শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে বাঁশ ফেলে রাস্তা অবরুদ্ধ করেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিকেলে আরও বড় পরিসরে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। তবে নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে তারা কিছু জানাননি।
এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ২৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেন। সরকার সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে, তবে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানাচ্ছেন।
বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক মাহমুদ বলেন, “ছয় কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করলে করুক, কিন্তু তিতুমীর কলেজ আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে।” তিনি দাবি করেন, সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যাওয়ার পর শিক্ষার মান কমেছে, সেশনজট বেড়েছে।
অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সন্তানকে নিয়ে যেতে হেঁটে রওনা দেন রোকেয়া বেগম। তিনি বলেন, “বাস নামাই দিছে মহাখালীতে, এখন হাঁটা ছাড়া উপায় নাই। ডাক্তার টাইম মতো না দেখলে কী করমু?”
শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, প্রশাসন গঠন এবং শিক্ষার্থীদের আবাসন বা আবাসিক খরচ নিশ্চিত করা।
শিক্ষা উপদেষ্টার এক বক্তব্য প্রত্যাহার এবং আরেক উপদেষ্টার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে বাঁশ ফেলে রাস্তা অবরুদ্ধ করেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিকেলে আরও বড় পরিসরে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। তবে নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে তারা কিছু জানাননি।
এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ২৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেন। সরকার সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে, তবে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানাচ্ছেন।
বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক মাহমুদ বলেন, “ছয় কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করলে করুক, কিন্তু তিতুমীর কলেজ আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে।” তিনি দাবি করেন, সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যাওয়ার পর শিক্ষার মান কমেছে, সেশনজট বেড়েছে।
অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সন্তানকে নিয়ে যেতে হেঁটে রওনা দেন রোকেয়া বেগম। তিনি বলেন, “বাস নামাই দিছে মহাখালীতে, এখন হাঁটা ছাড়া উপায় নাই। ডাক্তার টাইম মতো না দেখলে কী করমু?”
শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, প্রশাসন গঠন এবং শিক্ষার্থীদের আবাসন বা আবাসিক খরচ নিশ্চিত করা।
শিক্ষা উপদেষ্টার এক বক্তব্য প্রত্যাহার এবং আরেক উপদেষ্টার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।