সংস্কৃতি ও পরিচিতির প্রশ্নে উত্তেজনা, আহত একাধিক ব্যক্তি
পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত একটি চিত্রকর্ম মুছে ফেলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের প্রচ্ছদে একটি চিত্রকর্মে গাছের পাতায় ‘মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী’ শব্দগুলো লেখা ছিল। তবে এই চিত্রকর্মটি ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামের একটি সংগঠনের দাবির পর অনলাইন সংস্করণ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’ পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে। একই সময়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ও সেখানে অবস্থান নেয়, যার ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বেলা ১১টায় আদিবাসী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করে এনসিটিবি ভবনের দিকে অগ্রসর হয়। অপরদিকে, ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র সদস্যরা আগে থেকেই পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান করছিল।
উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। মতিঝিল থানা পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানায়, ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র একদল সদস্য লাঠিসোঁটা নিয়ে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’র ওপর হামলা চালায়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থী ও কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে নয়জনকে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম হলো ধনজেতরা, ফুটন্ত চাকমা, ইসাবা শুহরাত এবং টিভি সাংবাদিক জুয়েল।
‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’র সংগঠক অলিক মৃ অভিযোগ করেন, “স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টির সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ১১ জন আহত হয়েছে।”
অন্যদিকে, ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, “উপজাতিরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ১৪ জন আহত হয়েছে।”
‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’র দাবি, পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দেওয়া তাদের পরিচিতি ও মর্যাদার ওপর আঘাত। সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমাদের অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে। চিত্রকর্মটি পুনর্বহাল করতে হবে।”
অন্যদিকে, ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ দাবি করে, পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার দেশের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিউদ্দীন রাহাত বলেন, “বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই। এ শব্দ ব্যবহার করা দেশের অখণ্ডতার জন্য হুমকি।”
সংঘর্ষের পর মতিঝিল এলাকা বর্তমানে শান্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা রয়ে গেছে।
এই ঘটনায় সরকারের অবস্থান ও সমাধানমূলক পদক্ষেপ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংস্কৃতি ও পরিচিতির প্রশ্নে উত্তেজনা, আহত একাধিক ব্যক্তি
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত একটি চিত্রকর্ম মুছে ফেলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের প্রচ্ছদে একটি চিত্রকর্মে গাছের পাতায় ‘মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী’ শব্দগুলো লেখা ছিল। তবে এই চিত্রকর্মটি ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামের একটি সংগঠনের দাবির পর অনলাইন সংস্করণ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’ পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে। একই সময়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ও সেখানে অবস্থান নেয়, যার ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বেলা ১১টায় আদিবাসী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করে এনসিটিবি ভবনের দিকে অগ্রসর হয়। অপরদিকে, ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র সদস্যরা আগে থেকেই পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান করছিল।
উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। মতিঝিল থানা পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানায়, ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র একদল সদস্য লাঠিসোঁটা নিয়ে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’র ওপর হামলা চালায়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থী ও কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে নয়জনকে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম হলো ধনজেতরা, ফুটন্ত চাকমা, ইসাবা শুহরাত এবং টিভি সাংবাদিক জুয়েল।
‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’র সংগঠক অলিক মৃ অভিযোগ করেন, “স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টির সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ১১ জন আহত হয়েছে।”
অন্যদিকে, ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, “উপজাতিরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ১৪ জন আহত হয়েছে।”
‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’র দাবি, পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দেওয়া তাদের পরিচিতি ও মর্যাদার ওপর আঘাত। সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমাদের অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে। চিত্রকর্মটি পুনর্বহাল করতে হবে।”
অন্যদিকে, ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ দাবি করে, পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার দেশের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিউদ্দীন রাহাত বলেন, “বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই। এ শব্দ ব্যবহার করা দেশের অখণ্ডতার জন্য হুমকি।”
সংঘর্ষের পর মতিঝিল এলাকা বর্তমানে শান্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা রয়ে গেছে।
এই ঘটনায় সরকারের অবস্থান ও সমাধানমূলক পদক্ষেপ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।