বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে আজ সোমবারও চলছে কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি। এর ফলে নাগরিক সেবায় চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
সকাল ১১টা থেকে নগর ভবনের ভেতরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সেখানে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন ইশরাক সমর্থক ও সিটি করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের একটি বড় অংশের কর্মচারীরা। ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ ও ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
চলমান এই আন্দোলনের ফলে নগর ভবনের সকল ফটকে তালা ঝুলছে। ফলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ, ট্রেড লাইসেন্স নবায়নসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেবা নিতে আসা অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন।
এক বছর আগে নগর ভবনের মুদ্রণসংশ্লিষ্ট কাজ করে এখনো বিল না পাওয়া ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, “বিল পাওয়ার আশায় এক বছর ধরে ঘুরছি। আজ দুই মাস পর এসে দেখি অফিস বন্ধ। কবে টাকা পাব—এইভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।”
বিক্ষোভকারীরা ‘দাবি মোদের একটাই, মেয়র ছাড়া অফিস নাই’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘রাজপথের ইশরাক ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’—এমন স্লোগান দিচ্ছেন। ফটকে তালা দিয়ে নগর ভবনের ভেতরে অবস্থান করে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে মিছিল ও সমাবেশ করছেন।
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন অভিযোগ করেন, “দুই দফায় আদালতের রায় থাকার পরও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার স্বেচ্ছাচারিতাই এর পেছনে মূল কারণ।”
নগর ভবনের অবস্থান কর্মসূচির কারণে বেশিরভাগ কর্মকর্তা অফিস করছেন না। কর্মচারীরা বিক্ষোভে থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। নগরবাসীর দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজ স্থবির হয়ে আছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়। মাঝখানে একবার ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা হলেও পরে আবার নতুন করে কর্মসূচি শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে আজ সোমবারও চলছে কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি। এর ফলে নাগরিক সেবায় চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
সকাল ১১টা থেকে নগর ভবনের ভেতরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সেখানে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন ইশরাক সমর্থক ও সিটি করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের একটি বড় অংশের কর্মচারীরা। ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ ও ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
চলমান এই আন্দোলনের ফলে নগর ভবনের সকল ফটকে তালা ঝুলছে। ফলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ, ট্রেড লাইসেন্স নবায়নসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেবা নিতে আসা অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন।
এক বছর আগে নগর ভবনের মুদ্রণসংশ্লিষ্ট কাজ করে এখনো বিল না পাওয়া ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, “বিল পাওয়ার আশায় এক বছর ধরে ঘুরছি। আজ দুই মাস পর এসে দেখি অফিস বন্ধ। কবে টাকা পাব—এইভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।”
বিক্ষোভকারীরা ‘দাবি মোদের একটাই, মেয়র ছাড়া অফিস নাই’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘রাজপথের ইশরাক ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’—এমন স্লোগান দিচ্ছেন। ফটকে তালা দিয়ে নগর ভবনের ভেতরে অবস্থান করে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে মিছিল ও সমাবেশ করছেন।
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন অভিযোগ করেন, “দুই দফায় আদালতের রায় থাকার পরও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার স্বেচ্ছাচারিতাই এর পেছনে মূল কারণ।”
নগর ভবনের অবস্থান কর্মসূচির কারণে বেশিরভাগ কর্মকর্তা অফিস করছেন না। কর্মচারীরা বিক্ষোভে থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। নগরবাসীর দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজ স্থবির হয়ে আছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়। মাঝখানে একবার ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা হলেও পরে আবার নতুন করে কর্মসূচি শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।