জেলা বার্তা পরিবেশক, নরসিংদী
নরসিংদীর শিবপুরে একটি জমি থেকে মো: সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাসহ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের একটি জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সাইফুল একই ইউনিয়নের শানখোলা গ্রামের আবদুল হেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে স্থানীয় কৃষকরা পঞ্চগ্রাম ইদগাহ মাঠে একটি গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। মাঠের একপাশে দেহ ও তার ১০০ গজ দূরে মাথা পড়ে ছিল। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা এসে লাশটি সাইফুলের শনাক্ত করে। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহতের স্ত্রী শাহীদা বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে তিনি বাজারে যান। রাতের ৯টায় একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় তিনি ফোন পেয়ে বের হয়ে যান। এরপর তিনি রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আমি বারবার তার মোবাইলে ফোন দিয়ে বন্ধ পাই। পরে তার পরিচিত বিভিন্ন জনের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে সকালে ইদগাহ মাঠে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই।
একমাস ধরে তিনি এলাকার তাজুলের সঙ্গে গরুর ব্যবসা করতেন। তিনি আরেকজনের কাছ থেকে টাকা ধার করে এনে তাজুলের কাছে ব্যবসা করার জন্য টাকা দিয়েছেন। এখন তাজুলের কাছে টাকা চাইলে তিনি টাকা দিচ্ছিলেন না। এ নিয়েই তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি স্বামী হত্যা বিচার চাই।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি মরদেহের মাথা একপাশে ও দেহ কিছুটা দূরে আরেক পাশে দেহ পড়ে আছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবসাজনিত লেনদেন নিয়ে শত্রুতার কারণে এ হত্যাকা- ঘটতে পারে। আমরা তদন্ত করছি আর এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জেলা বার্তা পরিবেশক, নরসিংদী
নরসিংদীর শিবপুরে একটি জমি থেকে মো: সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাসহ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের একটি জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সাইফুল একই ইউনিয়নের শানখোলা গ্রামের আবদুল হেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে স্থানীয় কৃষকরা পঞ্চগ্রাম ইদগাহ মাঠে একটি গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। মাঠের একপাশে দেহ ও তার ১০০ গজ দূরে মাথা পড়ে ছিল। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা এসে লাশটি সাইফুলের শনাক্ত করে। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহতের স্ত্রী শাহীদা বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে তিনি বাজারে যান। রাতের ৯টায় একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় তিনি ফোন পেয়ে বের হয়ে যান। এরপর তিনি রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আমি বারবার তার মোবাইলে ফোন দিয়ে বন্ধ পাই। পরে তার পরিচিত বিভিন্ন জনের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে সকালে ইদগাহ মাঠে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই।
একমাস ধরে তিনি এলাকার তাজুলের সঙ্গে গরুর ব্যবসা করতেন। তিনি আরেকজনের কাছ থেকে টাকা ধার করে এনে তাজুলের কাছে ব্যবসা করার জন্য টাকা দিয়েছেন। এখন তাজুলের কাছে টাকা চাইলে তিনি টাকা দিচ্ছিলেন না। এ নিয়েই তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি স্বামী হত্যা বিচার চাই।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি মরদেহের মাথা একপাশে ও দেহ কিছুটা দূরে আরেক পাশে দেহ পড়ে আছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবসাজনিত লেনদেন নিয়ে শত্রুতার কারণে এ হত্যাকা- ঘটতে পারে। আমরা তদন্ত করছি আর এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।