চামড়া শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হলেও নানা সংকটে জর্জরিত। বিশেষ করে কোরবানির সময় চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এই সংকট নিরসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী হতে পারে, তা নিয়ে ঢাকায় এক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (NIMC) আয়োজনে ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের SIBE-NIMC প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
কর্মশালায় সাংবাদিকরা চামড়া শিল্পের সংকট ও সম্ভাবনার ওপর আলোচনা করেন। কর্মশালার পরিচালক ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক চামড়া শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুত্তালিব, চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার মো. আবুল কাশেম আজাদ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। শিল্প উদ্যোক্তাদের মতামত তুলে ধরা, টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বক্তারা চামড়া সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়নে এতিমখানাগুলোকে সম্পৃক্ত করে সুদমুক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে একটি উদ্ভাবনী বিজনেস মডেলের প্রস্তাব দেন। এতে চামড়া সংগ্রহ ও বিপণন আরও কার্যকর হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
প্রধান অতিথি মাহবুবা ফারজানা বলেন, “চামড়া শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সাংবাদিকরা যদি গবেষণাধর্মী ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তাহলে সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।”
কর্মশালায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ছাড়াও চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউট, হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যশোর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, শরিয়তপুর, মৌলভীবাজার, নাটোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা অংশ নেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. কাউসার আহমেদ। আলোচনায় আরও অংশ নেন পরিচালক ড. মারুফ নাওয়াজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপপরিচালক জনাব সুমনা পারভীন।
বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কোরবানির সময় চামড়া সংগ্রহ ও শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যমের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সাংবাদিকরা যদি চামড়া শিল্পের সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন তৈরি করেন, তাহলে শিল্পখাতের সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
চামড়া শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হলেও নানা সংকটে জর্জরিত। বিশেষ করে কোরবানির সময় চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এই সংকট নিরসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী হতে পারে, তা নিয়ে ঢাকায় এক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (NIMC) আয়োজনে ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের SIBE-NIMC প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
কর্মশালায় সাংবাদিকরা চামড়া শিল্পের সংকট ও সম্ভাবনার ওপর আলোচনা করেন। কর্মশালার পরিচালক ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক চামড়া শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুত্তালিব, চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার মো. আবুল কাশেম আজাদ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। শিল্প উদ্যোক্তাদের মতামত তুলে ধরা, টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বক্তারা চামড়া সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়নে এতিমখানাগুলোকে সম্পৃক্ত করে সুদমুক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে একটি উদ্ভাবনী বিজনেস মডেলের প্রস্তাব দেন। এতে চামড়া সংগ্রহ ও বিপণন আরও কার্যকর হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
প্রধান অতিথি মাহবুবা ফারজানা বলেন, “চামড়া শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সাংবাদিকরা যদি গবেষণাধর্মী ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তাহলে সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।”
কর্মশালায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ছাড়াও চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউট, হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যশোর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, শরিয়তপুর, মৌলভীবাজার, নাটোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা অংশ নেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. কাউসার আহমেদ। আলোচনায় আরও অংশ নেন পরিচালক ড. মারুফ নাওয়াজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপপরিচালক জনাব সুমনা পারভীন।
বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কোরবানির সময় চামড়া সংগ্রহ ও শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যমের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সাংবাদিকরা যদি চামড়া শিল্পের সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন তৈরি করেন, তাহলে শিল্পখাতের সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।