এক যুগ আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অর্ধেকের বেশি মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে অভিযোগের ‘সত্যতা না পাওয়ার’ কথা জানিয়ে।
আদালতের জিআরও শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ওই ঘটনার পর ঢাকার মতিঝিল, পল্টন, রমনা, শাহবাগ ও যাত্রাবাড়ী থানায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২৫টি মামলার তদন্ত শেষ করে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। ২৪টি মামলার তদন্ত চলমান, আর দুটি মামলায় আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
নারী উন্নয়ন নীতি ও শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে ২০১০ সালে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০১৩ সালের ৫ মে তারা শাহবাগের আন্দোলনের বিরুদ্ধে এবং ১৩ দফা দাবিতে মতিঝিলে সমাবেশ ডাকে। সমাবেশ শেষে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়।
পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে মতিঝিল-পল্টন ও আশপাশের এলাকায় ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ হয়। রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ ওই অভিযানে ৬১ জন নিহত হওয়ার কথা জানালেও পুলিশ জানায়, রাতের অভিযানে কেউ নিহত হয়নি এবং সংঘাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর সারাদেশে মোট ৮৩টি মামলা হয়, যার মধ্যে ঢাকায় ৫১টি মামলা। এর মধ্যে পল্টন থানায় ৩৬টি, মতিঝিলে ৬টি, শাহবাগে ৪টি, রমনায় ২টি এবং যাত্রাবাড়ীতে ৩টি মামলা দায়ের হয়।
এসআই রুকনুজ্জামান জানান, পল্টনের ৩৬টি মামলার মধ্যে ২২টিতে এবং মতিঝিলের ৬টি মামলার মধ্যে ২টিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। শাহবাগ থানার চারটি মামলা, রমনার একটি এবং যাত্রাবাড়ীর সবগুলো মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “শাপলা চত্বরের ঘটনাগুলোর মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ছিল। অভিযোগের সত্যতা না থাকায় অনেক মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং আদালত তা গ্রহণ করেছেন।”
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, “আলেমরা সেদিন ন্যায্য দাবিতে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু সরকার নিরীহ আলেমদের নির্মমভাবে দমন করে। অন্তর্বর্তী সরকার এই মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেবে বলে আশা করি।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। অন্তর্বর্তী সরকার তার বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে।
শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী ঢাকার হাকিম আদালতে মামলা করেন। অন্য মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করেছে হেফাজতে ইসলাম, যেখানে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
এক যুগ আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অর্ধেকের বেশি মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে অভিযোগের ‘সত্যতা না পাওয়ার’ কথা জানিয়ে।
আদালতের জিআরও শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ওই ঘটনার পর ঢাকার মতিঝিল, পল্টন, রমনা, শাহবাগ ও যাত্রাবাড়ী থানায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২৫টি মামলার তদন্ত শেষ করে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। ২৪টি মামলার তদন্ত চলমান, আর দুটি মামলায় আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
নারী উন্নয়ন নীতি ও শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে ২০১০ সালে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০১৩ সালের ৫ মে তারা শাহবাগের আন্দোলনের বিরুদ্ধে এবং ১৩ দফা দাবিতে মতিঝিলে সমাবেশ ডাকে। সমাবেশ শেষে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়।
পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে মতিঝিল-পল্টন ও আশপাশের এলাকায় ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ হয়। রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ ওই অভিযানে ৬১ জন নিহত হওয়ার কথা জানালেও পুলিশ জানায়, রাতের অভিযানে কেউ নিহত হয়নি এবং সংঘাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর সারাদেশে মোট ৮৩টি মামলা হয়, যার মধ্যে ঢাকায় ৫১টি মামলা। এর মধ্যে পল্টন থানায় ৩৬টি, মতিঝিলে ৬টি, শাহবাগে ৪টি, রমনায় ২টি এবং যাত্রাবাড়ীতে ৩টি মামলা দায়ের হয়।
এসআই রুকনুজ্জামান জানান, পল্টনের ৩৬টি মামলার মধ্যে ২২টিতে এবং মতিঝিলের ৬টি মামলার মধ্যে ২টিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। শাহবাগ থানার চারটি মামলা, রমনার একটি এবং যাত্রাবাড়ীর সবগুলো মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “শাপলা চত্বরের ঘটনাগুলোর মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ছিল। অভিযোগের সত্যতা না থাকায় অনেক মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং আদালত তা গ্রহণ করেছেন।”
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, “আলেমরা সেদিন ন্যায্য দাবিতে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু সরকার নিরীহ আলেমদের নির্মমভাবে দমন করে। অন্তর্বর্তী সরকার এই মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেবে বলে আশা করি।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। অন্তর্বর্তী সরকার তার বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে।
শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী ঢাকার হাকিম আদালতে মামলা করেন। অন্য মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করেছে হেফাজতে ইসলাম, যেখানে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।