রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ছাত্রী ধর্ষণ ও প্রলোভনের অভিযোগের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা।
এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুপারিশে না রাজি আবেদন করতে আদালতে হাজির হয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টায় আদালতে হাজির হয়ে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সাইফুল ইসলাম বলেন, কেন অব্যাহতির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে আদালতে প্রতিবেদনের কপি নিতে এসেছি।
আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে এই প্রতিবেদনের বিপরীতে আদালতে না রাজি আবেদন দেওয়া হবে। মামলাটি করা হয়েছে গুলশান থানায়। যেখানে মুশতাকের নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া তিনি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি।
ফলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। তবে প্রতিবেদন পাওয়ার আগে কোনো বিষয় স্পষ্ট করে বলা যাবে না।
এদিকে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশতাক আহমেদের নামে ধর্ষণের অভিযোগ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর সহযোগিতার অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়নি। মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল রয়েছে।
তাই আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এর আগে গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি মামলার এজাহার হিসেবে নেওয়ার আদেশ দেন।
এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত মুশতাক নানা অজুহাতে ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন।
একপর্যায়ে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ভুক্তভোগীকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন এবং পরিবারকে ঢাকাছাড়া করার হুমকি দেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও কলেজের অধ্যক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং মুশতাক ও ভুক্তভোগীকে এক কক্ষে বন্ধ করে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ছাত্রী ধর্ষণ ও প্রলোভনের অভিযোগের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা।
এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুপারিশে না রাজি আবেদন করতে আদালতে হাজির হয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টায় আদালতে হাজির হয়ে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সাইফুল ইসলাম বলেন, কেন অব্যাহতির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে আদালতে প্রতিবেদনের কপি নিতে এসেছি।
আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে এই প্রতিবেদনের বিপরীতে আদালতে না রাজি আবেদন দেওয়া হবে। মামলাটি করা হয়েছে গুলশান থানায়। যেখানে মুশতাকের নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া তিনি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি।
ফলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। তবে প্রতিবেদন পাওয়ার আগে কোনো বিষয় স্পষ্ট করে বলা যাবে না।
এদিকে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশতাক আহমেদের নামে ধর্ষণের অভিযোগ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর সহযোগিতার অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়নি। মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল রয়েছে।
তাই আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এর আগে গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি মামলার এজাহার হিসেবে নেওয়ার আদেশ দেন।
এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত মুশতাক নানা অজুহাতে ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন।
একপর্যায়ে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ভুক্তভোগীকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন এবং পরিবারকে ঢাকাছাড়া করার হুমকি দেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও কলেজের অধ্যক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং মুশতাক ও ভুক্তভোগীকে এক কক্ষে বন্ধ করে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।