alt

নগর-মহানগর

অধ্যক্ষকে হেনস্তার প্রতিবাদে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও ইন্টার্নি চিকিৎসকরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

অধ্যক্ষকে পদত্যাগে ‘বাধ্য করানোর চেষ্টা’ এবং ‘হেনস্তা’ করার ঘটনার প্রতিবাদে জরুরি ছাড়া সব চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর শ্যামলীর এ হাসপাতালে গত কয়েকদিন ধরে চলা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে বুধবার সকাল থেকে সেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন তারা।

অধ্যক্ষ আবুল বাশার মো. আব্দুল মতিনকে পদত্যাগে চাপ দেওয়া এবং লাঞ্ছিত করার অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিলেও আন্দোলনকারীদের দাবি, এ ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বুধবার সকাল থেকে এ দাবিতে ইন্টার্নি ও শিক্ষার্থীরা জরুরি ছাড়া অন্য সব চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন। তারা হাসপাতালের প্রবেশ মুখ বন্ধ রেখে কাউকে ঢুকতে দেননি এবং প্রথমে ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে চাননি। তারা বলেন, ‘উপর’ থেকে বলা হলেই শুধু সাংবাদিকরা ঢুকতে পারবেন।

বিক্ষোভরতদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের পরিচালক সুলতান মাহমুদ, চিফ অপারেটিং অফিসার নাসির উদ্দিন, অপারেশনস ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করছেন। তাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

হাসপাতালের গেটের বাইরে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘উপর’ থেকে ডাক পড়লে সাংবাদিকদের সাত তলার মিলনায়তনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির শিক্ষক, ইন্টার্নি ও শিক্ষার্থীদের জটলা দেখা যায়। এর মধ্যে তানজিন রহমান নামের একজন ইন্টার্নি মাইক নিয়ে কথা বলতে শুরু করে আজানের কারণে থেমে যান।

পরে তার কথা বলা শুরুর মুহূর্তে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম এ হাই চৌধুরী এবং কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক এসএম ইদ্রিস আলীসহ কয়েকজন মিলনায়তনে ঢোকেন। তারা ইন্টার্নি তানজিনকে কথা বলতে নিষেধ করেন।

পরে অধ্যাপক ইদ্রিস মাইক নিয়ে বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। একটা ঘটনার পেছনে অনেক ঘটনা থাকে। এই ঘটনা নিয়ে আমরাও চাই না যারা রোগী নিয়ে কাজ করি, মানুষের সেবা নিয়ে কাজ করি তারা আন্দোলন করুক। কিন্তু আমরা সম্মান চাই।”

কী ঘটনা ঘটেছে বা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মিস্টার নাসিরই (চিফ অপারেটিং অফিসার) হচ্ছে মূল ক্রিমিনাল। এই পরিস্থিতির কারণে নাসির পালিয়ে গেছে। তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” সুলতান মাহমুদের (হাসপাতালের পরিচালক) নাম তুলে ধরে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। এসব পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চলে গেছেন।

অধ্যক্ষকে পদত্যাগে চাপ দেওয়া ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে যে পাঁচজনের পদত্যাগ চেয়ে ইন্টার্নি ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন, তাদের মধ্যে এ দুইজন রয়েছেন। তাদের বিষয়ে জানানোর পর মিলনায়তনে থাকা সবাই হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান।

এসময় অধ্যাপক ইদ্রিস বলেন, একটি সমাধান হয়েছে। এখন থেকে চিকিৎসকরা রোগীর সেবায় এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যাবেন। তবে বিকালেও আন্দোলনকারীরা কাজে যোগ দেননি।

অধ্যক্ষকে পদত্যাগ করানোর চাপ এবং লাঞ্ছিত করার বিষয়ে হাসপাতালের আরেক শিক্ষক নাজনীন নাহার বলেন, সাত থেকে ১০ দিন আগে কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাশার মো. আব্দুল মতিনকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি।

তাজুল নামের একজন কিছুদিন আগে যোগদান করে প্রতিটি বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন। প্রিন্সিপাল স্যারের কাছ থেকে কোনো পদত্যাগপত্র না নিয়েই তিনি আরেকজনকে প্রিন্সিপাল করার অপচেষ্টা চালান। পরে এসব বিষয় জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এরপরই কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলে সপ্তাহ খানেক সময় চেয়ে নেয়।

“এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ছাত্ররা ক্লাসে যায় এবং সমাধান হয়। এরপরেই গতকাল (মঙ্গলবার) স্যারকে (অধ্যক্ষ) মিথ্যা কথা বলে একটি বিশেষ ভবনে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে মানহানি করা হয়েছে, ৫/৭ জন মিলে অ্যাটাক করলে তিনি দোতলা থেকে গড়িয়ে নিচে পড়ে যান।”

