ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় হয়রানির অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, “সীমাবদ্ধতার পরও ঈদযাত্রা ভালো হচ্ছে। মানুষের ঈদযাত্রা যাতে নির্বিঘ্ন হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনিয়ম দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাস ভাড়ার ব্যাপারে একটু বিচ্যুতির খবর পাচ্ছি—এক জায়গায় ১০০ টাকা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছিল, ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাকে জরিমানা করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা ও বিভিন্ন বাস কাউন্টার পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী লাল-সবুজ পরিবহনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। পরে লাল-সবুজ পরিবহনের সায়েদাবাদ টার্মিনালের হুজুরবাড়ি গেইট কাউন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নোয়াখালীগামী যাত্রী আসাদুর রহমান জানান, “দুই ঘণ্টা ধরে তারা (কাউন্টার থেকে) বলছে, গাড়ি আসবে-গাড়ি আসবে। পাঁচ মিনিটের কথা বললেও এখনো আসেনি। ৫৪০ টাকার ভাড়া এক হাজার টাকা নিয়েছে, তার পরও বাস আসেনি। সবাই চিৎকার চেঁচামেচি করে। তা শুনে সাংবাদিকরাও আসে। তারপরে অভিযোগ পেয়ে মোবাইল কোর্ট আসলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে লাল-সবুজকে।”

দুপুর ১২টার দিকে উপদেষ্টা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে গেলে কাউন্টার থেকে যাত্রীদের বলা হয়, ‘বাস আসতে দেরি হবে। আপনারা চাইলে টিকেট ফেরত দিতে পারেন।’

এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অপেক্ষমান যাত্রীরা।

তাদের একজন আবুল কালাম বলেন, “তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করে একটা টিকেট পাইছি। এখন তো ফেরত দেওয়া যাবে না, গাড়ি দেরিতে আসলেও উপায় নেই। এই বাসেই যেতে হবে।”

বেলা সোয়া ১২টার দিকে কাউন্টার থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, পরের বাস আরামবাগ থেকে রওনা দিয়েছে।

টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, “আমরা বড় ধরনের অভিযোগ পাইনি। যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারছেন, সীমাবদ্ধতা তো আছে। কাউকে তো একবারে আটকে ফেলা যাবে না। তখন আবার বলা হবে মানবিক হতে।”

তিনি বলেন, “একটু মানবিক সবাইকে হতে হবে। বেশি ভাড়ার বিষয়ে ঢালাও অভিযোগ না দিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব, ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম তো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে আবারও। সুতরাং, এখন বাড়তি ভাড়া দাবি করার তো কোনো কারণ নেই। আমরা যেখানেই অভিযোগ পাবো, ব্যবস্থা নেব। এখন যেমন লাল-সবুজের বিষয়ে নেওয়া হল।”