নারায়ণগঞ্জ শহরের দীর্ঘদিনের যানজট নিরসনে গত ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক সভায় বিকেএমইএ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এবং মডেল গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ করা হয়। ব্যবসায়ী নেতা ও মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এই উদ্যোগে যুক্ত হয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, শহরের যানজট পরিস্থিতি ইতিবাচকভাবে পাল্টে যাবে।
তবে বাস্তবে সে প্রচেষ্টার প্রতিফলন খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। কয়েকদিন মাঠপর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, যানজট নিরসনে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দল কার্যত সংকটে ভুগছে। আগে যেখানে দুই শিফটে অন্তত ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছে, এখন দুই শিফটে মাঠে নামছে মাত্র ২০ জন। ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত কয়েকজন ভলান্টিয়ারদের সাথে কথা বলেছে দৈনিক সংবাদ। তারা জানিয়েছেন ভলান্টিয়ার সংখ্যা কম থাকার কারনে শহরের ২নং রেইল গেইট ও চানমারীর মত যানজটপ্রবণ সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে চাপ বাড়ছে চাষাঢ়ার উপর। তারা জানান, সঠিক নির্দেশনার ঘাটতি এবং সমন্বয়ের অভাবে অনেকেই কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। চেম্বারের পরিচালক আহমেদুর রহমান তনুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় করার জন্য। তাকে প্রায়শই স্বেচ্ছাসেবকদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে দেখা গেলেও তা সঠিকভাবে হচ্ছে না।
শহরবাসীর অভিযোগ, এবার যানজট আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত মিশুক ও অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, ট্রাফিক আইন অমান্য এবং সঠিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় সকাল-বিকেল যানজটে নগরজুড়ে স্থবিরতা সুষ্টি হচ্ছে।
শহরের চৌধুরী বাড়ি এলাকা থেকে চাষঢ়ায় প্রতিনিয়ন কাজে আসেন এমন এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে স্বেচ্ছাসেবকরা সত্যিই আন্তরিক ছিল, আমরা অনেক স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন কোথাও কোনো শৃঙ্খলা নেই, বরং ভোগান্তি আগের চেয়ে বেশি।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল প্রশ্ন করে সংবাদকে বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি শহরে যানজট নিরসন করতে, কিন্তু আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না।’
তিনি বলেন, আমরা এখন কাজ করছি ছাত্রদের নিয়ে দুই শিফটে- সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রতি শিফটে ছাত্রদের সম্মানী ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে । সেই হিসেবে খরচ মাসে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। এখানে মডেল গ্রুপের মাসুদুজ্জামান প্রতিদিন ১০ জনের, বিকেএমইএ ৫ জন এবং নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স ৫ জনসহ মোট ২০ জন ভলেন্টিয়ারের দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা আরো ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছি যাতে তারা ২ থেকে ৩ জন করে ভলেন্টিয়ারের দায়িত্ব নেন। যাতে আমাদের এই শহরকে যানজট নিরেশনের চেষ্টার উদ্যোগকে সফল করা যায়। এ বিষয়ে আগামী রবিবার সিটি কর্পোরেশনের সাথে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স মিটিং করবে।
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
নারায়ণগঞ্জ শহরের দীর্ঘদিনের যানজট নিরসনে গত ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক সভায় বিকেএমইএ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এবং মডেল গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ করা হয়। ব্যবসায়ী নেতা ও মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এই উদ্যোগে যুক্ত হয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, শহরের যানজট পরিস্থিতি ইতিবাচকভাবে পাল্টে যাবে।
তবে বাস্তবে সে প্রচেষ্টার প্রতিফলন খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। কয়েকদিন মাঠপর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, যানজট নিরসনে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দল কার্যত সংকটে ভুগছে। আগে যেখানে দুই শিফটে অন্তত ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছে, এখন দুই শিফটে মাঠে নামছে মাত্র ২০ জন। ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত কয়েকজন ভলান্টিয়ারদের সাথে কথা বলেছে দৈনিক সংবাদ। তারা জানিয়েছেন ভলান্টিয়ার সংখ্যা কম থাকার কারনে শহরের ২নং রেইল গেইট ও চানমারীর মত যানজটপ্রবণ সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে চাপ বাড়ছে চাষাঢ়ার উপর। তারা জানান, সঠিক নির্দেশনার ঘাটতি এবং সমন্বয়ের অভাবে অনেকেই কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। চেম্বারের পরিচালক আহমেদুর রহমান তনুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় করার জন্য। তাকে প্রায়শই স্বেচ্ছাসেবকদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে দেখা গেলেও তা সঠিকভাবে হচ্ছে না।
শহরবাসীর অভিযোগ, এবার যানজট আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত মিশুক ও অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, ট্রাফিক আইন অমান্য এবং সঠিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় সকাল-বিকেল যানজটে নগরজুড়ে স্থবিরতা সুষ্টি হচ্ছে।
শহরের চৌধুরী বাড়ি এলাকা থেকে চাষঢ়ায় প্রতিনিয়ন কাজে আসেন এমন এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে স্বেচ্ছাসেবকরা সত্যিই আন্তরিক ছিল, আমরা অনেক স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন কোথাও কোনো শৃঙ্খলা নেই, বরং ভোগান্তি আগের চেয়ে বেশি।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল প্রশ্ন করে সংবাদকে বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি শহরে যানজট নিরসন করতে, কিন্তু আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না।’
তিনি বলেন, আমরা এখন কাজ করছি ছাত্রদের নিয়ে দুই শিফটে- সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রতি শিফটে ছাত্রদের সম্মানী ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে । সেই হিসেবে খরচ মাসে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। এখানে মডেল গ্রুপের মাসুদুজ্জামান প্রতিদিন ১০ জনের, বিকেএমইএ ৫ জন এবং নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স ৫ জনসহ মোট ২০ জন ভলেন্টিয়ারের দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা আরো ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছি যাতে তারা ২ থেকে ৩ জন করে ভলেন্টিয়ারের দায়িত্ব নেন। যাতে আমাদের এই শহরকে যানজট নিরেশনের চেষ্টার উদ্যোগকে সফল করা যায়। এ বিষয়ে আগামী রবিবার সিটি কর্পোরেশনের সাথে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স মিটিং করবে।