বিকালে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মুয়াজ রহমান বলেন, তারা পাঁচজনের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আনেন। কর্তৃপক্ষ দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও বাকিদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। “আমরা চেয়ারম্যান স্যারকে বলেছি, তিনি এই তিনজনের ব্যাপারে সময় চেয়েছেন। কিন্তু আমরা সময় দিতে নারাজ। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।”

আন্দোলনকারীরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সেই পাঁচজনের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালক সুলতান মাহমুদ, চিফ অপারেটিং অফিসার নাসির উদ্দিন, অপারেশনস ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ছবি

নসরুল হামিদের গুলশানের ২০০ কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ

ছবি

শেয়ার ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ: বসুন্ধরা চেয়ারম্যানসহ পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হিসেবে আনসার উদ্দিন খান পাঠান নিয়োগপ্রাপ্ত

ছবি

চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটকে তালা

ছবি

ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিকে তালা ঝুলিয়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি

ছবি

টঙ্গীতে ছাঁটাইকৃত ও নিয়মিত শ্রমিকদের সংঘর্ষ, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

ছবি

দুদক অনুসন্ধান করছে নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে

ছবি

মানহানির মামলায় বাসসের এমডি মাহবুব মোর্শেদের জামিন

ছবি

ইসির গেজেট: ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন মেয়র ইশরাক হোসেন

ছবি

এস আলম গ্রুপের স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তেল কারখানার জমি নিলামে তুলেছে ইসলামী ব্যাংক

সিলেট বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন

ছবি

দক্ষিণ বনশ্রীতে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে

ছবি

সিদ্ধেশ্বরীতে চলন্ত গাড়ি থেকে ছিনতাই, নারী গুরুতর আহত

ছবি

দুদক শুরু করেছে দুই উপদেষ্টার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত

ছবি

এসএসসি পরীক্ষার্থী নাঈমের মর্মান্তিক মৃত্যু: উত্তরা সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত

ছবি

পূর্বাচল সোসাইটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

১১তম গ্রেডে বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের

ছবি

পুরনো গাড়ির নিবন্ধন ফি বৈষম্যমূলক, শুল্কহার কমানোর দাবি বারভিডার

ছবি

জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট হারানোর ঝুঁকি দেখছেন সলিমুল্লাহ খান

ছবি

সিনহা হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি এক্স–ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের

সিলেটে দৈনিক ৫ কোটি লিটার পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট নির্মাণের উদ্যোগ

আধিপত্য বিস্তারের জেরে ঢামেক জরুরি বিভাগে সংঘর্ষ, ঢাবি ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় না চড়তে ডিএনসিসি প্রশাসকের অনুরোধ

ছবি

সুচিকিৎসার দাবিতে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আহতদের মানববন্ধন

ছবি

হারুন অর রশীদের ফ্ল্যাট ও তিনটি প্লট জব্দের আদেশ

ছবি

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

ছবি

ভাঙা হচ্ছে না শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, চলছে আধুনিকায়নের কাজ

ছবি

শাহবাগ ব্লকেডের হুঁশিয়ারি ঢাবি শিক্ষার্থীদের, কুয়েট ভিসির অপসারণ দাবি

ছবি

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুই দিন ক্লাস বন্ধ

ছবি

নবীজীকে (স.) কটূক্তির প্রতিবাদে তেজগাঁওয়ে কোহিনূর কেমিক্যালের শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

ছবি

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি

ছবি

পুনরায় সংঘর্ষে জড়ালো ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা, আলোচনায় বসবে পুলিশ

ছবি

গত ৯ বছরে মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাস পেয়েছে ঢাকা: গবেষণা

ছবি

ঢাকা ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত সায়েন্স ল্যাব, পুলিশের লাঠিপেটা

ছবি

গাজীপুরে তিন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ছয় নেতার হাজিরা

ছবি

গুলশানে ব্যাটারি রিকশা বন্ধ: প্যাডেলচালিতদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বনানী

tab

নগর-মহানগর

অধ্যক্ষকে হেনস্তার প্রতিবাদে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও ইন্টার্নি চিকিৎসকরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

অধ্যক্ষকে পদত্যাগে ‘বাধ্য করানোর চেষ্টা’ এবং ‘হেনস্তা’ করার ঘটনার প্রতিবাদে জরুরি ছাড়া সব চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর শ্যামলীর এ হাসপাতালে গত কয়েকদিন ধরে চলা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে বুধবার সকাল থেকে সেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন তারা।

