গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। সন্ধ্যার পর বৃষ্টিপাত আরও বেড়ে গেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পানি ঢুকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় অসংখ্য যানবাহনের, ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
বিজয় সরণি থেকে শুরু করে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ পর্যন্ত প্রধান সড়কে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হয়। রাত ১১টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি, কাকলী মোড়, নৌ সদর দপ্তর সংলগ্ন সড়ক হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে যায়। বেশ কিছু গাড়ি রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে, যানজট আরও দীর্ঘ হয়।
মিরপুরের কালশী এলাকা এবং সাংবাদিক আবাসিক এলাকা ছিল সবচেয়ে বিপর্যস্ত। রাত ১২টার দিকে কালশী উড়ালসড়ক থেকে পূরবী পর্যন্ত হাঁটুসমান পানি জমে থাকে। সাংবাদিক আবাসিক এলাকার প্রধান ফটকের সামনে পানির উচ্চতা ছিল প্রায় কোমর সমান। দুই পাশে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
একটি বিকল বাসে থাকা এক বয়স্ক নারী যাত্রী জানান, গাড়ি থেকে নামার পরিস্থিতিও নেই, পানি এতটাই বেশি। চালকের সহকারী জানান, পানি না কমা পর্যন্ত গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। জলাবদ্ধতায় নিরাপত্তা বিবেচনায় আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর ফটক রাত ১০টার পরও খোলা রাখা হয়েছে।
শেওড়াপাড়া থেকে কাজীপাড়া পর্যন্ত সড়কেও একই অবস্থা। অগণিত ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং বাস রাস্তায় বন্ধ হয়ে পড়ে। অনেক মোটরসাইকেলচালক বাধ্য হয়ে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে জলাবদ্ধতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় জরুরি নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হঠাৎ অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের জন্য এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।
জলাবদ্ধতার তথ্য জানাতে ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬ অথবা ০১৭৩৩৯৮২৪৮৬ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। সন্ধ্যার পর বৃষ্টিপাত আরও বেড়ে গেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পানি ঢুকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় অসংখ্য যানবাহনের, ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
বিজয় সরণি থেকে শুরু করে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ পর্যন্ত প্রধান সড়কে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হয়। রাত ১১টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি, কাকলী মোড়, নৌ সদর দপ্তর সংলগ্ন সড়ক হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে যায়। বেশ কিছু গাড়ি রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে, যানজট আরও দীর্ঘ হয়।
মিরপুরের কালশী এলাকা এবং সাংবাদিক আবাসিক এলাকা ছিল সবচেয়ে বিপর্যস্ত। রাত ১২টার দিকে কালশী উড়ালসড়ক থেকে পূরবী পর্যন্ত হাঁটুসমান পানি জমে থাকে। সাংবাদিক আবাসিক এলাকার প্রধান ফটকের সামনে পানির উচ্চতা ছিল প্রায় কোমর সমান। দুই পাশে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
একটি বিকল বাসে থাকা এক বয়স্ক নারী যাত্রী জানান, গাড়ি থেকে নামার পরিস্থিতিও নেই, পানি এতটাই বেশি। চালকের সহকারী জানান, পানি না কমা পর্যন্ত গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। জলাবদ্ধতায় নিরাপত্তা বিবেচনায় আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর ফটক রাত ১০টার পরও খোলা রাখা হয়েছে।
শেওড়াপাড়া থেকে কাজীপাড়া পর্যন্ত সড়কেও একই অবস্থা। অগণিত ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং বাস রাস্তায় বন্ধ হয়ে পড়ে। অনেক মোটরসাইকেলচালক বাধ্য হয়ে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে জলাবদ্ধতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় জরুরি নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হঠাৎ অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের জন্য এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।
জলাবদ্ধতার তথ্য জানাতে ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬ অথবা ০১৭৩৩৯৮২৪৮৬ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।