দক্ষিণ এশীয় দেশগুলি পরিবেশগত ‘সমস্যা মোকাবেলায়’ সম্মেলনে গবেষকেরা দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জনিত সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধানে একজোট হয়ে কাজ করার অঙ্গিকার করে তা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে যে বিষয়গুলো বেশি আলোচনায় এসেছে সেগুলোমধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু নীতিমালা, টেকসই উন্নত শহর, নবায়নযোগ্য শক্তি, মানুষের জলবায়ুজনিত স্থানান্তর এবং স্থানচ্যুতি।
তবে, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু সম্পর্কিত শিক্ষাও জরুরী বলে মত দেন বক্তরা। সম্মেলনে বক্তরা দক্ষিণ এশিয়ায় ৭টি ‘রিসার্চ হাব থিমেটিক এরিয়া’ ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘প্রথম সাউথ এশিয়ান কনফারেন্স, ২০২৩’ টি গতকাল শেষ হয়। দুই দিনব্যাপী ‘জলবায়ু পরিবর্তনে উদীয়মান সমস্যা উদঘাটন ও উত্তরন পরিপ্রেক্ষিত’ শিরনামে সম্মেলনটির আয়োজক সেন্টার ফর পিপল অ্যান্ড এনভায়রন (সিপিই)। তাতে সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল অরণ্যক ফাউন্ডেশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, গ্লোবাল ফোরাম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক পলিউশন স্টাডিজ, বারসিক, লেডার্স, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে গবেষকরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাদের মধ্যে ছিল ভারতের কাথেরশালা শ্রীনিভাস, শ্রীলঙ্কা থেকে ড. পূর্ণিকা কুমারি সীলাগামা, নেপাল থেকে অভিশেক শ্রেষ্ঠা, দক্ষিণ কোরিয়ার কে পার্ক ।
দ্বিতীয় দিনে সিপিই এর পরিচালক মুহাম্মদ আবদুর রহমান উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। প্রথম অধিবেশননে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ‚গোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম শহীদুল ইসলাম। জলবায়ু সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিভার্সিটি অফ টরন্ট, কানাডা স্কারবোরোর সহযোগী অধ্যাপক ড. মনিরুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং এর প্রতিবেশী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ভৌগোলিক এবং জলবায়ুগত সাদৃশ্য থাকায় দেশগুলোর মধ্যে “ক্রস বর্ডার” উদ্যোগ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু স¤প্রর্কিত তথ্য আদান প্রদানে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে আরো পরস্পর যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’
সম্মেলনের সমাপনী সেশনে দুটি বিষয় ‘ঢাকা ডিকলারেশন’ও ‘সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব’ ঘোষণা করেন মুহাম্মদ আবদুর রহমান। এরফলে, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তথ্যপ্রমাণাদি সংগ্রহ ও প্রচারের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সপ্রসারণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে দক্ষিণ এশীয় গবেষকদের মধ্যে সক্ষমতা তৈরিতে ভ‚মিকা রাখবে।
এরসাথে সাউথ এশিয়ার ৭টি রিসার্চ হাব থিমেটিক এরিয়া ঘোষণা করেন। থিমেটিক এরিয়াগুলো হল; সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপক‚লীয় বাস্তুতন্ত্র, নেচার ব্যাসড সলিউশন, স্থানীয় অভিযোজন, জলবায়ুজনিত স্থানান্তর ও স্থানচ্যুতি এবং হিউম্যান সিকিউরিটি, জলবায়ু ও স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র ও খাদ্য নিরাপত্তা, এবং টেকসই নগরায়ন।
সম্মেলনের সমাপনী সেশনের চেয়ার হিসেবে আলোচনা করেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিকসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ। তিনি মনে করেন, সাউথ এশিয়ায় তরুণদের গবেষণার সুযোগ কম, ‘সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব’ গঠন করার মাধ্যমে তরুণ গবেষদের গবেষণার সুযোগ তৈরি হবার বিষয়ে আমি আশাবাদী।
কনফারেন্স স্পিকার ড. মনিরুল কাদের মির্জা তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দঢাকা ডিকলারেশন খুবই সময়োপযযোগী উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। এর মাধ্যমে সাউথ এশিয়ায় তরুণ গবেষকদের মধ্যে গবেষণার পথ উন্মোচন হবে।’
সম্মেলনে ভারতের ত্রিপুরা ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব রুরাল স্টাডিসের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. জয়ন্ত চৌধুরী, ভুটানের কলেজ অব ন্যাচারাল রিসোর্চ এর ডিপার্টমেন্ট অব ইনভাইরনমেন্ট এন্ড ক্লাইমেট স্টাডিসের প্রফেসর ড. ওম কাতেল, শ্রীলঙ্কার ইউনিভার্সিটি অব পেরাদেনিয়া, ডিপার্ট্মেন্ট অব সোশিওলজির সিনিয়র লেকচারার ড. পূর্ণিকা কুমারি সীলাগামা, ভারতের ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, ডিপার্ট্মেন্ট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট, এসোসিয়েট প্রফেসর এন্ড হেড ড. পাপিয়া দত্ত, ভারতের ডিপার্টমেট অব হায়ার এডুকুশনের এসোসিয়েট প্রফেসর, (সোশিওলজি),ড মহিনদার কুমার ¯øারিয়া। ‘ঢাকা ডিকলারেশন’ এবং ‘সাউথ এশিয়া রিসার্চ হাব’ এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে একমত পোষণ করেন।
সম্মেলনের ছয়টি সেশনে তরুণ গবেষকদের ৩৬টি গবেষণা প্রবন্ধ ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রতি সেশনে দুইজন আলোচক ও একজন চেয়ার ওই সেশন পরিচালনা করেন।
সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলি পরিবেশগত ‘সমস্যা মোকাবেলায়’ সম্মেলনে গবেষকেরা দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জনিত সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধানে একজোট হয়ে কাজ করার অঙ্গিকার করে তা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে যে বিষয়গুলো বেশি আলোচনায় এসেছে সেগুলোমধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু নীতিমালা, টেকসই উন্নত শহর, নবায়নযোগ্য শক্তি, মানুষের জলবায়ুজনিত স্থানান্তর এবং স্থানচ্যুতি।
তবে, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু সম্পর্কিত শিক্ষাও জরুরী বলে মত দেন বক্তরা। সম্মেলনে বক্তরা দক্ষিণ এশিয়ায় ৭টি ‘রিসার্চ হাব থিমেটিক এরিয়া’ ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘প্রথম সাউথ এশিয়ান কনফারেন্স, ২০২৩’ টি গতকাল শেষ হয়। দুই দিনব্যাপী ‘জলবায়ু পরিবর্তনে উদীয়মান সমস্যা উদঘাটন ও উত্তরন পরিপ্রেক্ষিত’ শিরনামে সম্মেলনটির আয়োজক সেন্টার ফর পিপল অ্যান্ড এনভায়রন (সিপিই)। তাতে সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল অরণ্যক ফাউন্ডেশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, গ্লোবাল ফোরাম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক পলিউশন স্টাডিজ, বারসিক, লেডার্স, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে গবেষকরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাদের মধ্যে ছিল ভারতের কাথেরশালা শ্রীনিভাস, শ্রীলঙ্কা থেকে ড. পূর্ণিকা কুমারি সীলাগামা, নেপাল থেকে অভিশেক শ্রেষ্ঠা, দক্ষিণ কোরিয়ার কে পার্ক ।
দ্বিতীয় দিনে সিপিই এর পরিচালক মুহাম্মদ আবদুর রহমান উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। প্রথম অধিবেশননে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ‚গোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম শহীদুল ইসলাম। জলবায়ু সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিভার্সিটি অফ টরন্ট, কানাডা স্কারবোরোর সহযোগী অধ্যাপক ড. মনিরুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং এর প্রতিবেশী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ভৌগোলিক এবং জলবায়ুগত সাদৃশ্য থাকায় দেশগুলোর মধ্যে “ক্রস বর্ডার” উদ্যোগ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু স¤প্রর্কিত তথ্য আদান প্রদানে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে আরো পরস্পর যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’
সম্মেলনের সমাপনী সেশনে দুটি বিষয় ‘ঢাকা ডিকলারেশন’ও ‘সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব’ ঘোষণা করেন মুহাম্মদ আবদুর রহমান। এরফলে, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তথ্যপ্রমাণাদি সংগ্রহ ও প্রচারের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সপ্রসারণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে দক্ষিণ এশীয় গবেষকদের মধ্যে সক্ষমতা তৈরিতে ভ‚মিকা রাখবে।
এরসাথে সাউথ এশিয়ার ৭টি রিসার্চ হাব থিমেটিক এরিয়া ঘোষণা করেন। থিমেটিক এরিয়াগুলো হল; সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপক‚লীয় বাস্তুতন্ত্র, নেচার ব্যাসড সলিউশন, স্থানীয় অভিযোজন, জলবায়ুজনিত স্থানান্তর ও স্থানচ্যুতি এবং হিউম্যান সিকিউরিটি, জলবায়ু ও স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র ও খাদ্য নিরাপত্তা, এবং টেকসই নগরায়ন।
সম্মেলনের সমাপনী সেশনের চেয়ার হিসেবে আলোচনা করেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিকসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ। তিনি মনে করেন, সাউথ এশিয়ায় তরুণদের গবেষণার সুযোগ কম, ‘সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব’ গঠন করার মাধ্যমে তরুণ গবেষদের গবেষণার সুযোগ তৈরি হবার বিষয়ে আমি আশাবাদী।
কনফারেন্স স্পিকার ড. মনিরুল কাদের মির্জা তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দঢাকা ডিকলারেশন খুবই সময়োপযযোগী উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। এর মাধ্যমে সাউথ এশিয়ায় তরুণ গবেষকদের মধ্যে গবেষণার পথ উন্মোচন হবে।’
সম্মেলনে ভারতের ত্রিপুরা ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব রুরাল স্টাডিসের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. জয়ন্ত চৌধুরী, ভুটানের কলেজ অব ন্যাচারাল রিসোর্চ এর ডিপার্টমেন্ট অব ইনভাইরনমেন্ট এন্ড ক্লাইমেট স্টাডিসের প্রফেসর ড. ওম কাতেল, শ্রীলঙ্কার ইউনিভার্সিটি অব পেরাদেনিয়া, ডিপার্ট্মেন্ট অব সোশিওলজির সিনিয়র লেকচারার ড. পূর্ণিকা কুমারি সীলাগামা, ভারতের ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, ডিপার্ট্মেন্ট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট, এসোসিয়েট প্রফেসর এন্ড হেড ড. পাপিয়া দত্ত, ভারতের ডিপার্টমেট অব হায়ার এডুকুশনের এসোসিয়েট প্রফেসর, (সোশিওলজি),ড মহিনদার কুমার ¯øারিয়া। ‘ঢাকা ডিকলারেশন’ এবং ‘সাউথ এশিয়া রিসার্চ হাব’ এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে একমত পোষণ করেন।
সম্মেলনের ছয়টি সেশনে তরুণ গবেষকদের ৩৬টি গবেষণা প্রবন্ধ ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রতি সেশনে দুইজন আলোচক ও একজন চেয়ার ওই সেশন পরিচালনা করেন।