কোরবানির পশুর বর্জ্য ঈদের দিনেই সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, ঈদের দিন বিকেল থেকেই বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুরো এলাকা পরিষ্কার করার লক্ষ্য রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের এই ময়লা পরিষ্কারের জন্য প্রায় ১০ হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়িও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে প্রশাসক জানান, “সরকারের অন্যান্য সংস্থার কাছেও রিকুইজিশন দিয়ে রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত গাড়ি সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণকে অনুরোধ করেছি যেন এক জায়গায় কোরবানি দেন, তাহলে বর্জ্য সংগ্রহে সুবিধা হবে। তবে কেউ আলাদাভাবে কোরবানি দিলেও আমাদের কর্মীরা সেই বর্জ্য পরিষ্কার করতে প্রস্তুত থাকবে। কোথাও কোনো দুর্বলতা থাকবে না।”
উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বুধবার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শন শেষে জানান, ঈদের দিনের বর্জ্য ওই দিনই সরিয়ে নেওয়া হবে এবং শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের তিনদিন পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করছে ডিএনসিসি। এই বর্জ্য অপসারণে ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডার ব্যবহৃত হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে।
পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে আমিনবাজার এলাকায় দুটি পরিখা খনন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
দক্ষিণ সিটির কোরবানির হাট ব্যবস্থাপনা নিয়েও কথা বলেন প্রশাসক শাহজাহান মিয়া। তিনি জানান, “দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮টি গরুর হাটে ব্যবস্থাপনার জন্য হাট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে যদি কোনো অপরাধ ঘটে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মোবাইল কোর্ট সেখানে উপস্থিত থাকবে।”
তিনি বলেন, “হাটগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রতি হাটে ৫০ থেকে ৭৫ জন আনসার মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল ও স্টেশন অবস্থানে থাকবে, যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা নির্বিঘ্নে হাটে চলাচল করতে পারেন।”
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
কোরবানির পশুর বর্জ্য ঈদের দিনেই সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, ঈদের দিন বিকেল থেকেই বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুরো এলাকা পরিষ্কার করার লক্ষ্য রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের এই ময়লা পরিষ্কারের জন্য প্রায় ১০ হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়িও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে প্রশাসক জানান, “সরকারের অন্যান্য সংস্থার কাছেও রিকুইজিশন দিয়ে রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত গাড়ি সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণকে অনুরোধ করেছি যেন এক জায়গায় কোরবানি দেন, তাহলে বর্জ্য সংগ্রহে সুবিধা হবে। তবে কেউ আলাদাভাবে কোরবানি দিলেও আমাদের কর্মীরা সেই বর্জ্য পরিষ্কার করতে প্রস্তুত থাকবে। কোথাও কোনো দুর্বলতা থাকবে না।”
উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বুধবার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শন শেষে জানান, ঈদের দিনের বর্জ্য ওই দিনই সরিয়ে নেওয়া হবে এবং শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের তিনদিন পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করছে ডিএনসিসি। এই বর্জ্য অপসারণে ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডার ব্যবহৃত হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে।
পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে আমিনবাজার এলাকায় দুটি পরিখা খনন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
দক্ষিণ সিটির কোরবানির হাট ব্যবস্থাপনা নিয়েও কথা বলেন প্রশাসক শাহজাহান মিয়া। তিনি জানান, “দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮টি গরুর হাটে ব্যবস্থাপনার জন্য হাট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে যদি কোনো অপরাধ ঘটে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মোবাইল কোর্ট সেখানে উপস্থিত থাকবে।”
তিনি বলেন, “হাটগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রতি হাটে ৫০ থেকে ৭৫ জন আনসার মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল ও স্টেশন অবস্থানে থাকবে, যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা নির্বিঘ্নে হাটে চলাচল করতে পারেন।”