ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রা ও পশুর হাটকেন্দ্রিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারী-যাত্রীর জন্য একগুচ্ছ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঈদের সময় আনুমানিক ১ কোটির বেশি মানুষ ঢাকা মহানগর ত্যাগ করেন এবং প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেন।
সড়ক-মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনা-আগামী ৪ থেকে ৬ জুন এবং ১২ থেকে ১৪ জুন মোট ৬ দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। তবে পশুবাহী যানবাহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালী ও খাদ্য-দ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, সার এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহনের আওতামুক্ত থাকবে।
রুট পারমিটবিহীন বাস কোনোভাবেই চলাচল করতে পারবে না। আন্তঃজেলা বাসগুলোকে টার্মিনালের ভেতরে যাত্রী উঠিয়ে সরাসরি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে, কোনো অবস্থাতেই টার্মিনালের বাইরে সড়কের উপরে বাস দাঁড় করানো যাবে না। অনুমোদিত কাউন্টার ছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানো যাবে না। ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার রাস্তাগুলোতে কোনোভাবেই যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
লক্কর-ঝক্কর, ফিটনেসবিহীন, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত ও কালো ধোঁয়া নির্গমণকারী গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে ৪, ৫ ও ৬ জুন শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য (একমুখী) সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে। ওই রাস্তার আশুলিয়া-ধউর-কামারপাড়া-আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকা প্রবেশ করবে এমন যানবাহনগুলো আশুলিয়া-ধউর-পঞ্চবটি হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে গাবতলী/অন্য এলাকায় প্রবেশ করবে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের এয়ারপোর্ট টু গাজীপুর আসা ও যাওয়ার লেন দুটিতে শুধুমাত্র ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য (একমুখী ডাইভারসন) সব ধরনের যানবাহন ৪, ৫ ও ৬ জুন ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তার দিকে চলাচল করবে। ওই বিআরটি এর ঢাকায় প্রবেশের লেনটি দিয়ে কোনো যানবাহন ঢাকা অভিমুখে (ইনকামিং) আসতে পারবে না। মহাসড়কের অন্যান্য লেনের গাড়ি আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। বিআরটি এর ঢাকা অভিমুখী যানবাহনগুলো অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে নরমাল রাস্তায়/লেনে ঢাকায় আগমন করবে।
ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যাম কমানোর জন্য ঢাকা মেট্রো এলাকার বিআরটিসি বাস ডিপোগুলোর বাস ঢাকা শহর অতিক্রম না করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে (যেমন-গাবতলী/কল্যাণপুর ডিপোর বাস রাজশাহী/রংপুর বিভাগ এবং মতিঝিল ও ফুলবাড়িয়া ডিপোর বাস চট্টগ্রাম/সিলেট বিভাগে চলাচল করবে)। ঈদযাত্রা সংশ্লিষ্ট যানবাহনের চলাচল সুগম করার জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য যানবাহনকে আগামী ৪, ৫ ও ৬ জুন তারিখে নিম্নেবর্ণিত সড়ক পরিহার করে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক (বনানী টু আব্দুল্লাহপুর), ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু সাইনবোর্ড), মিরপুর রোড (শ্যামলী টু গাবতলী), ঢাকা-কেরানীগঞ্জ সড়ক (ফুলবাড়িয়া টু বাবুবাজার ব্রিজ), ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু বুড়িগঙ্গা ব্রিজ), মোহাম্মদপুর বসিলা ক্রসিং হতে বসিলা ব্রিজ সড়ক, আব্দুল্লাহপুর টু ধউর ব্রিজ সড়ক।
পশুর হাটের ইজারায় উল্লেখিত সীমানা ও স্কেচ ম্যাপের বাইরে সড়কের উপর কোনোভাবেই কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় এবং লোড-আনলোড করা যাবে না। কোরবানির পশু পরিবহনকারী যানবাহন আনলোড করার জন্য এবং বিক্রয় করা পশু লোড করার জন্য হাটের ভেতর পৃথক পৃথক জায়গা খালি রাখতে হবে। যদি হাটে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে তবে নিকটবর্তী কোনো জায়গায় পৃথক পৃথক আনলোড এবং বিক্রিত পশু লোড করার স্থান নির্ধারণ নিশ্চিত করতে হবে।
সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন হাটে কোরবানির পশু যাবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হাটের নাম সম্বলিত ব্যানার ট্রাকের সম্মুখে টাঙাতে হবে। হাইওয়ে বা গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে কোনো পশুর হাট ইজারা না দেওয়া। যদি কোনো পশুর হাট ঢাকা মহানগরের ফিডার রোড/সরু রোডের পাশে ইজারা দেওয়া হয়, তবে অবশ্যই সড়ক এবং হাটের মধ্যে ৬ ফুট উঁচু প্রাচীর স্থাপন করতে হবে এবং সুবিধাজনক জায়গায় এন্ট্রি এবং পৃথক এক্সিট রাখতে হবে।
পশুর হাট সংলগ্ন সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশকে সহযোগিতার জন্য ইজারাদাররা পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী/স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। পশুর হাটে গমনাগমনকারী রাস্তায় কোনক্রমেই ক্রেতাদের গাড়ি, পশুবাহী ট্রাক/পিকআপ পার্ক করা যাবে না। কেউ পার্কিং করলে তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি আটক করে ডাম্পিংয়ে প্রেরণ করা হবে। পশুর হাটের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা না করা হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়কের উপরে যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই না করে যথাসম্ভব নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে।
