একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান ও আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেসুর রহমান মুকুল।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেসুর রহমান মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গত ২৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোখলেসুর ও নকিবসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়।
দণ্ড মাথায় নিয়ে এখনো পলাতক রয়েছেন অপর চার আসামি সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির।
তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিশাল এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা এবং হিন্দুদের নিপীড়নের মত ছয় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল যুদ্ধাপরাধের ওই মামলায়।
একাত্তরে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন ২০১৫ সালে ময়মনসিংহের আদালতে এ মামলা দায়ের করলে পরে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি শুরু হয় তদন্ত। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থা অনুসন্ধান কাজ শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়।
পরের বছর ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগে আসামিদের অভিযুক্ত করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ হয়।
এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি ছিলেন মোট নয়জন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। তারাসহ মোট তিনজন মামলার বিচার চলাকালে মারা যান। পরে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রশিকিউশনের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় এ মামলায়। বিচারপক্রিয়া শেষে ছয় আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান ও আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেসুর রহমান মুকুল।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেসুর রহমান মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গত ২৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোখলেসুর ও নকিবসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়।
দণ্ড মাথায় নিয়ে এখনো পলাতক রয়েছেন অপর চার আসামি সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির।
তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিশাল এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা এবং হিন্দুদের নিপীড়নের মত ছয় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল যুদ্ধাপরাধের ওই মামলায়।
একাত্তরে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন ২০১৫ সালে ময়মনসিংহের আদালতে এ মামলা দায়ের করলে পরে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি শুরু হয় তদন্ত। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থা অনুসন্ধান কাজ শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়।
পরের বছর ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগে আসামিদের অভিযুক্ত করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ হয়।
এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি ছিলেন মোট নয়জন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। তারাসহ মোট তিনজন মামলার বিচার চলাকালে মারা যান। পরে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রশিকিউশনের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় এ মামলায়। বিচারপক্রিয়া শেষে ছয় আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।