ছাত্রদের তৎপরতা না থাকলে সচিবালয়ে ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আনসার সদস্যরা জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “আপনারা তাদের যুদ্ধাংদেহী মনোভাব দেখেছেন। তাদের দাবি ছিল অবিলম্বে রাত ১০টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের জাতীয়করণ করতে হবে। এই দাবি অবাস্তব এবং অসম্ভব ছিল, যা সচিবালয়ের পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারত।”
আনসার সদস্যদের তৎপরতা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “তারা বারবার আলোচনার পরেও সম্মত হয়ে ফিরে গেছে। কিন্তু পরে আবারও সচিবালয় ঘেরাও করেছে, যা তাদের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করে।”
ছাত্রদের ভূমিকার প্রশংসা করে আসিফ নজরুল বলেন, “ছাত্ররা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, তাদের ভূমিকা আজও অপরিসীম। তারা সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে এবং জাতির জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে যে ছাত্র সমাজ এখনও জাগ্রত।”
আনসার সদস্যদের হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “আনসাররা ছাত্রদের ওপর, বিশেষ করে হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে। সাধারণ মানুষও গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।”
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, “যারা সঠিক পথে দাবি আদায়ের আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, ধৈর্য ধরে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দাবি জানাতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠী তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে আনসার সদস্যরা রোববার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শুরু করে এবং পরে সচিবালয় ঘেরাও করে।
রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে গিয়ে আনসারদের ধাওয়া করে, ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই সংঘর্ষে ৬০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়।
সংঘর্ষের পর ছাত্র আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী আনসারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
ছাত্রদের তৎপরতা না থাকলে সচিবালয়ে ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আনসার সদস্যরা জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “আপনারা তাদের যুদ্ধাংদেহী মনোভাব দেখেছেন। তাদের দাবি ছিল অবিলম্বে রাত ১০টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের জাতীয়করণ করতে হবে। এই দাবি অবাস্তব এবং অসম্ভব ছিল, যা সচিবালয়ের পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারত।”
আনসার সদস্যদের তৎপরতা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “তারা বারবার আলোচনার পরেও সম্মত হয়ে ফিরে গেছে। কিন্তু পরে আবারও সচিবালয় ঘেরাও করেছে, যা তাদের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করে।”
ছাত্রদের ভূমিকার প্রশংসা করে আসিফ নজরুল বলেন, “ছাত্ররা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, তাদের ভূমিকা আজও অপরিসীম। তারা সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে এবং জাতির জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে যে ছাত্র সমাজ এখনও জাগ্রত।”
আনসার সদস্যদের হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “আনসাররা ছাত্রদের ওপর, বিশেষ করে হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে। সাধারণ মানুষও গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।”
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, “যারা সঠিক পথে দাবি আদায়ের আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, ধৈর্য ধরে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দাবি জানাতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠী তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে আনসার সদস্যরা রোববার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শুরু করে এবং পরে সচিবালয় ঘেরাও করে।
রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে গিয়ে আনসারদের ধাওয়া করে, ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই সংঘর্ষে ৬০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়।
সংঘর্ষের পর ছাত্র আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী আনসারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।