চীনা-বাংলাদেশি পাঠক ফোরামের উদ্যোগে সোনারগাঁও ঢাকা’র বলরুমে ‘সি জিনপিং: দেশ প্রশাসন’ বই উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানসহ দেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক।
রোববার সোনারগাঁও হোটেলে যৌথভাবে এ পাঠকসভার আয়োজন করে ঢাকায় চীনা দূতাবাস ও চায়না ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ প্রেস।
চীন ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বইটি ৪২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটি পড়লে চীন সম্পর্কে জানা যাবে।
ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় সমাজতন্ত্র বিষয়ে শির চিন্তা দর্শন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে চায়না প্রশাসনের গাইডিং নীতিমালাও জানা যাবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের বইয়ের বাংলা প্রকাশনা আমাদের জন্য একটি বড় উপহার। বইটি পড়লে সির রাজনৈতিক দর্শন ও চ্যলেঞ্জ জানা যাবে। শুধু অ্যাকাডেমিক নয়, চীনের পররাষ্ট্র নীতিও তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
তিনি বলেন, ”বাংলাদেশ সবসময়ই পারস্পরিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক অগ্রগতিতে বিশ্বাসী। আজকের বৈচিত্র্যময় ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে চীনের ভূমিকা ও অবদান আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।”
বাংলাদেশি-চীনা পাঠক ফোরামের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, “আমরা যখন সংস্কার নিয়ে আলোচনা করছি, তখন চীনা প্রেসিডেন্টের বইটি আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, কূটনীতি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছি। বইটিতে প্রেসিডেন্ট শি একই কথা বলেছেন।”
তিনি বলেন, চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সেসব শিক্ষা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “চীনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমি সম্প্রতি কিছু অধ্যায় পড়েছি– যা এই উন্নয়ন যাত্রা ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে।“
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের আধুনিকায়নের যাত্রায় বইটি একটি মূল্যবান রেফারেন্স হতে পারে। আধুনিকায়ন এখন গ্লোবাল সাউথের একটি সাধারণ চ্যালেঞ্জ। কয়েক দশকে চীন যা অর্জন করেছে, তা পাশ্চাত্যের শতাব্দী সময় নিয়েছে।
“চীন দুইটি অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে- দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থায়ী সামাজিক স্থিতিশীলতা- যা পশ্চিমকেন্দ্রিক আধুনিকায়নের ধ্যান ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। এটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুপ্রেরণার একটি নতুন দৃষ্টিকোণ।”
চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট তু চানইয়ুয়ান বলেন, “বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গভীর। আমরা আশা করি আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের পরিচালক শামসাদ মর্তুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুই, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের সভাপতি হান খুন আলোচনায় অংশ নেন।
রোববার, ১১ মে ২০২৫
চীনা-বাংলাদেশি পাঠক ফোরামের উদ্যোগে সোনারগাঁও ঢাকা’র বলরুমে ‘সি জিনপিং: দেশ প্রশাসন’ বই উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানসহ দেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক।
রোববার সোনারগাঁও হোটেলে যৌথভাবে এ পাঠকসভার আয়োজন করে ঢাকায় চীনা দূতাবাস ও চায়না ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ প্রেস।
চীন ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বইটি ৪২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটি পড়লে চীন সম্পর্কে জানা যাবে।
ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় সমাজতন্ত্র বিষয়ে শির চিন্তা দর্শন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে চায়না প্রশাসনের গাইডিং নীতিমালাও জানা যাবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের বইয়ের বাংলা প্রকাশনা আমাদের জন্য একটি বড় উপহার। বইটি পড়লে সির রাজনৈতিক দর্শন ও চ্যলেঞ্জ জানা যাবে। শুধু অ্যাকাডেমিক নয়, চীনের পররাষ্ট্র নীতিও তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
তিনি বলেন, ”বাংলাদেশ সবসময়ই পারস্পরিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক অগ্রগতিতে বিশ্বাসী। আজকের বৈচিত্র্যময় ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে চীনের ভূমিকা ও অবদান আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।”
বাংলাদেশি-চীনা পাঠক ফোরামের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, “আমরা যখন সংস্কার নিয়ে আলোচনা করছি, তখন চীনা প্রেসিডেন্টের বইটি আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, কূটনীতি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছি। বইটিতে প্রেসিডেন্ট শি একই কথা বলেছেন।”
তিনি বলেন, চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সেসব শিক্ষা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “চীনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমি সম্প্রতি কিছু অধ্যায় পড়েছি– যা এই উন্নয়ন যাত্রা ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে।“
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের আধুনিকায়নের যাত্রায় বইটি একটি মূল্যবান রেফারেন্স হতে পারে। আধুনিকায়ন এখন গ্লোবাল সাউথের একটি সাধারণ চ্যালেঞ্জ। কয়েক দশকে চীন যা অর্জন করেছে, তা পাশ্চাত্যের শতাব্দী সময় নিয়েছে।
“চীন দুইটি অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে- দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থায়ী সামাজিক স্থিতিশীলতা- যা পশ্চিমকেন্দ্রিক আধুনিকায়নের ধ্যান ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। এটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুপ্রেরণার একটি নতুন দৃষ্টিকোণ।”
চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট তু চানইয়ুয়ান বলেন, “বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গভীর। আমরা আশা করি আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের পরিচালক শামসাদ মর্তুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুই, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের সভাপতি হান খুন আলোচনায় অংশ নেন।