জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথনকশা (রোডম্যাপ) ঘোষণাসহ দুই দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আজ সোমবার শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
দাবি দুটি হলো—আবাসন খাতে শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি ঠিক কবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিশ্চিত করা এবং জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
একই দাবিতে গতকাল রোববার তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ ঘোষণা করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গতকাল দিবাগত রাত ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন। এরপর রাত একটায় উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনটি ছেড়ে যান। তবে শিক্ষার্থীরা সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যান। আজ সকাল থেকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠনসহ তফসিলের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জকসু প্রবিধি আইন অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পূরক বৃত্তির বাস্তবায়নও জরুরি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসিতে সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচন আটকে আছে। তাঁরা জানতে চান, এর পেছনে বাধা কারা? কেন প্রশাসন উদাসীন? তাঁদের দাবি পূরণ না হলে তাঁরা কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, তাঁরা এই দুটিসহ অন্যান্য দাবিতে আগে টানা চার দিন যমুনার সামনে অবস্থান করেছিলেন। পুলিশের লাঠিচার্জ সহ্য করেছেন। রাস্তার ওপর রাত কাটিয়েছেন। তবুও এখন পর্যন্ত কোনো দাবির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন হয়নি। দিনের পর দিন তাঁরা একধরনের ধোঁয়াশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে একমত। তাঁদের দাবি যৌক্তিক। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুটি দাবি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। শিগগির আমরা জকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। সম্পূরক বৃত্তির কাজও এগিয়ে গেছে। আমরা শিগগিরই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিতে পারব বলে আশা করছি।’
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথনকশা (রোডম্যাপ) ঘোষণাসহ দুই দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আজ সোমবার শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
দাবি দুটি হলো—আবাসন খাতে শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি ঠিক কবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিশ্চিত করা এবং জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
একই দাবিতে গতকাল রোববার তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ ঘোষণা করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গতকাল দিবাগত রাত ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন। এরপর রাত একটায় উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনটি ছেড়ে যান। তবে শিক্ষার্থীরা সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যান। আজ সকাল থেকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠনসহ তফসিলের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জকসু প্রবিধি আইন অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পূরক বৃত্তির বাস্তবায়নও জরুরি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসিতে সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচন আটকে আছে। তাঁরা জানতে চান, এর পেছনে বাধা কারা? কেন প্রশাসন উদাসীন? তাঁদের দাবি পূরণ না হলে তাঁরা কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, তাঁরা এই দুটিসহ অন্যান্য দাবিতে আগে টানা চার দিন যমুনার সামনে অবস্থান করেছিলেন। পুলিশের লাঠিচার্জ সহ্য করেছেন। রাস্তার ওপর রাত কাটিয়েছেন। তবুও এখন পর্যন্ত কোনো দাবির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন হয়নি। দিনের পর দিন তাঁরা একধরনের ধোঁয়াশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে একমত। তাঁদের দাবি যৌক্তিক। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুটি দাবি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। শিগগির আমরা জকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। সম্পূরক বৃত্তির কাজও এগিয়ে গেছে। আমরা শিগগিরই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিতে পারব বলে আশা করছি।’