আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সাদেকুল ইসলাম সোহেল।
লিখিত বক্তব্যে ৬ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেন সাদেকুল ইসলাম। দাবিগুলো হলো- ১. ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা, ২. সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং একই ধারার শিক্ষা নীতি প্রণয়ন এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০২১ বাতিল করা, ৩. কাগজ-কলমসহ শিক্ষা উপকরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস দখলদারিত্ব বন্ধ করে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া, ৫. সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল- ২০২৩ বাতিল করা এবং শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেওয়া ৬. রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম- খুন - নির্যাতন ও বিনা বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন বন্ধ করে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
আগামী ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে ছাত্র সমাবেশ, ১৫ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৪ নভেম্বর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বগুড়ায়, ৬ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১১ নভেম্বর বরিশালে, ১৭ নভেম্বর সিলেটে, ১৮ নভেম্বর ময়মনসিংহে, এবং ২৪ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের জনগণ হিসাবে আমরা দুঃসহ সময় পার করছি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের করলে দেশ। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসা একটি ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ জনগণের কাঁধে চেপে আছে। আবারও তারা একই পথ অবলম্বন করে দেশি-বিদেশি মদদে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। যার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই সরকার টিকেই আছে আমলাতন্ত্র, পুলিশ, র্যাব এবং তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে রাষ্ট্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার মাশুল দিচ্ছে দেশের জনগণ।
ছাত্র জোট সমন্বয়ক আরো বলেন, সীমাহীন লুটপাট, ঘুষ-দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ব্যবসা, অর্থ পাচার করে একটি শ্রেণি রাতারাতি শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছে, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী, আমলা এবং ব্যবসায়ীরা মিলে গত ১৫ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে একদিকে বৈদেশিক ঋণ যেমন বাড়ছে, অন্যদিকে সেই অর্থের একটা বড় অংশ আবার লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করলে বিরোধী শক্তিগুলোর উপর নেমে আসছে ভয়ংকর বিভীষিকা। গুম, খুন, হামলা, মামলায় জনজীবন অতিষ্ঠ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ও মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের নামে সাইবার নিরাপত্ত নামক কালো আইন বলবত রেখেছে।
দেশের শিক্ষাঙ্গনের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ছাত্র জোটের নেতারা। তারা বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজ বহুভাগে বিভক্ত। মানসম্মত সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষা ব্যয়। শিক্ষার বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতি বেপরোয়া গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসন অব্যাহত রাখতেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব কায়েম করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রশাসনের মদদে টর্চার সেল প্রতিষ্ঠা করে সিট বণ্টন-বাণিজ্যসহ গণরুম-গেস্টরুম পরিচালনা করে গোটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একক আধিপত্য ও সন্ত্রাস-কায়েম করে চলেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আর এই আধিপত্য ধরে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছে ক্ষমতাসীনরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম ইমন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি তাওফিকা পিয়া।
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সাদেকুল ইসলাম সোহেল।
লিখিত বক্তব্যে ৬ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেন সাদেকুল ইসলাম। দাবিগুলো হলো- ১. ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা, ২. সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং একই ধারার শিক্ষা নীতি প্রণয়ন এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০২১ বাতিল করা, ৩. কাগজ-কলমসহ শিক্ষা উপকরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস দখলদারিত্ব বন্ধ করে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া, ৫. সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল- ২০২৩ বাতিল করা এবং শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেওয়া ৬. রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম- খুন - নির্যাতন ও বিনা বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন বন্ধ করে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
আগামী ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে ছাত্র সমাবেশ, ১৫ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৪ নভেম্বর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বগুড়ায়, ৬ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১১ নভেম্বর বরিশালে, ১৭ নভেম্বর সিলেটে, ১৮ নভেম্বর ময়মনসিংহে, এবং ২৪ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের জনগণ হিসাবে আমরা দুঃসহ সময় পার করছি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের করলে দেশ। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসা একটি ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ জনগণের কাঁধে চেপে আছে। আবারও তারা একই পথ অবলম্বন করে দেশি-বিদেশি মদদে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। যার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই সরকার টিকেই আছে আমলাতন্ত্র, পুলিশ, র্যাব এবং তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে রাষ্ট্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার মাশুল দিচ্ছে দেশের জনগণ।
ছাত্র জোট সমন্বয়ক আরো বলেন, সীমাহীন লুটপাট, ঘুষ-দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ব্যবসা, অর্থ পাচার করে একটি শ্রেণি রাতারাতি শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছে, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী, আমলা এবং ব্যবসায়ীরা মিলে গত ১৫ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে একদিকে বৈদেশিক ঋণ যেমন বাড়ছে, অন্যদিকে সেই অর্থের একটা বড় অংশ আবার লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করলে বিরোধী শক্তিগুলোর উপর নেমে আসছে ভয়ংকর বিভীষিকা। গুম, খুন, হামলা, মামলায় জনজীবন অতিষ্ঠ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ও মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের নামে সাইবার নিরাপত্ত নামক কালো আইন বলবত রেখেছে।
দেশের শিক্ষাঙ্গনের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ছাত্র জোটের নেতারা। তারা বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজ বহুভাগে বিভক্ত। মানসম্মত সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষা ব্যয়। শিক্ষার বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতি বেপরোয়া গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসন অব্যাহত রাখতেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব কায়েম করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রশাসনের মদদে টর্চার সেল প্রতিষ্ঠা করে সিট বণ্টন-বাণিজ্যসহ গণরুম-গেস্টরুম পরিচালনা করে গোটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একক আধিপত্য ও সন্ত্রাস-কায়েম করে চলেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আর এই আধিপত্য ধরে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছে ক্ষমতাসীনরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম ইমন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি তাওফিকা পিয়া।