চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর দুই দফা সংঘর্ষের পর হাটহাজরী উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। রোববার বেলা ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের জমায়াত, সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ধারা সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় শনিবার মধ্যরাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী রাত ১১টার দিকে বাসায় ফেরেন। গেইট বন্ধ থাকায় তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে ডাকেন। এসময় তাদের মধ্যে তর্ক হয় এবং প্রহরী তাকে গালাগাল করে চড় মারেন। পরে ওই ছাত্রী সহপাঠীদের খবর দিলে তারা সেখানে যায়। স্থানীয় গ্রামবাসী নিরাপত্তারক্ষীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইকিং করে স্থানীয়রা লোকজন জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করার অভিযোগও ওঠে। সংঘর্ষে প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তাকর্মী ও শিক্ষকরা আহত হন। প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মো. হায়দার আরিফ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সহযোগিতা চান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কামাল উদ্দিন জানান, পর্যাপ্ত পুলিশ পাওয়া যায়নি, র্যাবকেও পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, অন্তত ৬০ জন আহত শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাতভর সংঘর্ষের পর রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত হয়। শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে অংশ নেননি। সকালে আবার স্থানীয়রা সড়কে অবস্থান নেয়। বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকা শিক্ষার্থীরা আটকা পড়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে ফের দুই নম্বর গেইটে গেলে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উপ-উপাচার্যসহ শতাধিক শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী আহত হন।
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি চালাচ্ছেন, আরেকটি ভিডিওতে ধানক্ষেতে কয়েকজন গ্রামবাসী এক শিক্ষার্থীকে দা দিয়ে কোপাচ্ছেন। বিকালে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে, দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয় এবং ঢিল ছুড়তে থাকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
রোববার, ৩১ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর দুই দফা সংঘর্ষের পর হাটহাজরী উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। রোববার বেলা ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের জমায়াত, সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ধারা সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় শনিবার মধ্যরাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী রাত ১১টার দিকে বাসায় ফেরেন। গেইট বন্ধ থাকায় তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে ডাকেন। এসময় তাদের মধ্যে তর্ক হয় এবং প্রহরী তাকে গালাগাল করে চড় মারেন। পরে ওই ছাত্রী সহপাঠীদের খবর দিলে তারা সেখানে যায়। স্থানীয় গ্রামবাসী নিরাপত্তারক্ষীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইকিং করে স্থানীয়রা লোকজন জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করার অভিযোগও ওঠে। সংঘর্ষে প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তাকর্মী ও শিক্ষকরা আহত হন। প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মো. হায়দার আরিফ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সহযোগিতা চান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কামাল উদ্দিন জানান, পর্যাপ্ত পুলিশ পাওয়া যায়নি, র্যাবকেও পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, অন্তত ৬০ জন আহত শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাতভর সংঘর্ষের পর রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত হয়। শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে অংশ নেননি। সকালে আবার স্থানীয়রা সড়কে অবস্থান নেয়। বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকা শিক্ষার্থীরা আটকা পড়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে ফের দুই নম্বর গেইটে গেলে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উপ-উপাচার্যসহ শতাধিক শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী আহত হন।
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি চালাচ্ছেন, আরেকটি ভিডিওতে ধানক্ষেতে কয়েকজন গ্রামবাসী এক শিক্ষার্থীকে দা দিয়ে কোপাচ্ছেন। বিকালে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে, দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয় এবং ঢিল ছুড়তে থাকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।