প্রযুক্তিনির্ভর স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে টেকনিশিয়ান নয়, টেকনিক্যাল হিসেবে মর্যাদা নিয়ে সুষ্ঠুভাবে দায়-দায়িত্ব পালনের জন্য স্বতন্ত্র আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম। এই ক্যাডার গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো তহবিল তছরূপ কিংবা আইসিটির বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি ও অযোগ্যতা দূর করে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে বলে মনে করে সংগঠনটি। তারা মনে করেন, দেশে প্রতিবছর যে বিপুল সংখ্যক সিএসই গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে, তাদের যথাযথ মেধার মূল্যায়ন সম্ভব হবে এই ক্যাডারের মাধ্যমে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ আহসান হাবীব সুমন (সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড)। এ সময় তিনি বলেন, যারা দেশে সরকারি আইসিটি সেক্টরে কাজ করছে তারা চাকরিতে প্রত্যাশিত পদোন্নতিসহ ক্যারিয়ার পাথ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় বদলি না থাকায় দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছে। তাদের কর্মদক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে। একদিকে দেশের মেধাবীরা বিদেশমুখি হচ্ছে ফলে মেধার পাচার হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে বিদেশি পরামর্শক ও বিদেশ নির্ভর প্রযুক্তির প্রচলন বাড়ছে। ফলে দেশের সাইবার স্পেস অরক্ষিত হয়ে পড়ছে ও সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে। বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ ও বিদেশ নির্ভর প্রযুক্তির প্রচলন ঘটিয়ে অরক্ষিত সাইবার স্পেস তৈরি ও সাইবার ঝুঁকি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বেশিরভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত আইসিটি জনবল না থাকায় অধিকাংশ সেবা পরামর্শক ও থার্ড পার্টি নির্ভর হয়েছে। ফলে নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর ডাটা প্রাইভেসি আজ হুমকির মুখে। পলিসি তৈরি ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সরকারি আইসিটি জনবলকে সম্পৃক্ত না করে বিরোধী মত দমনে অগণতান্ত্রিক সাইবার সিকিউরিটি আইনের মত আইন পাস করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিশেষায়িত সার্ভিসের মত সরকারের একটি শক্তিশালী আইসিটি সার্ভিস না থাকায় এটুআই সিন্ডিকেট বিগত দিনগুলোতে জনবান্ধব আইসিটি সার্ভিস তৈরি না করে আইসিটিকে স্বৈরতন্ত্রের হাতিয়ার এবং লুটপাট এর নিরাপদ স্বর্গ রাজ্য হিসেবে ব্যবহার করেছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সরকার যে বিভিন্ন সেক্টরে কাঠামোগত সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টি করা ২০২৪ সালের রাষ্ট্রীয় সংস্কারের অন্যতম ও অবিচ্ছেদে অংশ হতে পারে বলে তারা মনে করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মোঃ তমিজ উদ্দিন আহমেদ (সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়); সহ-সভাপতি মোঃ শাহিন মিয়া (সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ) ও মোঃ আবু রায়হান (সিস্টেম এনালিস্ট, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়); যুগ্মসচিব মোঃ মনিরুজ্জামান (প্রোগ্রামার, ডাক অধিদপ্তর); কোষাধ্যক্ষ জিকরা আমিন (প্রোগ্রামার, যৌথ মূলধন কোম্পানী ও ফার্ম সমূহের পরিদপ্তর), সাবেক সভাপতি মোঃ আক্তার আলী (সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, পুলিশ হেডকোয়াটার্স, বাংলাদেশ পুলিশ) প্রমুখ।
শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রযুক্তিনির্ভর স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে টেকনিশিয়ান নয়, টেকনিক্যাল হিসেবে মর্যাদা নিয়ে সুষ্ঠুভাবে দায়-দায়িত্ব পালনের জন্য স্বতন্ত্র আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম। এই ক্যাডার গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো তহবিল তছরূপ কিংবা আইসিটির বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি ও অযোগ্যতা দূর করে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে বলে মনে করে সংগঠনটি। তারা মনে করেন, দেশে প্রতিবছর যে বিপুল সংখ্যক সিএসই গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে, তাদের যথাযথ মেধার মূল্যায়ন সম্ভব হবে এই ক্যাডারের মাধ্যমে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ আহসান হাবীব সুমন (সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড)। এ সময় তিনি বলেন, যারা দেশে সরকারি আইসিটি সেক্টরে কাজ করছে তারা চাকরিতে প্রত্যাশিত পদোন্নতিসহ ক্যারিয়ার পাথ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় বদলি না থাকায় দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছে। তাদের কর্মদক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে। একদিকে দেশের মেধাবীরা বিদেশমুখি হচ্ছে ফলে মেধার পাচার হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে বিদেশি পরামর্শক ও বিদেশ নির্ভর প্রযুক্তির প্রচলন বাড়ছে। ফলে দেশের সাইবার স্পেস অরক্ষিত হয়ে পড়ছে ও সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে। বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ ও বিদেশ নির্ভর প্রযুক্তির প্রচলন ঘটিয়ে অরক্ষিত সাইবার স্পেস তৈরি ও সাইবার ঝুঁকি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বেশিরভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত আইসিটি জনবল না থাকায় অধিকাংশ সেবা পরামর্শক ও থার্ড পার্টি নির্ভর হয়েছে। ফলে নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর ডাটা প্রাইভেসি আজ হুমকির মুখে। পলিসি তৈরি ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সরকারি আইসিটি জনবলকে সম্পৃক্ত না করে বিরোধী মত দমনে অগণতান্ত্রিক সাইবার সিকিউরিটি আইনের মত আইন পাস করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিশেষায়িত সার্ভিসের মত সরকারের একটি শক্তিশালী আইসিটি সার্ভিস না থাকায় এটুআই সিন্ডিকেট বিগত দিনগুলোতে জনবান্ধব আইসিটি সার্ভিস তৈরি না করে আইসিটিকে স্বৈরতন্ত্রের হাতিয়ার এবং লুটপাট এর নিরাপদ স্বর্গ রাজ্য হিসেবে ব্যবহার করেছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সরকার যে বিভিন্ন সেক্টরে কাঠামোগত সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টি করা ২০২৪ সালের রাষ্ট্রীয় সংস্কারের অন্যতম ও অবিচ্ছেদে অংশ হতে পারে বলে তারা মনে করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মোঃ তমিজ উদ্দিন আহমেদ (সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়); সহ-সভাপতি মোঃ শাহিন মিয়া (সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ) ও মোঃ আবু রায়হান (সিস্টেম এনালিস্ট, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়); যুগ্মসচিব মোঃ মনিরুজ্জামান (প্রোগ্রামার, ডাক অধিদপ্তর); কোষাধ্যক্ষ জিকরা আমিন (প্রোগ্রামার, যৌথ মূলধন কোম্পানী ও ফার্ম সমূহের পরিদপ্তর), সাবেক সভাপতি মোঃ আক্তার আলী (সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, পুলিশ হেডকোয়াটার্স, বাংলাদেশ পুলিশ) প্রমুখ।