মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়েই চলেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ২৮ মার্চ আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৫৪ জনে। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫০ জন এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২২০ জন।
ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মান্দালয়ে, যা উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী এবং মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সেখানে সরেজমিন পরিদর্শন করে ভূমিকম্প-পরবর্তী তৎপরতায় স্থানীয়দের “সাহস, দক্ষতা ও দৃঢ় সংকল্পের” প্রশংসা করেছেন।
তবে ভূমিকম্পের ধাক্কায় সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে, সামরিক জান্তা যেসব এলাকায় তাদের সমর্থন নেই, সেসব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ১৬টি হামলার অভিযোগ এসেছে, জান্তার বিরুদ্ধে বিমানে করে ৫৩টি হামলার তদন্ত চলছে।
এদিকে, ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সহায়তা কার্যক্রম চালালেও, সামরিক সরকারের নজর রয়েছে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের দিকে। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলন শেষে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী মায়ানমারে সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার পাশাপাশি একটি “অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন” আয়োজনে গুরুত্বারোপ করেন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জান্তা সরকারের ‘নির্বাচনের ঘোষণা’ প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতায় থাকার কৌশলমাত্র—তারা প্রক্সিদের দিয়ে নির্বাচন করিয়ে ফের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায়।
২০২১ সালে অং সান সু চির সরকার উৎখাতের পর থেকে মায়ানমার ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত, দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, আর ভূমিকম্প পরিস্থিতিকে করেছে আরও বিপর্যস্ত।
শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫
মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়েই চলেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ২৮ মার্চ আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৫৪ জনে। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫০ জন এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২২০ জন।
ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মান্দালয়ে, যা উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী এবং মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সেখানে সরেজমিন পরিদর্শন করে ভূমিকম্প-পরবর্তী তৎপরতায় স্থানীয়দের “সাহস, দক্ষতা ও দৃঢ় সংকল্পের” প্রশংসা করেছেন।
তবে ভূমিকম্পের ধাক্কায় সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে, সামরিক জান্তা যেসব এলাকায় তাদের সমর্থন নেই, সেসব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ১৬টি হামলার অভিযোগ এসেছে, জান্তার বিরুদ্ধে বিমানে করে ৫৩টি হামলার তদন্ত চলছে।
এদিকে, ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সহায়তা কার্যক্রম চালালেও, সামরিক সরকারের নজর রয়েছে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের দিকে। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলন শেষে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী মায়ানমারে সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার পাশাপাশি একটি “অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন” আয়োজনে গুরুত্বারোপ করেন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জান্তা সরকারের ‘নির্বাচনের ঘোষণা’ প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতায় থাকার কৌশলমাত্র—তারা প্রক্সিদের দিয়ে নির্বাচন করিয়ে ফের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায়।
২০২১ সালে অং সান সু চির সরকার উৎখাতের পর থেকে মায়ানমার ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত, দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, আর ভূমিকম্প পরিস্থিতিকে করেছে আরও বিপর্যস্ত।