ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে যখন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন প্রচারণার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন একের পর এক পদত্যাগ ও বিদ্রোহের ঘটনায় টালমাটাল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা এই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ততই প্রকাশ পাচ্ছে।
সংগঠনটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আত্মপ্রকাশ করে। শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্ব নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয়। আব্দুল কাদের আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে লড়াই করবেন এ আশায় জুনিয়র ছাত্রনেতা আবু বাকের মজুমদারকে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পদ দিয়ে তিনি নিলেন ঢাবি শাখার আহ্বায়ক পদ। এদিকে আত্মপ্রকাশের দিনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে সংগঠনের দুইপক্ষ। পরবর্তী সময়ে নানা ইস্যুতে ভিপি পদে আব্দুল কাদেরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
অবশেষে শেষ মুহূর্তে এসে আব্দুল কাদেরকে ভিপি এবং আবু বাকের মজুমদারকে জিএস করে প্যানেল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ প্যানেল সাজানোর হিসাব-নিকাশেই সবচেয়ে বড় সংকটে পড়ে সংগঠনটি। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রথমে আলোচনায় ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদাসসির ও ঢাবি শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম। পরবর্তীতে এজিএস পদে মুদাসসিরকে চূড়ান্ত করা হলেও হঠাৎ এক বৈঠকে তার জায়গায় কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুনকে রাখা হয়। এখান থেকেই কোন্দল আরও তীব্র হতে শুরু করে।
সূত্র বলছে, ইতোমধ্যে দলকে পদত্যাগের চিঠিও দিয়েছেন এদের কেউ কেউ। ছাত্রসংসদের প্যানেল ঘোষণার আগেই স্বতন্ত্র থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তাহমীদ আল মুদাসসির। এদিকে নানা ঘটনার পরে শেষ মুহূর্তে দলের প্যানেল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্মত হয়েছেন হাসিবুল ইসলাম এবং সেই হিসেবে তাকে নিয়েই সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে তারা। অবশেষে দলীয় শৃঙ্খলের তোয়াক্কা না করে শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫) দলীয় প্যানেল থেকে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন তিনি। কাদের-বাকের প্যানেল থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে এজিএস পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন তিনি। এমন ঘটনায় শেষ মুহূর্তে এসে এলোমেলো হয়ে পড়ে সংগঠনটি।
এর আগেই দল থেকে বাইরে এসে স্বতন্ত্রভাবে এজিএস পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন সংগঠনের আরও দুই শীর্ষমুখ। তাদের একজন সংগঠনটির ঢাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক আশিকুর রহমান জিম অন্যজন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এক নং যুগ্ম সদস্যসচিব সানজানা আফিফা অদিতি। এছাড়া সংগঠনটির দলীয় ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামের প্যানেল থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আশরেফা খাতুন। সব মিলিয়ে এক পদের বিপরীতে এক দলেরই পাঁচজন
প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন।
এই অবস্থায় অভ্যুত্থানের কোল থেকে গড়ে ওঠা সংগঠনটির সাংগঠনিক দুর্বলতা ভোটের মাঠে তাদের অবস্থানকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ বিভক্তি মিটিয়ে সংগঠনটি যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, তবে ডাকসু নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া তাদের জন্য কঠিন হবে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মনোযোগ টানার চেষ্টা করছে। ফলে মাঠের সমীকরণ প্রতিদিনই নতুন আকার নিচ্ছে, আর অনিশ্চয়তা বাড়ছে ফলাফলের হিসাব-নিকাশে।
তবে দলের বাইরে গিয়েও বিভিন্ন পদে লড়াই করবেন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে দলীয় প্যানেলের বাইরেই মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে লড়বেন দলীয় দুজন নেতা। তারা হলেন, দলটির যুগ্ম-সদস্য সচিব আবু সালেহীন অয়ন, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সাঈদ।
