alt

অর্থ-বাণিজ্য

পোলট্রি খাতে ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা লুট

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

সরকারি তদারকি না থাকায় হরিলুট চলছে দেশের পোলট্রি খাতে- এমন অভিযোগ করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির দাবি, এই খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৫২ দিনে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেছে।

সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদারের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা ৩ হাজার ৫০০ টন। প্রান্তিক খামারিদের ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ এখন কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। তবে পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকা পর্যন্ত এসব মুরগি বিক্রি হয়েছে। তাতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কেজিপ্রতি অন্তত ৬০ টাকা বেশি মুনাফা করেছে।

করপোরেট প্রতিষ্ঠানের (তাদের চুক্তিভিত্তিক ফার্মসহ) মাধ্যমে থেকে প্রতিদিন দুই হাজার টন মুরগি বাজারে আসে। সেই হিসাবে দিনে তাদের অতিরিক্ত মুনাফা হয় ১২ কোটি টাকা। এভাবে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৫২ দিনে ৬২৪ কোটি টাকা মুরগি বিক্রির মাধ্যমে লাভ করেছে কোম্পানিগুলো। আর এক দিনের মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে তাদের মুনাফা ৩১২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটির দাবি, দেশে প্রতিদিন মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয় ২০ লাখ। এসব বাচ্চা কোম্পানিগুলো উৎপাদন করে। একেকটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতিটি এখন ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় দেয়ার কথা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। প্রতিটি বাচ্চায় ৩০ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণ প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে খামার বন্ধ করে উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়েছেন। এ সুযোগে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পোলট্রির ফিড বা খাবার ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক খামারি উৎপাদনে গেলে তখন বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে ক্ষতিতে ফেলছেন।

তারা আরও বলেছে, পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা শতভাগ উৎপাদন করে করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার আংশিক ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। চুক্তিভিত্তিক খামারও রয়েছে তাদের। এতে করে বাজার তাদের দখলে চলে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে এই খাতের অস্থিরতা কমানো সম্ভব নয়।

ছবি

বনশ্রীতে ‘হারল্যান স্টোর’ উদ্বোধন

ছবি

পেঁয়াজ আসছে দাম নামছে, আদা ও জিরায় আকাশচুম্বী

ছবি

১০ ব্যাংকেই প্রায় ৬২ শতাংশ খেলাপি ঋণ

ছবি

১০ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ালো ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিদের বিদেশ গমনের তথ্য জানানোর নির্দেশ

সহজের মালিকানায় আসছে এডিএন টেলিকম

ডিএসইতে ১০ কোম্পানিতেই ২৫ শতাংশ লেনদেন

ছবি

সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে এইচঅ্যান্ডএম গ্রুপের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান

ছবি

বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডে দোকান কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দাবি

ছবি

সরকারি-বেসরকারি ১০ ব্যাংকে ঋণ খেলাপির সিংহভাগ

ছবি

কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে ব্যাখ্যা দিল ইউনূস সেন্টার

আর্জেন্টিনা গিয়ে মেসিদের খেলা দেখার সুযোগ বিকাশে পেমেন্ট করে

ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শতাধিক প্রতিষ্ঠান

ছবি

লোডশেডিং ও গরমে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যানের

ছবি

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

ছবি

বাড়লো স্বর্ণের দাম

ছবি

নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬.০২ শতাংশই থাকবে : বিশ্বব্যাংক

সূচকের উত্থানেও লেনদেনে মন্দা

বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত নার্স নিতে চায় যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের অর্থনীতির উপরটা চকচকে, তবে গভীরতা কম : পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি

ভরিতে সোনার দাম বাড়লো ১৭৫০ টাকা

ছবি

জ্বালানি সংকটে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ : বিশ্বব্যাংক

ছবি

নতুন অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি আগের মতই রাখল বিশ্ব ব্যাংক, হবে ৬.২%

ছবি

এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা পরিশোধ করতে ৭ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

ছবি

ডিজিটাল আইনের মামলায় ইভ্যালির রাসেলের হাইকোর্টে জামিন

১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

ছবি

আমদানির ঘোষণায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন পুঁজিবাজারে

স্বর্ণের অলংকার বিক্রিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের

স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেট অসঙ্গতিপূর্ণ

নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ ৪ দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের বাজেট আলোচনা

ছবি

ঢুকছে ভারতীয় পেঁয়াজ: কেজিতে দাম পড়বে ৩০ টাকা, খবরে দেশে দাম কমল ২৫ টাকা

ছবি

পর পর ২ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেনের রেকর্ড

ছবি

দেশে মূল্যস্ফীতি ১২ বছরে সর্বোচ্চ

ছবি

কলকাতা না গিয়ে আকাশ থেকেই ফিরল বিমানের ফ্লাইট

tab

অর্থ-বাণিজ্য

পোলট্রি খাতে ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা লুট

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

সরকারি তদারকি না থাকায় হরিলুট চলছে দেশের পোলট্রি খাতে- এমন অভিযোগ করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির দাবি, এই খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৫২ দিনে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেছে।

সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদারের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা ৩ হাজার ৫০০ টন। প্রান্তিক খামারিদের ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ এখন কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। তবে পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকা পর্যন্ত এসব মুরগি বিক্রি হয়েছে। তাতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কেজিপ্রতি অন্তত ৬০ টাকা বেশি মুনাফা করেছে।

করপোরেট প্রতিষ্ঠানের (তাদের চুক্তিভিত্তিক ফার্মসহ) মাধ্যমে থেকে প্রতিদিন দুই হাজার টন মুরগি বাজারে আসে। সেই হিসাবে দিনে তাদের অতিরিক্ত মুনাফা হয় ১২ কোটি টাকা। এভাবে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৫২ দিনে ৬২৪ কোটি টাকা মুরগি বিক্রির মাধ্যমে লাভ করেছে কোম্পানিগুলো। আর এক দিনের মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে তাদের মুনাফা ৩১২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটির দাবি, দেশে প্রতিদিন মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয় ২০ লাখ। এসব বাচ্চা কোম্পানিগুলো উৎপাদন করে। একেকটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতিটি এখন ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় দেয়ার কথা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। প্রতিটি বাচ্চায় ৩০ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণ প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে খামার বন্ধ করে উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়েছেন। এ সুযোগে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পোলট্রির ফিড বা খাবার ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক খামারি উৎপাদনে গেলে তখন বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে ক্ষতিতে ফেলছেন।

তারা আরও বলেছে, পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা শতভাগ উৎপাদন করে করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার আংশিক ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। চুক্তিভিত্তিক খামারও রয়েছে তাদের। এতে করে বাজার তাদের দখলে চলে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে এই খাতের অস্থিরতা কমানো সম্ভব নয়।

back to top