বিনা বাধায় শহরে চলাচলসহ চারদফা দাবিতে আন্দোলনরত ইজিবাইক চালকরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নগরভবনে হামলা চালিয়েছেন। এতে অন্তত ১৯ জন সিটি কর্পোরেশনের কর্মী ও যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলাকারীরা পরে সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনের ভেতরে ঢুকেও ভাঙচুর চালায়।
আহতরা হলেন, সিটি কর্পোরেশনের যানজট নিরসন সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম (৩০), যানজট নিরসন কর্মী মো. শাওন (৩৫), লিটন (৩৮), পলাশ (৩৪), মোহামাম্দ আলী (৩০), সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী শামসুন্নাহার শিমলা (২২), মোস্তাফিজুর রহমান মুহিন (১৮), সাগর দাস (২০), মাসুম বিল্লাহ ফারাবি (২৩), মাহিদুল আল মাহি (২২), মাহিদুল আল মাহি (২২), মাহফুজ আহমেদ (২২), সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম ইমন (২২), ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাতুল দেওয়ান (২২), সরকারি কদমরসুল কলেজের সিয়াম সরকার (২৪), মো. নাহিদ ইসলাম হৃদয় (১৮), শফিকউদ্দিন শিফন (১৮), নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল এমএ মাদরাসার মিনহাজ প্রিন্স (২০), নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী শেখ সামি (১৮) ও মো. সানভী (২১)।
ইজিবাইক চালকদের অভিযোগ, রিপন (২৮) ও সুমন (৩২) নামে তাদের দু’জন সহকর্মীও আহত হয়েছেন।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও ইজিবাইক চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিটি এলাকায় বিনা বাধায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল, চাঁদাবাজি বন্ধ ও নির্ধারিত স্ট্যান্ডের দাবিতে সকাল দশটা থেকে নগরভবনের সামনের সড়কে আন্দোলন করছিলেন চালকরা। তারা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তাদের লিখিত দাবিও পেশ করেন। সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বিষয়টি আলোচনার পর সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ সেখান থেকে চলে গেলও বেশ কয়েকজন সেখানেই ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সিটি কর্পোরেশের কর্মীরা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা কর্মী ও শিক্ষার্থীরা নগরভবনের প্রধান ফটকের সামনে এলে তাদের সঙ্গে ইজিবাইক চালকদের বাদানুবাদ হয়। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইজিবাইক চালকরা হামলা চালান।
ঘটনার সময় ধারণ করা একটি ভিডিওতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান ফটক টপকে তালা ভাঙারও চেষ্টা করতেও দেখা যায়। পরে তারা নগরভবনের ভেতর ঢুকে ভাঙচুর চালান।
আহত সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম বলেন, যানজট নিরসন কর্মীদের নিয়ে নগরভবনে ঢোকার পথে তাদের উপর “লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র” নিয়ে হামলা চালান ইজিবাইক চালকরা। তাকে রক্ষা করতে গেলে অন্যদেরও মারধর করা হয়।
“ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক শহরের ভেতর ঢোকা নিষেধ। সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত সপ্তাহে কয়েকটি ইজিবাইক যানজট নিরসন কর্মীরা আটক করে নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার মাধ্যমে ছাড়া হয়। যেহেতু আমরা যানজট নিরসনের দায়িত্বে আছি, তাই ওরা (চালকরা) আমাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টা বুঝতেই পারিনি। এটা ধারণায় থাকলে আমরা তখন সেখানে যেতামই না”, যোগ করেন সম্রাট।
আহত শিক্ষার্থী শিমলা বলেন, “আমরা কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা করা শুরু করে।”
তবে, আন্দোলনরত ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ রাসেল অভিযোগ করে বলেন, “সিটি কর্পোরেশনের সুপারভাইজার সম্রাট চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। যারা তাকে চাঁদা দেয়, তাদের শহরে ঢুকতে দেয়। বাকিদের জরিমানা করে। এই কারণে লোকজন তাকে দেখার পরই ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। সে আবার লোকজন নিয়ে এসে আমাদের কয়েকজনকে মারধরও করে।”
এদিকে, হামলার ঘটনার পর আহতরা অন্তত দুই ঘন্টা নগরভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন। পাশে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে থাকলেও নগরভবনের সামনে ইজিবাইক চালকদের অবস্থান থাকায় তারা সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেননি। পরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির অতিরিক্ত সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যাবার সুযোগ পান।
ঘটনাস্থলে থাকা সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। দুইপক্ষই পরবর্তীতে বসে সমাধান করা হবে। এটা একধরনের ভুল বোঝাবুঝি ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আসার পরও ইজিবাইক চালকরা রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল। পরে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তাদের বুঝিয়ে ব্যারিকেড সরানো হয়।”
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
বিকেলে পৌন পাঁচটার দিকে অনুসারীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। পরে সড়কের উপর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন সাবেক এ ছাত্রদল নেতা। শিক্ষার্থীরা এ হামলার ঘটনায় তার অনুসারীদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। পরে জোসেফ বিষয়টি ‘সমাধান করবেন’ বলে আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কথা বলে মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেন, “সিটি কর্পোরেশন আমাকে (মোবাইলে) কল দিয়ে ডেকেছিলেন বলে আমি এসেছি। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা দরকার তা আমরা করেছি।”
হামলায় তার অনুসারীরাও জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আসলে ওদের (শিক্ষার্থী) বয়স কম, ওদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং লেভেল আপনাদের বুঝতে হবে। ওরা অনেক কিছু না বুঝেই বলে ফেলতেছে।”
