সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ডে পাঠানোর মাত্র একদিন পর ছয়টি মামলায় জামিন দিয়ে আদালত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরের দুইজন হাকিম মঙ্গলবার বিকালে তার জামিন মঞ্জুর করেন এবং সন্ধ্যার দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে সাবেক এই মন্ত্রী মুক্তি পান।
গ্রেপ্তারের পটভূমি ও মামলা সম্পর্কিত তথ্য
সাবের হোসেন চৌধুরীকে গত রোববার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবের হোসেন চৌধুরী, যিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ঢাকা-৯ আসনের সাবেক এমপি। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা।
সোমবার আদালতে হাজির করা হলে মকবুল হত্যা মামলায় বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। পাশাপাশি, খিলগাঁও থানার আরো দুটি হত্যা মামলা ও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালত কক্ষ থেকে তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় একদল ব্যক্তি পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে সাবের হোসেনের ওপর হামলা চালায়।
জিজ্ঞাসাবাদে শারীরিক অসুস্থতা
সোমবারের ঘটনার পর, সাবের হোসেন চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই মঙ্গলবার আবার আদালতে হাজির করে। পুলিশ রিমান্ডে না নিয়েই আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবের হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং তার হার্টে তিনটি রিং স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হননি।
পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। তাই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে রিমান্ডে না রেখে আদালতে হাজির করা হলো।”
জামিনের আবেদন ও শুনানি
মঙ্গলবার, সাবের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন খিলগাঁও থানার চারটি মামলায় তার জামিনের আবেদন করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে বিএনপিপন্থি সিনিয়র আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। তবে শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।
এদিকে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যার মামলায় সাবের হোসেনকে রিমান্ড ফেরত দিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পল্টন থানার এসআই। এরপরও তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে রিমান্ড থেকে বাদ দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। একইসাথে, পল্টন থানার একটি হত্যা চেষ্টা মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান দুই মামলায় শুনানি শেষে সাবের হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি হাজতখানা থেকে মুক্তি পেয়ে কালো একটি গাড়িতে করে আদালত এলাকা ত্যাগ করেন।
দ্রুত মুক্তি ও বিরল ঘটনা
এই ঘটনাকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি বিরল উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো মন্ত্রী-এমপি, যারা সরকার পরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মধ্যে সাবের হোসেনই প্রথম ব্যক্তি, যিনি এত দ্রুত জামিন পেয়ে মুক্তি পেলেন।
সাবের হোসেন মুক্তি পাওয়ার সময় সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, “উনি অসুস্থ।”
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ডে পাঠানোর মাত্র একদিন পর ছয়টি মামলায় জামিন দিয়ে আদালত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরের দুইজন হাকিম মঙ্গলবার বিকালে তার জামিন মঞ্জুর করেন এবং সন্ধ্যার দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে সাবেক এই মন্ত্রী মুক্তি পান।
গ্রেপ্তারের পটভূমি ও মামলা সম্পর্কিত তথ্য
সাবের হোসেন চৌধুরীকে গত রোববার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবের হোসেন চৌধুরী, যিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ঢাকা-৯ আসনের সাবেক এমপি। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা।
সোমবার আদালতে হাজির করা হলে মকবুল হত্যা মামলায় বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। পাশাপাশি, খিলগাঁও থানার আরো দুটি হত্যা মামলা ও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালত কক্ষ থেকে তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় একদল ব্যক্তি পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে সাবের হোসেনের ওপর হামলা চালায়।
জিজ্ঞাসাবাদে শারীরিক অসুস্থতা
সোমবারের ঘটনার পর, সাবের হোসেন চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই মঙ্গলবার আবার আদালতে হাজির করে। পুলিশ রিমান্ডে না নিয়েই আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবের হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং তার হার্টে তিনটি রিং স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হননি।
পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। তাই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে রিমান্ডে না রেখে আদালতে হাজির করা হলো।”
জামিনের আবেদন ও শুনানি
মঙ্গলবার, সাবের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন খিলগাঁও থানার চারটি মামলায় তার জামিনের আবেদন করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে বিএনপিপন্থি সিনিয়র আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। তবে শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।
এদিকে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যার মামলায় সাবের হোসেনকে রিমান্ড ফেরত দিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পল্টন থানার এসআই। এরপরও তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে রিমান্ড থেকে বাদ দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। একইসাথে, পল্টন থানার একটি হত্যা চেষ্টা মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান দুই মামলায় শুনানি শেষে সাবের হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি হাজতখানা থেকে মুক্তি পেয়ে কালো একটি গাড়িতে করে আদালত এলাকা ত্যাগ করেন।
দ্রুত মুক্তি ও বিরল ঘটনা
এই ঘটনাকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি বিরল উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো মন্ত্রী-এমপি, যারা সরকার পরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মধ্যে সাবের হোসেনই প্রথম ব্যক্তি, যিনি এত দ্রুত জামিন পেয়ে মুক্তি পেলেন।
সাবের হোসেন মুক্তি পাওয়ার সময় সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, “উনি অসুস্থ।”