ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশের পর থেকে ক্যাম্পাসে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের ব্যাগপত্র নিয়ে হলে থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে একাংশের শিক্ষার্থী নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রায় ২০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের পাশে বহিরাগতদের হামলায় শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সকালে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও বিভিন্ন স্থানে র্যাব, পুলিশ, সেনা ও বিজিবি সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
জুলাই ৩৬ ও বেগম রোকেয়া হলে দেখা যায়, নারী শিক্ষার্থীরা ব্যাগ ও বইপত্র নিয়ে হল ছাড়ছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, “গতকাল রাতে বহিরাগতদের যেভাবে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে, তাতে হলে থাকা অনিরাপদ মনে হচ্ছে। পরিবার থেকেও চাপ আছে। তাই আমরা চলে যাচ্ছি।”
অন্যদিকে, আশরাফুল হক হলসহ কয়েকটি হলে অনেক শিক্ষার্থী জানাচ্ছেন, তাঁরা হলে থাকবেন। তাঁদের দাবি, আকস্মিক রাতের নোটিশে হল ছাড়তে বলা হয়েছে, যা অযৌক্তিক। তাঁরা বহিরাগতদের হামলার বিচার ও প্রশাসনের পদত্যাগসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেছেন। দাবিগুলো হলো: একক ডিগ্রি, অর্থাৎ কেবল কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রাখতে হবে; বহিরাগতদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করায় সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে; বহিরাগত দ্বারা ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ গ্রন্থাগার ও স্থাপনা ভাংচুর এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না এই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে, যেসব শিক্ষক এ হামলার সঙ্গে জড়িত তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
আজ সোমবার সকাল আটটা থেকে কে আর মার্কেটে সমাবেশ ও ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের ঘোষণা, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না। সকাল ৯টার দিকে ভাসানী হল থেকে লাঠিসোঁটা হাতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে ক্যাম্পাসজুড়ে স্লোগান দেন। অন্যান্য হল থেকেও শিক্ষার্থীরা যোগ দিচ্ছেন এই কর্মসূচিতে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, “রোববার সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।”
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশের পর থেকে ক্যাম্পাসে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের ব্যাগপত্র নিয়ে হলে থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে একাংশের শিক্ষার্থী নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রায় ২০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের পাশে বহিরাগতদের হামলায় শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সকালে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও বিভিন্ন স্থানে র্যাব, পুলিশ, সেনা ও বিজিবি সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
জুলাই ৩৬ ও বেগম রোকেয়া হলে দেখা যায়, নারী শিক্ষার্থীরা ব্যাগ ও বইপত্র নিয়ে হল ছাড়ছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, “গতকাল রাতে বহিরাগতদের যেভাবে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে, তাতে হলে থাকা অনিরাপদ মনে হচ্ছে। পরিবার থেকেও চাপ আছে। তাই আমরা চলে যাচ্ছি।”
অন্যদিকে, আশরাফুল হক হলসহ কয়েকটি হলে অনেক শিক্ষার্থী জানাচ্ছেন, তাঁরা হলে থাকবেন। তাঁদের দাবি, আকস্মিক রাতের নোটিশে হল ছাড়তে বলা হয়েছে, যা অযৌক্তিক। তাঁরা বহিরাগতদের হামলার বিচার ও প্রশাসনের পদত্যাগসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেছেন। দাবিগুলো হলো: একক ডিগ্রি, অর্থাৎ কেবল কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রাখতে হবে; বহিরাগতদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করায় সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে; বহিরাগত দ্বারা ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ গ্রন্থাগার ও স্থাপনা ভাংচুর এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না এই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে, যেসব শিক্ষক এ হামলার সঙ্গে জড়িত তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
আজ সোমবার সকাল আটটা থেকে কে আর মার্কেটে সমাবেশ ও ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের ঘোষণা, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না। সকাল ৯টার দিকে ভাসানী হল থেকে লাঠিসোঁটা হাতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে ক্যাম্পাসজুড়ে স্লোগান দেন। অন্যান্য হল থেকেও শিক্ষার্থীরা যোগ দিচ্ছেন এই কর্মসূচিতে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, “রোববার সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।”