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
বিনা বাধায় শহরে চলাচলসহ চারদফা দাবিতে আন্দোলনরত ইজিবাইক চালকরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নগরভবনে হামলা চালিয়েছেন। এতে অন্তত ১৯ জন সিটি কর্পোরেশনের কর্মী ও যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলাকারীরা পরে সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনের ভেতরে ঢুকেও ভাঙচুর চালায়।
আহতরা হলেন, সিটি কর্পোরেশনের যানজট নিরসন সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম (৩০), যানজট নিরসন কর্মী মো. শাওন (৩৫), লিটন (৩৮), পলাশ (৩৪), মোহামাম্দ আলী (৩০), সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী শামসুন্নাহার শিমলা (২২), মোস্তাফিজুর রহমান মুহিন (১৮), সাগর দাস (২০), মাসুম বিল্লাহ ফারাবি (২৩), মাহিদুল আল মাহি (২২), মাহিদুল আল মাহি (২২), মাহফুজ আহমেদ (২২), সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম ইমন (২২), ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাতুল দেওয়ান (২২), সরকারি কদমরসুল কলেজের সিয়াম সরকার (২৪), মো. নাহিদ ইসলাম হৃদয় (১৮), শফিকউদ্দিন শিফন (১৮), নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল এমএ মাদরাসার মিনহাজ প্রিন্স (২০), নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী শেখ সামি (১৮) ও মো. সানভী (২১)।
ইজিবাইক চালকদের অভিযোগ, রিপন (২৮) ও সুমন (৩২) নামে তাদের দু’জন সহকর্মীও আহত হয়েছেন।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও ইজিবাইক চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিটি এলাকায় বিনা বাধায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল, চাঁদাবাজি বন্ধ ও নির্ধারিত স্ট্যান্ডের দাবিতে সকাল দশটা থেকে নগরভবনের সামনের সড়কে আন্দোলন করছিলেন চালকরা। তারা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তাদের লিখিত দাবিও পেশ করেন। সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বিষয়টি আলোচনার পর সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ সেখান থেকে চলে গেলও বেশ কয়েকজন সেখানেই ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সিটি কর্পোরেশের কর্মীরা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা কর্মী ও শিক্ষার্থীরা নগরভবনের প্রধান ফটকের সামনে এলে তাদের সঙ্গে ইজিবাইক চালকদের বাদানুবাদ হয়। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইজিবাইক চালকরা হামলা চালান।
ঘটনার সময় ধারণ করা একটি ভিডিওতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান ফটক টপকে তালা ভাঙারও চেষ্টা করতেও দেখা যায়। পরে তারা নগরভবনের ভেতর ঢুকে ভাঙচুর চালান।
আহত সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম বলেন, যানজট নিরসন কর্মীদের নিয়ে নগরভবনে ঢোকার পথে তাদের উপর “লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র” নিয়ে হামলা চালান ইজিবাইক চালকরা। তাকে রক্ষা করতে গেলে অন্যদেরও মারধর করা হয়।
“ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক শহরের ভেতর ঢোকা নিষেধ। সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত সপ্তাহে কয়েকটি ইজিবাইক যানজট নিরসন কর্মীরা আটক করে নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার মাধ্যমে ছাড়া হয়। যেহেতু আমরা যানজট নিরসনের দায়িত্বে আছি, তাই ওরা (চালকরা) আমাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টা বুঝতেই পারিনি। এটা ধারণায় থাকলে আমরা তখন সেখানে যেতামই না”, যোগ করেন সম্রাট।
আহত শিক্ষার্থী শিমলা বলেন, “আমরা কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা করা শুরু করে।”
তবে, আন্দোলনরত ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ রাসেল অভিযোগ করে বলেন, “সিটি কর্পোরেশনের সুপারভাইজার সম্রাট চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। যারা তাকে চাঁদা দেয়, তাদের শহরে ঢুকতে দেয়। বাকিদের জরিমানা করে। এই কারণে লোকজন তাকে দেখার পরই ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। সে আবার লোকজন নিয়ে এসে আমাদের কয়েকজনকে মারধরও করে।”
এদিকে, হামলার ঘটনার পর আহতরা অন্তত দুই ঘন্টা নগরভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন। পাশে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে থাকলেও নগরভবনের সামনে ইজিবাইক চালকদের অবস্থান থাকায় তারা সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেননি। পরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির অতিরিক্ত সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যাবার সুযোগ পান।
ঘটনাস্থলে থাকা সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। দুইপক্ষই পরবর্তীতে বসে সমাধান করা হবে। এটা একধরনের ভুল বোঝাবুঝি ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আসার পরও ইজিবাইক চালকরা রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল। পরে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তাদের বুঝিয়ে ব্যারিকেড সরানো হয়।”
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
বিকেলে পৌন পাঁচটার দিকে অনুসারীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। পরে সড়কের উপর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন সাবেক এ ছাত্রদল নেতা। শিক্ষার্থীরা এ হামলার ঘটনায় তার অনুসারীদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। পরে জোসেফ বিষয়টি ‘সমাধান করবেন’ বলে আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কথা বলে মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেন, “সিটি কর্পোরেশন আমাকে (মোবাইলে) কল দিয়ে ডেকেছিলেন বলে আমি এসেছি। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা দরকার তা আমরা করেছি।”
হামলায় তার অনুসারীরাও জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আসলে ওদের (শিক্ষার্থী) বয়স কম, ওদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং লেভেল আপনাদের বুঝতে হবে। ওরা অনেক কিছু না বুঝেই বলে ফেলতেছে।”