের লোকসান আরও বাড়বে। পরিস্থিতি এমন যে টিকে থাকার কৌশল নির্ধারণেও এখন হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা শঙ্কায় আছি ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। দাম সমন্বয় মানে যদি হয় ৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি, তাহলে বলার কিছু নেই।’ বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গণমাধ্যমে বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। তাতে দেশে উৎপাদিত অনেক পণ্যের চেয়ে আমদানি করা পণ্য সস্তা হয়ে যেতে পারে। তার মানে দেশীয় পণ্য উৎপাদকেরা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোই বেশি ঝুঁকিতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ে বাজারভিত্তিক কাঠামোর কথা বলছে সরকার। তবে বাজারভিত্তিক কাঠামোর বড় শর্ত হচ্ছে, ব্যয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন। অথচ আয় বাড়ানোর উদ্যোগ থাকলেও ব্যয় সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেই।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম বেড়ে যায়। আবার দেশে দেখা দেয় ডলার সংকট। তাতে খোলাবাজার বা স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধের পাশাপাশি জ্বালানি তেল আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাতে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। বেড়ে যায় বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়, বেড়ে যায় উৎপাদন খরচ।

এর আগে গত আগস্টে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বৃদ্ধি করে জ্বালানি বিভাগ। সেই জেরে গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। আর গত ১৮ জানুয়ারি সার ও চা-শিল্প ছাড়া অন্য সব শিল্পের জন্য গ্যাসের প্রতি ইউনিটের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তাতে গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় শিল্পের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি বাড়ছে সাড়ে ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ছে এক লাফে ১৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সেই রেশ না কাটতেই বৃহস্পতিবার আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। গ্যাস-বিদ্যুতের নতুন এ দাম গত বুধবার থেকে কার্যকর।

নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমে জানান ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী প্রতি মাসে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। আমরা শঙ্কায় আছি, ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। দাম সমন্বয় মানে যদি হয় ৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি, তাহলে বলার কিছু নেই। দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে শিল্পকারখানার লোকসানের পরিমাণ বাড়বে। তাতে একপর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের বিল না দেয়ার কারণে অনেক কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।’

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্যাসের দাম পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। চিঠিতে তিনি সব শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ৫৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন দর আগামী এপ্রিল থেকে কার্যকর করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কামনা করেন।

জানতে চাইলে বস্ত্র কল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমে বলেন, ‘বস্ত্রকল কারখানায় গ্যাসের সংকট চলছে। এলএনজি আমদানি করতেও তো সময় লাগবে। তাই এলএনজি আমদানির পর গ্যাসের দাম বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করেছি। সরকার সেটি বিবেচনা করছে বলেও আমাদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।’

সিএজি কার্যালয়ের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নতুন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্টেন্টদের নিয়োগপত্র প্রদান

ছবি

ছয় নারী উদ্যোক্তা পেলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মাননা

ছবি

শুধু ভালো ব্যাংকগুলোই বিদেশে ব্যবসা করতে পারবে

সিএজি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন

ছবি

৭ দিনে ৯ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স

ছবি

পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি ১০ শতাংশ বেড়েছে

ছবি

পাবজি মোবাইলের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে ইনফিনিক্স

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে ফিলিপসের নতুন মনিটর

ছবি

শাওমির ১০ কোটি টাকার ঈদ ক্যাম্পেইন

ছবি

অর্থনৈতিক সুরক্ষায় নতুন অধ্যাদেশ: দেউলিয়া ব্যাংক সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নিতে পারবে সরকার

রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত

ছবি

দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় নতুন অধ্যাদেশ জারি, গঠিত হবে ব্রিজ ব্যাংক

ছবি

চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচনের জন্য প্রশাসকের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি

ছবি

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের নতুন কান্ট্রি চিফ রিস্ক অফিসার এনামুল হক

ছবি

বিকেএমইএ নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স

জেপি মরগান পেমেন্টসের ‘ওয়্যার ৩৬৫’ চালু করলো ব্র্যাক ব্যাংক

ছবি

রুগ্ন শিল্পের জন্য কার্যকর এক্সিট পলিসি প্রণয়নে কাজ করবে ফোরাম

ছবি

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেয়া যাবে

ছবি

কমিশন বাড়ানোসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীদের

ছবি

চব্বিশ ঘন্টা গ্যাস বিক্রির সুযোগ চান সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকরা

ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির সময় বাড়ল ৩১ মে পর্যন্ত

নতুন নীতিমালা, ব্যাংক পরিচালকদের বেনামি ঋণও হিসাবে আসবে

ছবি

পরপর পাঁচ সপ্তাহ পতনে বাজার মূলধন কমলো ২১ হাজার কোটি টাকা

ছবি

শেয়ারবাজারে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী

ছবি

মার্চে বেসরকারি ঋণে সুবাতাস

ছবি

কর অব্যাহতির ক্ষমতা এনবিআরের থাকছে না

দশ বছরের পুরাতন গাড়ি আমদানিযোগ্য করার দাবি বারভিডার

ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করল দুবাই চেম্বার

ছবি

১৭ ও ২৪ মে, দুই শনিবার ব্যাংক খোলা থাকবে

সঞ্চয়পত্র কেনায় রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখানোর বাধ্যবাধকতা থাকছে না

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের

ছবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে থেকে

ছবি

এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি কমেছে, পিএমআই সূচক নামলো ৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে

অনিবন্ধিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

বাংলাদেশ জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই নানা উদ্যোগ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

গ্যাস-বিদ্যুতের বাড়তি দামে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ‘ব্যয়বহুল’ হয়ে যাবে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জানুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আর এক দফা দাম বেড়েছে বিদ্যুতের। সঙ্গে গ্যাসের নতুন বাড়তি দামও কার্যকর হয়েছে গত বুধবার থেকে। বিদ্যুতের দাম গত মাসে ইউনিটপ্রতি ৫ শতাংশ বেড়েছে। এরপর শিল্পভেদে গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ৮৭ থেকে ১৭৮ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। বৃহস্পতিবার নতুন করে আবারও বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা এসেছে। গত বুধবার থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসটি শুরু হচ্ছে উদ্যোক্তাদের বড় ধরনের দুশ্চিন্তায়।

তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই দফা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম এক দফা বাড়ানোয় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, জ্বালানির দাম দফায় দফায় বাড়ানোর কারণে তারা চাপের মধ্যে পড়েছেন। পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। তাতে নতুন করে অনেক কোম্পানি লোকসানে চলে যাবে। আর যারা এরই মধ্যে লোকসানে চলে গেছে তাদের লোকসান আরও বাড়বে। পরিস্থিতি এমন যে টিকে থাকার কৌশল নির্ধারণেও এখন হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা শঙ্কায় আছি ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। দাম সমন্বয় মানে যদি হয় ৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি, তাহলে বলার কিছু নেই।’ বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গণমাধ্যমে বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। তাতে দেশে উৎপাদিত অনেক পণ্যের চেয়ে আমদানি করা পণ্য সস্তা হয়ে যেতে পারে। তার মানে দেশীয় পণ্য উৎপাদকেরা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোই বেশি ঝুঁকিতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ে বাজারভিত্তিক কাঠামোর কথা বলছে সরকার। তবে বাজারভিত্তিক কাঠামোর বড় শর্ত হচ্ছে, ব্যয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন। অথচ আয় বাড়ানোর উদ্যোগ থাকলেও ব্যয় সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেই।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম বেড়ে যায়। আবার দেশে দেখা দেয় ডলার সংকট। তাতে খোলাবাজার বা স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধের পাশাপাশি জ্বালানি তেল আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাতে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। বেড়ে যায় বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়, বেড়ে যায় উৎপাদন খরচ।

এর আগে গত আগস্টে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বৃদ্ধি করে জ্বালানি বিভাগ। সেই জেরে গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। আর গত ১৮ জানুয়ারি সার ও চা-শিল্প ছাড়া অন্য সব শিল্পের জন্য গ্যাসের প্রতি ইউনিটের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তাতে গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় শিল্পের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি বাড়ছে সাড়ে ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ছে এক লাফে ১৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সেই রেশ না কাটতেই বৃহস্পতিবার আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। গ্যাস-বিদ্যুতের নতুন এ দাম গত বুধবার থেকে কার্যকর।

নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমে জানান ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী প্রতি মাসে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। আমরা শঙ্কায় আছি, ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। দাম সমন্বয় মানে যদি হয় ৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি, তাহলে বলার কিছু নেই। দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে শিল্পকারখানার লোকসানের পরিমাণ বাড়বে। তাতে একপর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের বিল না দেয়ার কারণে অনেক কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।’

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্যাসের দাম পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। চিঠিতে তিনি সব শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ৫৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন দর আগামী এপ্রিল থেকে কার্যকর করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কামনা করেন।

জানতে চাইলে বস্ত্র কল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমে বলেন, ‘বস্ত্রকল কারখানায় গ্যাসের সংকট চলছে। এলএনজি আমদানি করতেও তো সময় লাগবে। তাই এলএনজি আমদানির পর গ্যাসের দাম বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করেছি। সরকার সেটি বিবেচনা করছে বলেও আমাদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।’

back to top