জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়েননি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তবে ভবিষ্যতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে শিক্ষার্থীদের তা জানিয়ে দেবেন বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, মঙ্গলবার বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকে জকসুর নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সিন্ডিকেটে অনুমোদনের পর তা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আইন পাশ হলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, “জকসু নিয়ে কাজ করতে এখন পর্যন্ত কোনো বাধা পাইনি, পরবর্তীতে বাধা আসলে আমি তোমাদের জানাবো।”
এর আগে আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তি এবং জকসু নীতিমালা ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে শহীদ মিনারে দুই ঘণ্টা অবস্থানের পর দুপুরে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ সময় ‘জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘ভিসি স্যার শুনছেন নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি’, ‘করছি করছি বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহবায়ক মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আজ আমরা সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর দাবিতে ভিসি স্যারের রুমের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা বছরের পর বছর প্রশাসনের উদাসীনতা আর মন্ত্রণালয়ের জটিল প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছি। বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, এটা দয়া নয়। আর জকসু নির্বাচন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। অথচ এ দুই ক্ষেত্রেই চরম টালবাহানা চলছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে কোনো কর্তৃপক্ষ টিকে থাকতে পারবে না। জবিয়ানদের আন্দোলন বরাবরের মতো এবারও অধিকার আদায়ে শেষ বিজয় ছিনিয়ে আনবে।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল জনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার উল্টোটা দেখা যায়। আমাদের দাবি না মানলে প্রশাসনকে চরম মূল্য দিতে হবে।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে প্রহসন করছে। সম্পূরক বৃত্তি কারো দয়া নয়, এটা আমাদের অধিকার। জকসু শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার স্থান। সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া কোনো আপস হবে না।”
এদিকে বিকাল ৩ টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিকাল সাড়ে ৪ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য, ট্রেজারার এবং রেজিস্ট্রার আটকা আছে।
উল্লেখ্য, কলেজ সময়কালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৪ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেও পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের পর থেকে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সর্বশেষ ১৯৮৭-৮৮ শিক্ষাবর্ষে জকসুতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সালের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-এ ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত কোনো ধারা না থাকায় এতদিন এ নির্বাচন আটকে ছিল।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় প্রথমবারের মতো জকসুর নীতিমালা উত্থাপন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সংশোধিত নীতিমালা আগামী মঙ্গলবার সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হবে।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়েননি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তবে ভবিষ্যতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে শিক্ষার্থীদের তা জানিয়ে দেবেন বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, মঙ্গলবার বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকে জকসুর নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সিন্ডিকেটে অনুমোদনের পর তা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আইন পাশ হলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, “জকসু নিয়ে কাজ করতে এখন পর্যন্ত কোনো বাধা পাইনি, পরবর্তীতে বাধা আসলে আমি তোমাদের জানাবো।”
এর আগে আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তি এবং জকসু নীতিমালা ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে শহীদ মিনারে দুই ঘণ্টা অবস্থানের পর দুপুরে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ সময় ‘জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘ভিসি স্যার শুনছেন নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি’, ‘করছি করছি বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহবায়ক মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আজ আমরা সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর দাবিতে ভিসি স্যারের রুমের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা বছরের পর বছর প্রশাসনের উদাসীনতা আর মন্ত্রণালয়ের জটিল প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছি। বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, এটা দয়া নয়। আর জকসু নির্বাচন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। অথচ এ দুই ক্ষেত্রেই চরম টালবাহানা চলছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে কোনো কর্তৃপক্ষ টিকে থাকতে পারবে না। জবিয়ানদের আন্দোলন বরাবরের মতো এবারও অধিকার আদায়ে শেষ বিজয় ছিনিয়ে আনবে।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল জনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার উল্টোটা দেখা যায়। আমাদের দাবি না মানলে প্রশাসনকে চরম মূল্য দিতে হবে।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে প্রহসন করছে। সম্পূরক বৃত্তি কারো দয়া নয়, এটা আমাদের অধিকার। জকসু শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার স্থান। সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া কোনো আপস হবে না।”
এদিকে বিকাল ৩ টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিকাল সাড়ে ৪ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য, ট্রেজারার এবং রেজিস্ট্রার আটকা আছে।
উল্লেখ্য, কলেজ সময়কালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৪ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেও পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের পর থেকে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সর্বশেষ ১৯৮৭-৮৮ শিক্ষাবর্ষে জকসুতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সালের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-এ ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত কোনো ধারা না থাকায় এতদিন এ নির্বাচন আটকে ছিল।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় প্রথমবারের মতো জকসুর নীতিমালা উত্থাপন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সংশোধিত নীতিমালা আগামী মঙ্গলবার সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হবে।