অধ্যক্ষ আবুল বাশার মো. আব্দুল মতিনকে পদত্যাগে চাপ দেওয়া এবং লাঞ্ছিত করার অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিলেও আন্দোলনকারীদের দাবি, এ ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বুধবার সকাল থেকে এ দাবিতে ইন্টার্নি ও শিক্ষার্থীরা জরুরি ছাড়া অন্য সব চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন। তারা হাসপাতালের প্রবেশ মুখ বন্ধ রেখে কাউকে ঢুকতে দেননি এবং প্রথমে ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে চাননি। তারা বলেন, ‘উপর’ থেকে বলা হলেই শুধু সাংবাদিকরা ঢুকতে পারবেন।

বিক্ষোভরতদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের পরিচালক সুলতান মাহমুদ, চিফ অপারেটিং অফিসার নাসির উদ্দিন, অপারেশনস ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করছেন। তাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

হাসপাতালের গেটের বাইরে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘উপর’ থেকে ডাক পড়লে সাংবাদিকদের সাত তলার মিলনায়তনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির শিক্ষক, ইন্টার্নি ও শিক্ষার্থীদের জটলা দেখা যায়। এর মধ্যে তানজিন রহমান নামের একজন ইন্টার্নি মাইক নিয়ে কথা বলতে শুরু করে আজানের কারণে থেমে যান।

পরে তার কথা বলা শুরুর মুহূর্তে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম এ হাই চৌধুরী এবং কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক এসএম ইদ্রিস আলীসহ কয়েকজন মিলনায়তনে ঢোকেন। তারা ইন্টার্নি তানজিনকে কথা বলতে নিষেধ করেন।

পরে অধ্যাপক ইদ্রিস মাইক নিয়ে বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। একটা ঘটনার পেছনে অনেক ঘটনা থাকে। এই ঘটনা নিয়ে আমরাও চাই না যারা রোগী নিয়ে কাজ করি, মানুষের সেবা নিয়ে কাজ করি তারা আন্দোলন করুক। কিন্তু আমরা সম্মান চাই।”

কী ঘটনা ঘটেছে বা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মিস্টার নাসিরই (চিফ অপারেটিং অফিসার) হচ্ছে মূল ক্রিমিনাল। এই পরিস্থিতির কারণে নাসির পালিয়ে গেছে। তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” সুলতান মাহমুদের (হাসপাতালের পরিচালক) নাম তুলে ধরে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। এসব পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চলে গেছেন।

অধ্যক্ষকে পদত্যাগে চাপ দেওয়া ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে যে পাঁচজনের পদত্যাগ চেয়ে ইন্টার্নি ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন, তাদের মধ্যে এ দুইজন রয়েছেন। তাদের বিষয়ে জানানোর পর মিলনায়তনে থাকা সবাই হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান।

এসময় অধ্যাপক ইদ্রিস বলেন, একটি সমাধান হয়েছে। এখন থেকে চিকিৎসকরা রোগীর সেবায় এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যাবেন। তবে বিকালেও আন্দোলনকারীরা কাজে যোগ দেননি।

অধ্যক্ষকে পদত্যাগ করানোর চাপ এবং লাঞ্ছিত করার বিষয়ে হাসপাতালের আরেক শিক্ষক নাজনীন নাহার বলেন, সাত থেকে ১০ দিন আগে কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাশার মো. আব্দুল মতিনকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি।

তাজুল নামের একজন কিছুদিন আগে যোগদান করে প্রতিটি বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন। প্রিন্সিপাল স্যারের কাছ থেকে কোনো পদত্যাগপত্র না নিয়েই তিনি আরেকজনকে প্রিন্সিপাল করার অপচেষ্টা চালান। পরে এসব বিষয় জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এরপরই কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলে সপ্তাহ খানেক সময় চেয়ে নেয়।

“এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ছাত্ররা ক্লাসে যায় এবং সমাধান হয়। এরপরেই গতকাল (মঙ্গলবার) স্যারকে (অধ্যক্ষ) মিথ্যা কথা বলে একটি বিশেষ ভবনে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে মানহানি করা হয়েছে, ৫/৭ জন মিলে অ্যাটাক করলে তিনি দোতলা থেকে গড়িয়ে নিচে পড়ে যান।”

বিকালে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মুয়াজ রহমান বলেন, তারা পাঁচজনের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আনেন। কর্তৃপক্ষ দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও বাকিদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। “আমরা চেয়ারম্যান স্যারকে বলেছি, তিনি এই তিনজনের ব্যাপারে সময় চেয়েছেন। কিন্তু আমরা সময় দিতে নারাজ। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।”

আন্দোলনকারীরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সেই পাঁচজনের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালক সুলতান মাহমুদ, চিফ অপারেটিং অফিসার নাসির উদ্দিন, অপারেশনস ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

back to top