alt

নগর-মহানগর

হাইকোর্টের বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর আগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিভিন্ন তথ্য পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি তদন্তের নির্দেশ দেন।

২০ মার্চ গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করে আইন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। সংবিধানের ৯৬(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৯ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে অপসারণ করেন।

গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন বিচারকের অপসারণের দাবি ওঠে। এরপর ১৬ অক্টোবর ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, যাদের মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানও ছিলেন।

অন্য বিচারকদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, শেখ হাসান আরিফ, আশীষ রঞ্জন দাস, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, এস এম মনিরুজ্জামান, আতাউর রহমান খান, শাহেদ নূরউদ্দিন, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শুরু করার তথ্য জানায়। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

ছুটিতে পাঠানো বিচারকদের মধ্যে বিচারপতি আতাউর রহমান খান নভেম্বরে এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান। বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও এস এম মাসুদ হোসেন দোলন স্থায়ী না হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন। জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন।

২০০৪ সালে অসদাচরণের অভিযোগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে অপসারণ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হলে সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে টানাপড়েন শুরু হয়।

এক রিট মামলার রায়ে ২০১৭ সালে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করে রায় দেয়।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অপর দুই সদস্য আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। নিয়ম অনুযায়ী, কাউন্সিলের সুপারিশ পাঠানোর পর রাষ্ট্রপতি তা বাস্তবায়ন করেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক ও এ কে এম জহিরুল হককে ২০১৯ সালের আগস্টে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তাদের পদত্যাগের খবর জানানো হয়।

গণঅভ্যুত্থানের পর ১০ আগস্ট ছাত্র-জনতার দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।

ছবি

সকাল থেকে রাজধানীজুড়ে থমকে ছিল গাড়ির চাকা

ছবি

সচিবালয়ে আগামীকাল থেকে শুরু হবে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি

ছবি

“একাত্তরের দালালের সঙ্গে আপস নয়”—মধুর ক্যান্টিন থেকে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ ছাত্র সংগঠনের

ছবি

খালাসের আদেশের পর বুধবার মুক্তি পাচ্ছেন আজহারুল ইসলাম

ছবি

সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসীরা, উদ্ধার স্যাটেলাইট ফোন ও আগ্নেয়াস্ত্র

ছবি

‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার চাই’—সচিবালয়ের সামনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

ছবি

সচিবদের আশ্বাসে এক দিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করলেন সরকারি কর্মচারীরা

চুরির অপবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, দোকানিকে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

ছবি

‘কালো আইন’ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ঐক্য ফোরাম

ছবি

চেয়ারম্যানের প্রতি আস্থার অভাব, এনবিআর কর্মকর্তাদের অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা

ছবি

শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার ও প্রশাসনের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

ইশরাককে মেয়র ঘোষণার দাবিতে নগর ভবনে বিক্ষোভ, আজও সেবা বন্ধ

ছবি

মগবাজারে অস্ত্র হাতে ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল — খুঁজছে পুলিশ

ডিএনএ মিলেছে বলে দাবী, তবে ‘মিলছেনা পিতার স্বীকৃতি’, হুমকির অভিযোগ এক নারীর

ছবি

“নারী কমিশন বাতিলের দাবি ভাবনার পরিসর সংকুচিত করছে”—গীতি আরা নাসরিন

ছবি

বনানীতে রেডি-মিক্স ট্রাকের চাপায় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যু

ছবি

বিএডিসিতে কৃষি নীতিমালা বাস্তবায়নসহ ৯ দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ছবি

ন্যাশনাল হাসপাতালে ড্যাব নেতাদের মতবিনিময়, সদস্যপদ নিয়ে চিকিৎসকদের স্পষ্ট অবস্থান

ছবি

অভিযোগ: শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, এনআইডি স্থগিত করলো আদালত

দগ্ধ বাবা-মা ও ছোট বোনের পর মারা গেল মিথিলা

ছবি

গাজীপুরে বকেয়া দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিপেটা

ছবি

মব নিয়ন্ত্রণে অনুকরণীয় ভূমিকা, ডিএমপির পুরস্কার পেলেন ধানমন্ডি থানার ওসি

ছবি

মামুন খালেদ-শাওনসহ আরও কয়েকজনের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

চালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রিকশা ছিনতাই

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন আয়োজন করতে চায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ১৯ সেপ্টেম্বর, ৪৬তমের লিখিতের নতুন তারিখ ঘোষণা

ছবি

ম্যারিকোর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শ্রমিকদের আবেদন

ছবি

অধ্যাদেশ নয়, চাই টেকসই সংস্কার’—মধ্যরাতের আইনের প্রতিবাদে এনবিআর কর্মকর্তাদের কালো ব্যাজ

ছবি

মৎস্যভবন ও কাকরাইল মোড়ে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান

ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কুপিয়ে জখমের ভিডিও, মামলায় পাঁচজনের নাম

ছবি

পালিয়ে বাঁচা যাবে না, দুদকের হুঁশিয়ারি উপদেষ্টার দুই পিওকে

ছবি

এজলাসের ভিডিও নিয়ে বিরোধ: বিচারককে আইনের আওতায় আনার আহ্বান ঢাকা বারের একাংশের

ছবি

অনশনের পর জয়: ৪৩তম বিসিএসের ১৬২ জন প্রার্থী অবশেষে চাকরি পাচ্ছেন

ছবি

‘ড্যাপ বাতিলের’ দাবিতে রাজউকের সামনে বিক্ষোভ

ছবি

ইশরাককে মেয়রের শপথ দাবিতে নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান, সেবা কার্যক্রম স্থবির

ছবি

এনবিআর বিভাজন অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে আলোচনায় বসছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

tab

নগর-মহানগর

হাইকোর্টের বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর আগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিভিন্ন তথ্য পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি তদন্তের নির্দেশ দেন।

২০ মার্চ গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করে আইন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। সংবিধানের ৯৬(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৯ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে অপসারণ করেন।

গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন বিচারকের অপসারণের দাবি ওঠে। এরপর ১৬ অক্টোবর ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, যাদের মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানও ছিলেন।

অন্য বিচারকদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, শেখ হাসান আরিফ, আশীষ রঞ্জন দাস, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, এস এম মনিরুজ্জামান, আতাউর রহমান খান, শাহেদ নূরউদ্দিন, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শুরু করার তথ্য জানায়। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

ছুটিতে পাঠানো বিচারকদের মধ্যে বিচারপতি আতাউর রহমান খান নভেম্বরে এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান। বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও এস এম মাসুদ হোসেন দোলন স্থায়ী না হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন। জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন।

২০০৪ সালে অসদাচরণের অভিযোগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে অপসারণ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হলে সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে টানাপড়েন শুরু হয়।

এক রিট মামলার রায়ে ২০১৭ সালে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করে রায় দেয়।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অপর দুই সদস্য আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। নিয়ম অনুযায়ী, কাউন্সিলের সুপারিশ পাঠানোর পর রাষ্ট্রপতি তা বাস্তবায়ন করেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক ও এ কে এম জহিরুল হককে ২০১৯ সালের আগস্টে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তাদের পদত্যাগের খবর জানানো হয়।

গণঅভ্যুত্থানের পর ১০ আগস্ট ছাত্র-জনতার দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।

back to top