alt

ক্যাম্পাস

সরকারের পদত্যাগসহ ৬ দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

প্রতিনিধি , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সাদেকুল ইসলাম সোহেল।

লিখিত বক্তব্যে ৬ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেন সাদেকুল ইসলাম। দাবিগুলো হলো- ১. ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা, ২. সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং একই ধারার শিক্ষা নীতি প্রণয়ন এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০২১ বাতিল করা, ৩. কাগজ-কলমসহ শিক্ষা উপকরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস দখলদারিত্ব বন্ধ করে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া, ৫. সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল- ২০২৩ বাতিল করা এবং শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেওয়া ৬. রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম- খুন - নির্যাতন ও বিনা বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন বন্ধ করে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।

আগামী ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে ছাত্র সমাবেশ, ১৫ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৪ নভেম্বর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বগুড়ায়, ৬ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১১ নভেম্বর বরিশালে, ১৭ নভেম্বর সিলেটে, ১৮ নভেম্বর ময়মনসিংহে, এবং ২৪ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের জনগণ হিসাবে আমরা দুঃসহ সময় পার করছি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের করলে দেশ। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসা একটি ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ জনগণের কাঁধে চেপে আছে। আবারও তারা একই পথ অবলম্বন করে দেশি-বিদেশি মদদে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। যার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই সরকার টিকেই আছে আমলাতন্ত্র, পুলিশ, র‍্যাব এবং তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে রাষ্ট্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার মাশুল দিচ্ছে দেশের জনগণ।

ছাত্র জোট সমন্বয়ক আরো বলেন, সীমাহীন লুটপাট, ঘুষ-দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ব্যবসা, অর্থ পাচার করে একটি শ্রেণি রাতারাতি শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছে, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী, আমলা এবং ব্যবসায়ীরা মিলে গত ১৫ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে একদিকে বৈদেশিক ঋণ যেমন বাড়ছে, অন্যদিকে সেই অর্থের একটা বড় অংশ আবার লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করলে বিরোধী শক্তিগুলোর উপর নেমে আসছে ভয়ংকর বিভীষিকা। গুম, খুন, হামলা, মামলায় জনজীবন অতিষ্ঠ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ও মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের নামে সাইবার নিরাপত্ত নামক কালো আইন বলবত রেখেছে।

দেশের শিক্ষাঙ্গনের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ছাত্র জোটের নেতারা। তারা বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজ বহুভাগে বিভক্ত। মানসম্মত সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষা ব্যয়। শিক্ষার বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতি বেপরোয়া গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসন অব্যাহত রাখতেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব কায়েম করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রশাসনের মদদে টর্চার সেল প্রতিষ্ঠা করে সিট বণ্টন-বাণিজ্যসহ গণরুম-গেস্টরুম পরিচালনা করে গোটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একক আধিপত্য ও সন্ত্রাস-কায়েম করে চলেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আর এই আধিপত্য ধরে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছে ক্ষমতাসীনরা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম ইমন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি তাওফিকা পিয়া।

আবু সাঈদের জীবন দান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

ছবি

কুয়েট উপাচার্যের দায়িত্বে হযরত আলী

ছবি

রাকসু নির্বাচন: ধীরগতি, ঝুলে আছে বিধিমালা ও ভোটার তালিকা

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: গভীর রাতে রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৩১ জুলাই

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চার মাসে চারজনের আত্মহত্যা, প্রবণতা কি বাড়ছে? কী করছে কাউন্সেলিং সেন্টার?

