ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ব্যক্তিগত নজরদারি মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে, যা থেকে রাষ্ট্রকে সরে আসতে হবে। সংস্থাগুলোর সংস্কার জরুরি, কারণ ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
গত ১২ জানুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) বাংলাদেশে অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) শুধুমাত্র সীমান্তরক্ষা ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরকে (ডিজিএফআই) সামরিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে সীমিত রাখার সুপারিশ করা হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, র্যাব ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। এনটিএমসির মাধ্যমে বাংলাদেশকে নজরদারি সমাজে পরিণত করা হয়েছে, যা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। ডিজিএফআইয়ের দায়িত্ব শুধুমাত্র সামরিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে সীমিত রাখা উচিত এবং আনসার ভিডিপির সামরিক কর্তৃত্ব বন্ধ করতে হবে।
পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করা দরকার। তবে পুলিশ সংস্কার কমিশন এ নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা বোধগম্য নয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ৫টি খাতে ৪৩টি সুপারিশ করা হয়েছে। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মী, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ দীর্ঘদিন ধরে যেসব দাবি জানিয়ে আসছে, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হলে এ প্রতিবেদন প্রয়োজন হতো না।
সংস্কার কমিশনের ছয়টি প্রতিবেদন ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, আরও পাঁচটি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোর সঙ্গে এগুলোর অনেক মিল রয়েছে। এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে ভবিষ্যতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি সরকারের কাছে জাতিসংঘের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানান, যাতে ভবিষ্যতে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্লাস্টের পরিচালক মো. বরকত আলী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। নারীপক্ষের প্রতিনিধি রওশন আরা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, আহতদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত অনুদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সুপারিশমালা তুলে ধরেন। সেখানে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) পরিচালক শামসুল হুদা, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকারসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ব্যক্তিগত নজরদারি মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে, যা থেকে রাষ্ট্রকে সরে আসতে হবে। সংস্থাগুলোর সংস্কার জরুরি, কারণ ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
গত ১২ জানুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) বাংলাদেশে অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) শুধুমাত্র সীমান্তরক্ষা ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরকে (ডিজিএফআই) সামরিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে সীমিত রাখার সুপারিশ করা হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, র্যাব ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। এনটিএমসির মাধ্যমে বাংলাদেশকে নজরদারি সমাজে পরিণত করা হয়েছে, যা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। ডিজিএফআইয়ের দায়িত্ব শুধুমাত্র সামরিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে সীমিত রাখা উচিত এবং আনসার ভিডিপির সামরিক কর্তৃত্ব বন্ধ করতে হবে।
পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করা দরকার। তবে পুলিশ সংস্কার কমিশন এ নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা বোধগম্য নয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ৫টি খাতে ৪৩টি সুপারিশ করা হয়েছে। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মী, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ দীর্ঘদিন ধরে যেসব দাবি জানিয়ে আসছে, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হলে এ প্রতিবেদন প্রয়োজন হতো না।
সংস্কার কমিশনের ছয়টি প্রতিবেদন ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, আরও পাঁচটি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোর সঙ্গে এগুলোর অনেক মিল রয়েছে। এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে ভবিষ্যতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি সরকারের কাছে জাতিসংঘের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানান, যাতে ভবিষ্যতে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্লাস্টের পরিচালক মো. বরকত আলী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। নারীপক্ষের প্রতিনিধি রওশন আরা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, আহতদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত অনুদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সুপারিশমালা তুলে ধরেন। সেখানে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) পরিচালক শামসুল হুদা, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকারসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।