এদিকে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্বব্দ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার। এক বিজ্ঞপ্তিতে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবারের ডাকসু নির্বাচনে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে জিএস পদে লড়বেন। এ প্যানেলে ভিপি পদে লড়বেন ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংসদের’ আহ্বায়ক জামাল উদ্দীন খালিদ। এ প্যানেলে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে সরে দাঁড়ানো নেতাও আছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সাব্বির উদ্দিন রিয়ন ও বায়েজিদ হাসান। তারা প্রার্থী হয়েছেন সদস্য পদে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র থেকে লড়াই করবেন দলের অন্যতম আলোচিত মুখ শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন। সদস্য পদে স্বতন্ত্র থেকে লড়াই করবেন দলের আরেক নেতা রিয়াজ উদ্দিন। যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে পদত্যাগ করে মুক্তসেন মোক্তার স্বতন্ত্র ভিপি পদে প্রার্থী হচ্ছেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সংসদে। যুগ্ম সদস্যসচিব আজিজুল হক পদত্যাগ করে মাস্টারদা সূর্যসেন হল সংসদে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। একি হলে জিএস পদে লড়বেন আরেক পদত্যাগ করা নেতা হোসাইন রিয়াদ।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে কটূক্তি করা সেই তন্ময়কে শিবিরের প্যানেল থেকে ‘বাদ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়কে ‘বাদ’ দেয়া হয়েছে। ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। শিবিরের প্যানেলের এক প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু ফেইসবুক স্ট্যাটাসের কারণে কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়কে বাদ দেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের কথা মাথায় রেখে আমরা তাকে প্যানেল থেকে বাদ দিয়েছি।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ক্রীড়া সম্পাদক এবং শিবিরের প্যানেল থেকে সদস্য পদপ্রার্থী মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ বলেন, ‘তন্ময় ব্যক্তিগত কারণে প্যানেল থেকে সরে গেছেন।’ আগামী ২৫ আগস্ট পদটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, স্ট্যাটাসে তন্ময় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পাকিস্তান থেকে বিমান ছিনতাই করে ভারতে যেতে চাচ্ছিলেন।’ এ স্ট্যাটাস নিয়ে সমালোচনার পর তাকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি সামনে এলো। ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্রচারের ব্যানার থেকেও তার ছবি সরানো হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টিকে ভিত্তিহীন, অমূলক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে গণমাধ্যমে কাছে দাবি করেছেন জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে যখন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন প্রচারণার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন একের পর এক পদত্যাগ ও বিদ্রোহের ঘটনায় টালমাটাল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা এই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ততই প্রকাশ পাচ্ছে।
সংগঠনটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আত্মপ্রকাশ করে। শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্ব নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয়। আব্দুল কাদের আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে লড়াই করবেন এ আশায় জুনিয়র ছাত্রনেতা আবু বাকের মজুমদারকে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পদ দিয়ে তিনি নিলেন ঢাবি শাখার আহ্বায়ক পদ। এদিকে আত্মপ্রকাশের দিনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে সংগঠনের দুইপক্ষ। পরবর্তী সময়ে নানা ইস্যুতে ভিপি পদে আব্দুল কাদেরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
অবশেষে শেষ মুহূর্তে এসে আব্দুল কাদেরকে ভিপি এবং আবু বাকের মজুমদারকে জিএস করে প্যানেল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ প্যানেল সাজানোর হিসাব-নিকাশেই সবচেয়ে বড় সংকটে পড়ে সংগঠনটি। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রথমে আলোচনায় ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদাসসির ও ঢাবি শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম। পরবর্তীতে এজিএস পদে মুদাসসিরকে চূড়ান্ত করা হলেও হঠাৎ এক বৈঠকে তার জায়গায় কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুনকে রাখা হয়। এখান থেকেই কোন্দল আরও তীব্র হতে শুরু করে।
সূত্র বলছে, ইতোমধ্যে দলকে পদত্যাগের চিঠিও দিয়েছেন এদের কেউ কেউ। ছাত্রসংসদের প্যানেল ঘোষণার আগেই স্বতন্ত্র থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তাহমীদ আল মুদাসসির। এদিকে নানা ঘটনার পরে শেষ মুহূর্তে দলের প্যানেল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্মত হয়েছেন হাসিবুল ইসলাম এবং সেই হিসেবে তাকে নিয়েই সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে তারা। অবশেষে দলীয় শৃঙ্খলের তোয়াক্কা না করে শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫) দলীয় প্যানেল থেকে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন তিনি। কাদের-বাকের প্যানেল থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে এজিএস পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন তিনি। এমন ঘটনায় শেষ মুহূর্তে এসে এলোমেলো হয়ে পড়ে সংগঠনটি।