ছবি

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো ইউআইইউ

ছবি

কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি

জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বুকশেলফ প্রদান

ছবি

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, কুশপুত্তলিকা দাহ

ছবি

‘এলাকার কলেজে পড়লে পারতে, … গেট আউট’, জবি শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার

ছবি

কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

বাউবিতে ‘উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণের জন্য মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রোডাকশন কৌশল’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

‎জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা

কুয়েট উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

ছবি

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণ, ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি

মে’র মধ্যে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ও জুনে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

ছবি

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে

ছবি

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে স্মারকলিপি

ছবি

মায়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩,৩৫৪, নিখোঁজ ২২০

ছবি

পথ শিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার ঈদ উপহার বিতরণ

ছবি

মধ্যরাতে ঢাবি বিক্ষোভ: দাবি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের

ছবি

কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

ঢাবিতে হামলা ঘটনায় ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়, অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন

সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবিতে হামলায় অংশ নেওয়া ১২৮ জন ছাত্রলীগের তালিকা প্রকাশ

জাবিতে ‘১৫ জুলাইকে’ কালোরাত ঘোষণা; ৯ শিক্ষক এবং ২৮৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ঢাবি শিক্ষার্থীদের পাশে সাদা দল

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের দর্শন পরিবারের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ছবি

সারা বছরই আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে: জবি উপাচার্য

ছবি

শেখ মুজিবুবের হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে পোস্ট: ইবি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া

ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে হট্টগোল

ছবি

ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল

ছবি

ধর্ষণের বিরুদ্ধে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, তাঁতিবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ

ছবি

২৫০ রোজাদার নিয়ে জবি জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিল

tab

ক্যাম্পাস

সরকারের পদত্যাগসহ ৬ দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

প্রতিনিধি , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সাদেকুল ইসলাম সোহেল।

লিখিত বক্তব্যে ৬ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেন সাদেকুল ইসলাম। দাবিগুলো হলো- ১. ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা, ২. সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং একই ধারার শিক্ষা নীতি প্রণয়ন এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০২১ বাতিল করা, ৩. কাগজ-কলমসহ শিক্ষা উপকরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস দখলদারিত্ব বন্ধ করে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া, ৫. সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল- ২০২৩ বাতিল করা এবং শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেওয়া ৬. রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম- খুন - নির্যাতন ও বিনা বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন বন্ধ করে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।

আগামী ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে ছাত্র সমাবেশ, ১৫ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৪ নভেম্বর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বগুড়ায়, ৬ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১১ নভেম্বর বরিশালে, ১৭ নভেম্বর সিলেটে, ১৮ নভেম্বর ময়মনসিংহে, এবং ২৪ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের জনগণ হিসাবে আমরা দুঃসহ সময় পার করছি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের করলে দেশ। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসা একটি ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ জনগণের কাঁধে চেপে আছে। আবারও তারা একই পথ অবলম্বন করে দেশি-বিদেশি মদদে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। যার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই সরকার টিকেই আছে আমলাতন্ত্র, পুলিশ, র‍্যাব এবং তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে রাষ্ট্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার মাশুল দিচ্ছে দেশের জনগণ।

ছাত্র জোট সমন্বয়ক আরো বলেন, সীমাহীন লুটপাট, ঘুষ-দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ব্যবসা, অর্থ পাচার করে একটি শ্রেণি রাতারাতি শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছে, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী, আমলা এবং ব্যবসায়ীরা মিলে গত ১৫ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে একদিকে বৈদেশিক ঋণ যেমন বাড়ছে, অন্যদিকে সেই অর্থের একটা বড় অংশ আবার লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করলে বিরোধী শক্তিগুলোর উপর নেমে আসছে ভয়ংকর বিভীষিকা। গুম, খুন, হামলা, মামলায় জনজীবন অতিষ্ঠ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ও মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের নামে সাইবার নিরাপত্ত নামক কালো আইন বলবত রেখেছে।

দেশের শিক্ষাঙ্গনের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ছাত্র জোটের নেতারা। তারা বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজ বহুভাগে বিভক্ত। মানসম্মত সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষা ব্যয়। শিক্ষার বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতি বেপরোয়া গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসন অব্যাহত রাখতেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব কায়েম করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রশাসনের মদদে টর্চার সেল প্রতিষ্ঠা করে সিট বণ্টন-বাণিজ্যসহ গণরুম-গেস্টরুম পরিচালনা করে গোটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একক আধিপত্য ও সন্ত্রাস-কায়েম করে চলেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আর এই আধিপত্য ধরে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছে ক্ষমতাসীনরা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম ইমন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি তাওফিকা পিয়া।

back to top