রাজধানীর মিরপুরের-১২ নম্বর সেকশনে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়ার সময় হাতেনাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো- মো. আসাদুল তালুকদার ও মো. ইউসুফ শেখ। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনের ৭ নম্বর রোডে কেএফসির সামনে বাসটিতে আগুন দেয়া হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, পলাতক বিএনপি নেতা মামুনের নির্দেশে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাসটিতে আগুন দেয়া হয়। এদিকে যেকোনো প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দিতে পুলিশের রেসপন্স টাইম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পল্লবী থানার মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে কেএফসির সামনে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮৬৮২) আগুন দেয়া হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলের আশেপাশে টহলরত থাকা অবস্থায় পল্লবী থানা পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হাতেনাতে আসাদুল তালুকদার ও ইউসুফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত কমিশনার জানান, তারা পলাতক আসামি বিএনপি নেতা মামুনের নির্দেশে ও ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাসটিতে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। আনুমানিক ৩-৪ দিন আগে বিএনপি নেতা মামুন মোহনা টিভির গলিতে গ্রেপ্তারদের নিয়ে বাসে আগুন দেয়ার পরিকল্পনা করে এবং তাদের ম্যারিন্ডার বোতলে পেট্রোল ভরে দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ীই সোমবার সন্ধ্যায় বাসটিতে আগুন দেয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামিদের নাম ও ঠিকানা জানিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। ডিএমপির এই কর্মকর্তা জানান, পলাতক মামুনের নির্দেশে জনমনে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করতে ও অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে গাড়িতে আগুন দেয় তারা। তাদের দেয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসটির আনুমানিক ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে যেকোনো প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দিতে পুলিশের রেসপন্স টাইম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে গত এক মাসে বাসে আগুন দেয়ার সময় এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সুনির্দিষ্ট আয়ের পথ নেই, তাদের টাকার বিনিময়ে, কখনো খাবারের বিনিময়ে বাসে আগুন দিতে প্রলুব্ধ করছে। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন নেতার নির্দেশনার পর এটি বাস্তবায়িত হয়। ঢাকার প্রবেশমুখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের রেসপন্স টাইম কমানো হয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ যাতে দ্রুত সময়ে রেসপন্স করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় খবর প্রচার করা হয়, হরতাল অবরোধের কারণে ট্রেডিশনাল ক্রাইমের দিকে পুলিশের নজর কম। কিন্তু বিষয়টি সঠিক নয়, সবদিকেই আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। যেখানে যে ঘটনা ঘটছে প্রতিহত করা সম্ভব হলে সেটি প্রতিহত করা হচ্ছে। আর প্রতিহত করা সম্ভব না হলে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মিরপুরের-১২ নম্বর সেকশনে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়ার সময় হাতেনাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো- মো. আসাদুল তালুকদার ও মো. ইউসুফ শেখ। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনের ৭ নম্বর রোডে কেএফসির সামনে বাসটিতে আগুন দেয়া হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, পলাতক বিএনপি নেতা মামুনের নির্দেশে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাসটিতে আগুন দেয়া হয়। এদিকে যেকোনো প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দিতে পুলিশের রেসপন্স টাইম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পল্লবী থানার মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে কেএফসির সামনে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮৬৮২) আগুন দেয়া হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলের আশেপাশে টহলরত থাকা অবস্থায় পল্লবী থানা পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হাতেনাতে আসাদুল তালুকদার ও ইউসুফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত কমিশনার জানান, তারা পলাতক আসামি বিএনপি নেতা মামুনের নির্দেশে ও ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাসটিতে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। আনুমানিক ৩-৪ দিন আগে বিএনপি নেতা মামুন মোহনা টিভির গলিতে গ্রেপ্তারদের নিয়ে বাসে আগুন দেয়ার পরিকল্পনা করে এবং তাদের ম্যারিন্ডার বোতলে পেট্রোল ভরে দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ীই সোমবার সন্ধ্যায় বাসটিতে আগুন দেয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামিদের নাম ও ঠিকানা জানিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। ডিএমপির এই কর্মকর্তা জানান, পলাতক মামুনের নির্দেশে জনমনে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করতে ও অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে গাড়িতে আগুন দেয় তারা। তাদের দেয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসটির আনুমানিক ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে যেকোনো প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দিতে পুলিশের রেসপন্স টাইম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে গত এক মাসে বাসে আগুন দেয়ার সময় এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সুনির্দিষ্ট আয়ের পথ নেই, তাদের টাকার বিনিময়ে, কখনো খাবারের বিনিময়ে বাসে আগুন দিতে প্রলুব্ধ করছে। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন নেতার নির্দেশনার পর এটি বাস্তবায়িত হয়। ঢাকার প্রবেশমুখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের রেসপন্স টাইম কমানো হয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ যাতে দ্রুত সময়ে রেসপন্স করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় খবর প্রচার করা হয়, হরতাল অবরোধের কারণে ট্রেডিশনাল ক্রাইমের দিকে পুলিশের নজর কম। কিন্তু বিষয়টি সঠিক নয়, সবদিকেই আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। যেখানে যে ঘটনা ঘটছে প্রতিহত করা সম্ভব হলে সেটি প্রতিহত করা হচ্ছে। আর প্রতিহত করা সম্ভব না হলে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।