লিঙ্গ পরিবর্তন করে ১শর বেশি যুবক হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি করছে
জামালপুরের তৃতীয় লিঙ্গেও (হিজড়া) দেলুর আসলে একজন পুরুষ। তার ছেলে-মেয়ে আছে। ছেলে বিয়েও করেছেন। তারপরও তিনি তৃতীয় লিঙ্গ সেজে নানা কৌশলে দলবেধে চাঁদাবাজি করছেন। তার নিজস্ব গ্রæপও রয়েছে। তিনি অনেক ব্যক্তিকে ডাক্তারের মাধ্যমে অপারেশন করিয়ে তৃতীয় লিঙ্গ বানিয়েছেন। তারা এখন পথে পথে টাকা আদায় করছেন।
চাঁদার টাকায় দেলু জামালপুরে তিনতলা ফাউন্ডেশনের বাড়িও করেছেন। সেখানে টাইলস দিয়ে ইতোমধ্যে এক তলা বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করে বসবাস করছেন। ইতোমধ্যে আরও অনেককে অপারেশন করিয়ে মেয়ে হিজড়া সাজিয়ে চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদার টাকার ভাগও পান তিনি।
সম্প্রতি একজন ডাক্তার ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যকে গ্রেফতার করলে আরও ১শর বেশি তৃতীয় লিঙ্গের সন্ধান মিলেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন চম্পা নামের একজন। পলাতকদের চিহ্নিত করতে তৃতীয় লিঙ্গের পল্লীসহ বিভিন্ন স্থানে পিবিআইয়ের অনুসন্ধান চলছে।
স্বীকারোক্তিতে চম্পান বলেন, আমার নাম মো. নওশাদ ওরফে চম্পা ওরফে স্বপ্না হিজড়া। আমি জন্মগতভাবে হিজড়া না। আপারেশনের মাধ্যমে হিজড়া হয়েছি। আমি আগে পুরুষ ছিলাম। বিয়েও করেছি। আমার সংসারে ১২ বছর বয়সী পুত্র সন্তান আছে। আমার স্ত্রী ডায়রিয়া হয়ে মারা গেছেন। এরপর আর বিয়ে কিরেনি। হঠাৎ একদিন জামালপুরের দেলু হিজড়ার সঙ্গে দেখা হয়। তার পরামর্শে হিজড়ার দলে যোগ দিই।
পরে দেলু হিজড়ার পরামর্শে খুলনায় লোহাপাড়ায় একজন গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে যান। ওই ডাক্তার অনেককে অপারেশন করে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) বানিয়েছেন। তার মাধ্যমে অপারেশন করে মেয়ে হিজড়া হয়েছেন বলে জানান। এরপর তিনি নাম পরিবর্তন করে নওশাদ থেকে চম্পা ওরফে স্বপ্না হিজড়া হন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের নারায়নপুর।
পিবিআইয়ের তদন্তকারি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সংবাদকে জানান, অপারেশন করে তৃতীয় লিঙ্গ হয়েছেন, এই ধরনের ১শর বেশি ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেন তারা। পুরো চক্রের নাম, ঠিকানাসহ সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তার মতে, তৃতীয় লিঙ্গের দেলুর স্ত্রী, সন্তান আছে। সন্তানরা বিয়েও করেছেন। পরিবারের থাকার জন্য জামালপুরে তিনতলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি করেছে। সেখানে তারা বসবাস করছেন।
পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করার জন্য চক্রের রয়েছে নির্দিষ্ট ডাক্তার। অপারেশন থিয়েটার। যারা ইতোমধ্যে অপারেশন করে তৃতীয় লিঙ্গে পরিণত হয়েছেন, তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্তের কাজ এখনো চলছে।
লিঙ্গ পরিবর্তন করে ১শর বেশি যুবক হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি করছে
রোববার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
জামালপুরের তৃতীয় লিঙ্গেও (হিজড়া) দেলুর আসলে একজন পুরুষ। তার ছেলে-মেয়ে আছে। ছেলে বিয়েও করেছেন। তারপরও তিনি তৃতীয় লিঙ্গ সেজে নানা কৌশলে দলবেধে চাঁদাবাজি করছেন। তার নিজস্ব গ্রæপও রয়েছে। তিনি অনেক ব্যক্তিকে ডাক্তারের মাধ্যমে অপারেশন করিয়ে তৃতীয় লিঙ্গ বানিয়েছেন। তারা এখন পথে পথে টাকা আদায় করছেন।
চাঁদার টাকায় দেলু জামালপুরে তিনতলা ফাউন্ডেশনের বাড়িও করেছেন। সেখানে টাইলস দিয়ে ইতোমধ্যে এক তলা বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করে বসবাস করছেন। ইতোমধ্যে আরও অনেককে অপারেশন করিয়ে মেয়ে হিজড়া সাজিয়ে চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদার টাকার ভাগও পান তিনি।
সম্প্রতি একজন ডাক্তার ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যকে গ্রেফতার করলে আরও ১শর বেশি তৃতীয় লিঙ্গের সন্ধান মিলেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন চম্পা নামের একজন। পলাতকদের চিহ্নিত করতে তৃতীয় লিঙ্গের পল্লীসহ বিভিন্ন স্থানে পিবিআইয়ের অনুসন্ধান চলছে।
স্বীকারোক্তিতে চম্পান বলেন, আমার নাম মো. নওশাদ ওরফে চম্পা ওরফে স্বপ্না হিজড়া। আমি জন্মগতভাবে হিজড়া না। আপারেশনের মাধ্যমে হিজড়া হয়েছি। আমি আগে পুরুষ ছিলাম। বিয়েও করেছি। আমার সংসারে ১২ বছর বয়সী পুত্র সন্তান আছে। আমার স্ত্রী ডায়রিয়া হয়ে মারা গেছেন। এরপর আর বিয়ে কিরেনি। হঠাৎ একদিন জামালপুরের দেলু হিজড়ার সঙ্গে দেখা হয়। তার পরামর্শে হিজড়ার দলে যোগ দিই।
পরে দেলু হিজড়ার পরামর্শে খুলনায় লোহাপাড়ায় একজন গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে যান। ওই ডাক্তার অনেককে অপারেশন করে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) বানিয়েছেন। তার মাধ্যমে অপারেশন করে মেয়ে হিজড়া হয়েছেন বলে জানান। এরপর তিনি নাম পরিবর্তন করে নওশাদ থেকে চম্পা ওরফে স্বপ্না হিজড়া হন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের নারায়নপুর।
পিবিআইয়ের তদন্তকারি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সংবাদকে জানান, অপারেশন করে তৃতীয় লিঙ্গ হয়েছেন, এই ধরনের ১শর বেশি ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেন তারা। পুরো চক্রের নাম, ঠিকানাসহ সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তার মতে, তৃতীয় লিঙ্গের দেলুর স্ত্রী, সন্তান আছে। সন্তানরা বিয়েও করেছেন। পরিবারের থাকার জন্য জামালপুরে তিনতলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি করেছে। সেখানে তারা বসবাস করছেন।
পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করার জন্য চক্রের রয়েছে নির্দিষ্ট ডাক্তার। অপারেশন থিয়েটার। যারা ইতোমধ্যে অপারেশন করে তৃতীয় লিঙ্গে পরিণত হয়েছেন, তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্তের কাজ এখনো চলছে।