এর আগেই দল থেকে বাইরে এসে স্বতন্ত্রভাবে এজিএস পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন সংগঠনের আরও দুই শীর্ষমুখ। তাদের একজন সংগঠনটির ঢাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক আশিকুর রহমান জিম অন্যজন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এক নং যুগ্ম সদস্যসচিব সানজানা আফিফা অদিতি। এছাড়া সংগঠনটির দলীয় ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামের প্যানেল থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আশরেফা খাতুন। সব মিলিয়ে এক পদের বিপরীতে এক দলেরই পাঁচজন
প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন।
এই অবস্থায় অভ্যুত্থানের কোল থেকে গড়ে ওঠা সংগঠনটির সাংগঠনিক দুর্বলতা ভোটের মাঠে তাদের অবস্থানকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ বিভক্তি মিটিয়ে সংগঠনটি যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, তবে ডাকসু নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া তাদের জন্য কঠিন হবে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মনোযোগ টানার চেষ্টা করছে। ফলে মাঠের সমীকরণ প্রতিদিনই নতুন আকার নিচ্ছে, আর অনিশ্চয়তা বাড়ছে ফলাফলের হিসাব-নিকাশে।
তবে দলের বাইরে গিয়েও বিভিন্ন পদে লড়াই করবেন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে দলীয় প্যানেলের বাইরেই মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে লড়বেন দলীয় দুজন নেতা। তারা হলেন, দলটির যুগ্ম-সদস্য সচিব আবু সালেহীন অয়ন, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সাঈদ।
এদিকে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্বব্দ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার। এক বিজ্ঞপ্তিতে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবারের ডাকসু নির্বাচনে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে জিএস পদে লড়বেন। এ প্যানেলে ভিপি পদে লড়বেন ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংসদের’ আহ্বায়ক জামাল উদ্দীন খালিদ। এ প্যানেলে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে সরে দাঁড়ানো নেতাও আছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সাব্বির উদ্দিন রিয়ন ও বায়েজিদ হাসান। তারা প্রার্থী হয়েছেন সদস্য পদে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র থেকে লড়াই করবেন দলের অন্যতম আলোচিত মুখ শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন। সদস্য পদে স্বতন্ত্র থেকে লড়াই করবেন দলের আরেক নেতা রিয়াজ উদ্দিন। যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে পদত্যাগ করে মুক্তসেন মোক্তার স্বতন্ত্র ভিপি পদে প্রার্থী হচ্ছেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সংসদে। যুগ্ম সদস্যসচিব আজিজুল হক পদত্যাগ করে মাস্টারদা সূর্যসেন হল সংসদে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। একি হলে জিএস পদে লড়বেন আরেক পদত্যাগ করা নেতা হোসাইন রিয়াদ।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে কটূক্তি করা সেই তন্ময়কে শিবিরের প্যানেল থেকে ‘বাদ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়কে ‘বাদ’ দেয়া হয়েছে। ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। শিবিরের প্যানেলের এক প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু ফেইসবুক স্ট্যাটাসের কারণে কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়কে বাদ দেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের কথা মাথায় রেখে আমরা তাকে প্যানেল থেকে বাদ দিয়েছি।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ক্রীড়া সম্পাদক এবং শিবিরের প্যানেল থেকে সদস্য পদপ্রার্থী মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ বলেন, ‘তন্ময় ব্যক্তিগত কারণে প্যানেল থেকে সরে গেছেন।’ আগামী ২৫ আগস্ট পদটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, স্ট্যাটাসে তন্ময় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পাকিস্তান থেকে বিমান ছিনতাই করে ভারতে যেতে চাচ্ছিলেন।’ এ স্ট্যাটাস নিয়ে সমালোচনার পর তাকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি সামনে এলো। ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্রচারের ব্যানার থেকেও তার ছবি সরানো হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টিকে ভিত্তিহীন, অমূলক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে গণমাধ্যমে কাছে দাবি করেছেন জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়।