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ঈদযাত্রা নিরাপদ, সুগম ও নির্বিঘ্ন করার জন্য গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। বাস যাত্রার সিডিউল অনুযায়ী টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়তে হবে। যাত্রীদের নিকট থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করা যাবে না। একই সিট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রয় করা যাবে না। সিট ব্যতীত বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। পণ্য ও পশুবাহী যানবাহনে বিশেষ করে ফিরতি যানবাহনে যাত্রী বহন করা যাবে না। গতিসীমা মেনে গাড়ি চালাতে হবে, বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এলাকা, রাস্তার বাঁক ও সরু ব্রিজে ওভারটেকিং করা যাবে না। নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে, ঘুমঘুম ভাব হলে ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হালনাগাদ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না। গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন বা এয়ারফোন ব্যবহার করা যাবে না এবং গাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজানো যাবে না। উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই করে গাড়ি চালক নিয়োগ করতে হবে। মালিক কর্তৃক চালককে একটানা ৫ ঘণ্টা ও দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে বাধ্য করা যাবে না।
যাত্রী সাধারণ সড়কের যত্রতত্র দাঁড়িয়ে বাসে না উঠে নির্দিষ্ট টার্মিনাল/কাউন্টারে গিয়ে বাসে উঠতে হবে। অপরিচিত কারো দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা যাবে না। মালামাল নিজ হেফাজতে/দায়িত্বে রাখতে হবে। বাস যাত্রার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কাউন্টার/টার্মিনালে হাজির হতে হবে। রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ/ আন্ডারপাস/জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। চলন্ত গাড়িতে উঠানামা করা এবং পণ্যবাহী/পশুবাহী মোটরযানে যাত্রী হয়ে যাতায়াত করা যাবে না। পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে। দৌঁড়ে বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না। ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে টার্মিনালের পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রা ও পশুর হাটকেন্দ্রিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারী-যাত্রীর জন্য একগুচ্ছ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঈদের সময় আনুমানিক ১ কোটির বেশি মানুষ ঢাকা মহানগর ত্যাগ করেন এবং প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেন।
সড়ক-মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনা-আগামী ৪ থেকে ৬ জুন এবং ১২ থেকে ১৪ জুন মোট ৬ দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। তবে পশুবাহী যানবাহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালী ও খাদ্য-দ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, সার এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহনের আওতামুক্ত থাকবে।
রুট পারমিটবিহীন বাস কোনোভাবেই চলাচল করতে পারবে না। আন্তঃজেলা বাসগুলোকে টার্মিনালের ভেতরে যাত্রী উঠিয়ে সরাসরি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে, কোনো অবস্থাতেই টার্মিনালের বাইরে সড়কের উপরে বাস দাঁড় করানো যাবে না। অনুমোদিত কাউন্টার ছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানো যাবে না। ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার রাস্তাগুলোতে কোনোভাবেই যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
লক্কর-ঝক্কর, ফিটনেসবিহীন, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত ও কালো ধোঁয়া নির্গমণকারী গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে ৪, ৫ ও ৬ জুন শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য (একমুখী) সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে। ওই রাস্তার আশুলিয়া-ধউর-কামারপাড়া-আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকা প্রবেশ করবে এমন যানবাহনগুলো আশুলিয়া-ধউর-পঞ্চবটি হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে গাবতলী/অন্য এলাকায় প্রবেশ করবে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের এয়ারপোর্ট টু গাজীপুর আসা ও যাওয়ার লেন দুটিতে শুধুমাত্র ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য (একমুখী ডাইভারসন) সব ধরনের যানবাহন ৪, ৫ ও ৬ জুন ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তার দিকে চলাচল করবে। ওই বিআরটি এর ঢাকায় প্রবেশের লেনটি দিয়ে কোনো যানবাহন ঢাকা অভিমুখে (ইনকামিং) আসতে পারবে না। মহাসড়কের অন্যান্য লেনের গাড়ি আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। বিআরটি এর ঢাকা অভিমুখী যানবাহনগুলো অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে নরমাল রাস্তায়/লেনে ঢাকায় আগমন করবে।
ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যাম কমানোর জন্য ঢাকা মেট্রো এলাকার বিআরটিসি বাস ডিপোগুলোর বাস ঢাকা শহর অতিক্রম না করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে (যেমন-গাবতলী/কল্যাণপুর ডিপোর বাস রাজশাহী/রংপুর বিভাগ এবং মতিঝিল ও ফুলবাড়িয়া ডিপোর বাস চট্টগ্রাম/সিলেট বিভাগে চলাচল করবে)। ঈদযাত্রা সংশ্লিষ্ট যানবাহনের চলাচল সুগম করার জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য যানবাহনকে আগামী ৪, ৫ ও ৬ জুন তারিখে নিম্নেবর্ণিত সড়ক পরিহার করে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক (বনানী টু আব্দুল্লাহপুর), ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু সাইনবোর্ড), মিরপুর রোড (শ্যামলী টু গাবতলী), ঢাকা-কেরানীগঞ্জ সড়ক (ফুলবাড়িয়া টু বাবুবাজার ব্রিজ), ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু বুড়িগঙ্গা ব্রিজ), মোহাম্মদপুর বসিলা ক্রসিং হতে বসিলা ব্রিজ সড়ক, আব্দুল্লাহপুর টু ধউর ব্রিজ সড়ক।
পশুর হাটের ইজারায় উল্লেখিত সীমানা ও স্কেচ ম্যাপের বাইরে সড়কের উপর কোনোভাবেই কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় এবং লোড-আনলোড করা যাবে না। কোরবানির পশু পরিবহনকারী যানবাহন আনলোড করার জন্য এবং বিক্রয় করা পশু লোড করার জন্য হাটের ভেতর পৃথক পৃথক জায়গা খালি রাখতে হবে। যদি হাটে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে তবে নিকটবর্তী কোনো জায়গায় পৃথক পৃথক আনলোড এবং বিক্রিত পশু লোড করার স্থান নির্ধারণ নিশ্চিত করতে হবে।
সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন হাটে কোরবানির পশু যাবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হাটের নাম সম্বলিত ব্যানার ট্রাকের সম্মুখে টাঙাতে হবে। হাইওয়ে বা গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে কোনো পশুর হাট ইজারা না দেওয়া। যদি কোনো পশুর হাট ঢাকা মহানগরের ফিডার রোড/সরু রোডের পাশে ইজারা দেওয়া হয়, তবে অবশ্যই সড়ক এবং হাটের মধ্যে ৬ ফুট উঁচু প্রাচীর স্থাপন করতে হবে এবং সুবিধাজনক জায়গায় এন্ট্রি এবং পৃথক এক্সিট রাখতে হবে।
পশুর হাট সংলগ্ন সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশকে সহযোগিতার জন্য ইজারাদাররা পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী/স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। পশুর হাটে গমনাগমনকারী রাস্তায় কোনক্রমেই ক্রেতাদের গাড়ি, পশুবাহী ট্রাক/পিকআপ পার্ক করা যাবে না। কেউ পার্কিং করলে তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি আটক করে ডাম্পিংয়ে প্রেরণ করা হবে। পশুর হাটের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা না করা হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়কের উপরে যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই না করে যথাসম্ভব নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে।
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ঈদযাত্রা নিরাপদ, সুগম ও নির্বিঘ্ন করার জন্য গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। বাস যাত্রার সিডিউল অনুযায়ী টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়তে হবে। যাত্রীদের নিকট থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করা যাবে না। একই সিট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রয় করা যাবে না। সিট ব্যতীত বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। পণ্য ও পশুবাহী যানবাহনে বিশেষ করে ফিরতি যানবাহনে যাত্রী বহন করা যাবে না। গতিসীমা মেনে গাড়ি চালাতে হবে, বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এলাকা, রাস্তার বাঁক ও সরু ব্রিজে ওভারটেকিং করা যাবে না। নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে, ঘুমঘুম ভাব হলে ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হালনাগাদ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না। গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন বা এয়ারফোন ব্যবহার করা যাবে না এবং গাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজানো যাবে না। উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই করে গাড়ি চালক নিয়োগ করতে হবে। মালিক কর্তৃক চালককে একটানা ৫ ঘণ্টা ও দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে বাধ্য করা যাবে না।
যাত্রী সাধারণ সড়কের যত্রতত্র দাঁড়িয়ে বাসে না উঠে নির্দিষ্ট টার্মিনাল/কাউন্টারে গিয়ে বাসে উঠতে হবে। অপরিচিত কারো দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা যাবে না। মালামাল নিজ হেফাজতে/দায়িত্বে রাখতে হবে। বাস যাত্রার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কাউন্টার/টার্মিনালে হাজির হতে হবে। রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ/ আন্ডারপাস/জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। চলন্ত গাড়িতে উঠানামা করা এবং পণ্যবাহী/পশুবাহী মোটরযানে যাত্রী হয়ে যাতায়াত করা যাবে না। পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে। দৌঁড়ে বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না। ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে টার্মিনালের পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।