ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রচারণার প্রথম দিন নিজেদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলটি এ ঘটনার জন্য ‘একটি কুচক্রী মহলকে’ দায়ী করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট দুটি ব্যানার টাঙায়—একটি অনুষদের ভেতরে, আরেকটি ফটকের পাশে। মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ছবিতে অনুষদের ভেতরের ব্যানার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ব্যানারের বিভিন্ন অংশ ছেঁড়া এবং কয়েকজন প্রার্থীর ছবি ছিদ্র করা হয়েছে। তবে ফটকের পাশে থাকা ব্যানারটি নিচে পড়ে থাকলেও অক্ষত ছিল।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর ইসরাফিল রতন বলেন, “আমরা সিসিটিভি ভিডিও চেক করে দেখেছি, দুজন ব্যানার ভাঙচুর করছেন। তাদের একজন লাল টি-শার্ট ও অন্যজন কালো টি-শার্ট পরা। তবে তাদের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।”
এ ঘটনায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একটি কুচক্রী মহল ডাকসু নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে ব্যানার মাটিতে ফেলে দিয়েছে। জোটের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্নার ছবিকে বিকৃত করে তাদের পূর্বের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। নির্বাচন কমিশনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মেনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যানার বসিয়েছি। কিন্তু এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। বোরকা পরা একজন নারী শিক্ষার্থীর ছবি বিকৃত করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, এখনো ‘খুনি হাসিনার’ আমলের ঘৃণা, ইসলামোফোবিয়া ও হিজাবোফোবিয়ার কুৎসিত রাজনীতি টিকে আছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননা।”
ফরহাদ বলেন, “আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ ও উন্মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে চাই। যে কুচক্রী মহল এই অগ্রযাত্রাকে চক্রান্তের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের পরিণতি পতিত ফ্যাসিবাদের মতোই হবে।”
মঙ্গলবার থেকে ডাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। সব প্যানেলই নিজেদের প্রচারণা আলাদাভাবে চালু করেছে।
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রচারণার প্রথম দিন নিজেদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলটি এ ঘটনার জন্য ‘একটি কুচক্রী মহলকে’ দায়ী করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট দুটি ব্যানার টাঙায়—একটি অনুষদের ভেতরে, আরেকটি ফটকের পাশে। মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ছবিতে অনুষদের ভেতরের ব্যানার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ব্যানারের বিভিন্ন অংশ ছেঁড়া এবং কয়েকজন প্রার্থীর ছবি ছিদ্র করা হয়েছে। তবে ফটকের পাশে থাকা ব্যানারটি নিচে পড়ে থাকলেও অক্ষত ছিল।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর ইসরাফিল রতন বলেন, “আমরা সিসিটিভি ভিডিও চেক করে দেখেছি, দুজন ব্যানার ভাঙচুর করছেন। তাদের একজন লাল টি-শার্ট ও অন্যজন কালো টি-শার্ট পরা। তবে তাদের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।”
এ ঘটনায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একটি কুচক্রী মহল ডাকসু নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে ব্যানার মাটিতে ফেলে দিয়েছে। জোটের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্নার ছবিকে বিকৃত করে তাদের পূর্বের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। নির্বাচন কমিশনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মেনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যানার বসিয়েছি। কিন্তু এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। বোরকা পরা একজন নারী শিক্ষার্থীর ছবি বিকৃত করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, এখনো ‘খুনি হাসিনার’ আমলের ঘৃণা, ইসলামোফোবিয়া ও হিজাবোফোবিয়ার কুৎসিত রাজনীতি টিকে আছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননা।”
ফরহাদ বলেন, “আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ ও উন্মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে চাই। যে কুচক্রী মহল এই অগ্রযাত্রাকে চক্রান্তের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের পরিণতি পতিত ফ্যাসিবাদের মতোই হবে।”
মঙ্গলবার থেকে ডাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। সব প্যানেলই নিজেদের প্রচারণা আলাদাভাবে চালু করেছে।